ভেসে যায় আদরের নৌকো
গত কয়েকদিন পত্রিকার পাতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাপ্রবাহ লক্ষ্য করছিলাম। সরকার ১০০ ভাগ কেনো অর্থায়ন করবে না সেটা নিয়ে মোটামুটি একটা তুলকালাম অবস্থা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খরচ সামাল দেবার জন্য উচ্চ টিউশন ফির কোনো বিকল্প খুজে পাচ্ছে না। অন্যদিকে ছাত্ররা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত টিউশন দিতে রাজি নয়। মাঝখান থেকে নিরীহ কিছু গাড়ীর প্রান নিয়ে টানাটানি। ইদানিং দ
টেবিলজুড়ে ছড়ানো এলোমেলো বইপত্তরের উপরে ঝিঁ ঝিঁর কাঁপন। তুলে নিই মুঠাফোনটা, ওপারে অন্বেষা। " কী রে তুলি, এই উইকেন্ডে ফ্রী আছিস? একজায়গায় যেতাম তাহলে।"
" প্রথমদিন ফ্রী, সেদিন হলে যেতে পারি।"
"ঠিক আছে। আমি তাহলে সকালে এসে তোকে পিকাপ করে নেবো। এই নটা নাগাদ। রেডি থাকবি।"
"কোথায় নিয়ে যাবি রে? "
"সে দেখবি তখন, এখন বলবো না। " ওর হাসি শুনতে পাই।
[justify]আমার বয়স তখন পাঁচ। রবিবারের এক দুপুরে আমদের পাড়ায় এক ঝাঁকা মুরগীর ছানা নিয়ে একজন হকার আসে। রেশন তুলতে বাবার সাথে আমি তখন বাইরে, তো সেই হকার আমার হাতে ছোট্ট একটা ছানা তুলে দেয়। অদ্ভুত নরম আর মিষ্টি একটা উষ্ণতা হাতের তালুতে শিহরণ তুলে। বাবাকে ঘ্যাঁনঘ্যাঁন করে বলতে থাকি মুরগীর ছানা কিনে দেয়ার জন্য। বাবার অতো টাকা-পয়সা নেই। মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে বাবা। আর মার অনেকদিন ধরেই অসুখ। তাই সে কোনো
# আমাদের কলোনিতে উত্তাপ ছড়িয়ে যাবার মতো কোনো ঘটনা আজকাল ঘটে না দেখে জয়নাল চাচার মন বেজায় খারাপ। চাচা উত্তেজনা প্রিয় কোনো মানুষ নন। তাই তিনি যখন আজ চা বানাতে বানাতে বললেন- কলোনিটা মইরা গেল গা, তখন আমাদের অবাক না হয়ে উপায় থাকে না।
ঘটনার আরেকটু গভীরে গেলে স্পষ্ট হয় চাচার হাহাকারের পেছনের কারণ।
পূর্বের পাঠ : ছন্দে ছন্দে চলা ০১
গত পর্বে মাত্রাবৃত্ত নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। পর্যাপ্ত উদাহরণ দিতে পারিনি। পরে মনে হলো মূলপাঠের পর অনুশীলনীর মতো একটা কিছু না থাকলেও সমাধানকৃত সমস্যা (solved problems) তো থাকতে পারে। উপরি হিসেবে না হয় কিছু ভালো কবিতার রস আস্বাদনও করা গেল। তাই এই প্রচেষ্টা। তাই পড়ুয়াগণ (আমিও কিন্তু পড়ুয়াদের দলে, একই বেঞ্চে) আসুন, অক্ষর বৃত্ত নিয়ে আলোচনার আগে মাত্রাবৃত্তের যতটুকু শিখলাম তা একটু ঝালাই করে নিই।
জন্মনীড় ছেড়ে, চেনা মাঠ বন নদী পাহাড় ঝর্ণা সব কিছু ছেড়ে উড়াল দিয়েছিলাম, অচিন দেশের দিকে, জ্যোৎস্নাপালকের পাখিরা সেদিকে থাকে। জন্মজলের বিন্দুগুলো ঝরে পড়ে যাচ্ছিলো ডানা থেকে।
পরিবারের বড় কোনো মানুষ ছাড়া গৃহকর্মীদের সাহায্য নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে বাচ্চা পালতে গিয়ে আমি জীবনের গূঢ় দুইটা প্রশ্নের উত্তর জেনে গেলাম। উত্তর পরে দিচ্ছি প্রশ্নগুলো বলি।
একঃ পরিবারে শান্তির জন্য সবচে প্রয়োজনীয় কী?
দুইঃ জীবনের সব ঝামেলা আর দুঃখ কষ্টের জন্য দায়ী কে?
একটি প্রতিমন্তব্যে আশালতা জানিয়েছিলেন, " জীবনের গল্পে আবার ধনী-গরিব কিসের ? " আর তারেক অনু লিখেছিলেন, " সাদামাটা অনেক অনেক ঘটনায় মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখবেন, দেখবেন কেমন রত্নরাজি হয়ে ওঠে সেগুলো।"
সাহিত্য রচনা বরাবরই আমার আয়ত্বের বাইরে ছিলো, আছে এবং থাকবে। হাসান মামুনের "এলান কোয়াটারমেইন ও আয়েশা" পোস্টে অনুবাদ, পরিভাষা হেন তেন নিয়ে বিরাট পণ্ডিতি দেখানোর পর মনে হলো, উনি তো তাও সাহস করেছেন একটা উপন্যাসের অনুবাদ শুরু করার। আর আমি শুধুই বুলি কপচাচ্ছি, কখনো তো এক লাইন লিখেও দেখলাম না। কি আছে জীবনে, আমিও শুরু করে দিলাম। ভুল অবশ্যই অজস্র আছে। আপনাদের চাঁছাছোলা মন্তব্য আশা করছি। ক্রমশঃ শুধরে নেব।
--------মধ্য প্রজন্ম