আগের পোস্টগুলোতে ছবি নিয়ে শুধু গপ্পোই হচ্ছিল। আড্ডা, মন্তব্য ইত্যাদির ফাঁকে কেউ কেউ অনুরোধ করেছেন টিউটোরিয়াল দেওয়ার জন্য। এই পোস্টের গপ্পোটা তাই কিঞ্চিত শিক্ষণীয় গোছের।
যে কোন শিল্পের উপর দক্ষতা মোটা দাগে দুইটা জিনিসের উপর নির্ভর করে -
১। একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর মাধ্যমে ব্যক্তিগত অনুভবের শৈল্পিক রূপান্তর
২। এই রূপান্তরের টেকনিক বা কারিগরী দিক
ভাদ্র-আশ্বিনের এই এক ঝামেলা। এই ঝমাঝম বৃষ্টি, এই রোদ্দুর।
অন্যদের কি হয় জানিনা, তবে বৃষ্টি হলেই আমার মন ভিঁজে যায়, বলা ভাল ভিঁজেই থাকে। স্যাঁতস্যাঁতে পিছল উঠোনের শ্যাওলার মতন গন্ধ ছুটছে মনে হয়। ভাল্লাগেনা’ ভাবটা এতো প্রকট হয় যে মাঝে মাঝে নিজের উপরেই রাগ লাগে।
‘আরে! বর্ষাকালে বৃষ্টি হবেনা তো কি হবে…?'
কিছুদিন আগে এক বন্ধুর সাথে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। আসলে সদ্য পড়া একটা বই থেকে কিছু যুক্তি তুলে ধরে আমি নিজেকে খুব জ্ঞানী জ্ঞানী দেখানোর চেষ্টা করছিলাম আর কি। তো আমার বন্ধু আমার যুক্তির সাথে ঠিক এটে উঠতে পারছিল না। এ সময় তার সাথে থাকা একটা অল্প বয়সী মেয়ে হটাৎ বলে বসল আপনি কি জানেন ডাক্তাররা ব্যাবস্থা পত্রে RX কেন লেখে?
সন্ধ্যা সাড়ে ছটার কিছু পর। ল্যাপটপ বন্ধ করে সব গুছিয়ে নিচ্ছি। অদুরেই বসা একজন স্ক্যান্ডেনেভিয়ান কলিগ। হঠাৎ দেখলাম তার চেয়ারটা কেমন যেন দুল খাচ্ছে, বললাম ইউ আর শেকিং, প্রবাবলি আর্থ কোয়েক। এরপর দুজনেই কিয়ৎক্ষন অপেক্ষা করলাম ভেবে যে আর সব বারের মত দরজা পর্যন্ত যেতে যেতে থেমে যাবে। কিন্তু না এ যে দুলেই যাচ্ছে। অতএব আর অপেক্ষা না করে ল্যাপটপ টেবিলে রেখেই মোবাইলখানি নিয়ে সিড়ি ভেঙ্গে নেমে এলাম গ্রাউন্ডে।
ব্যাকরণের ক্লাসে এসে
রিতা আপা বলে,
এক নিয়মে সকল পড়া
কেমন করে চলে?
অনেকেই সঙ্গীত ব্যাপারটাকে একটা নেহাতই তামাশা বলে ঠাউরান। নইলে অন্য যেকোন বিষয়ে অনধিকারীগণ অনভিপ্রেত মন্তব্য করলে বিদগ্ধ-সমাজ তেড়ে মারতে যান; কিন্তু গান-বাজনার ব্যাপারে দেখি এক আশ্চর্য গা সওয়া ভাব। এ ব্যাপারে যে কেউ তার বালখিল্য মতামত সুধীসমাজে পেশ করবার অধিকারী!
স্বপ্নে এক মুক্তিযোদ্ধার সাথে বর্তমানের এক তরুণের দেখা। প্রথমজনই কথা শুরু করলেন।
-রাজাকার কারা?
-একাত্তরে যারা রাজাকার দলের সদস্য ছিল তারা।
-রাজাকাররা কি ঘৃণ্য?
অনেক, অনেক ছোটবেলার কথা । ১৯৯৪ সাল । তখন আমি বগুড়া জিলা স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র । বাসা ছিল কানছগাড়ী নামের একটা জায়গায় । ঠিক দুষ্টের শিরোমণি লঙ্কার রাজা না হলেও একেবারে কম ছিলাম না । আশেপাশের বেশ কয়েক বাসার সমবয়সী পিচ্চিদের নিয়ে মোটামুটি একটা বড় গ্রুপ ছিল যাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এলাকার বড় মানুষদের ভাল লাগার কোন কারন ছিল না ।
যে শিউলিফুলগুলোকে হয়তো আর কোনোদিন দেখা হবে না, তাদের স্মৃতির মাঠ থেকে খুঁজে খুঁজে শিশিরে ধুয়ে সাজিয়ে রাখি। আকাশে বাতাসে শরতের ছোঁয়া, রোদ্দুরে যাদু, এর ভিতরে কান পাতি, অনেক দূরের আমার শৈশবের প্রান্ত থেকে ভেসে আসে ঢাকের শব্দ, ডিং ডিডিং ডিডিং ডং। ঢাকীরা নানা রঙের পালক আর শুভ্র কাশফুল দিয়ে সাজ পরাতো ঢাকের। এখনও হয়তো পরায়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে রাগবি বিশ্বকাপ। মোট ২০টি দল চারটি পুলে বিভক্ত হয়ে লড়াই করছে একে অপরের সাথে। যদিও মাত্র কয়েকটা দল বাদে বাকি দলগুলো মাত্র একটা করে ম্যাচ খেলেছে, কিন্তু তাতেই উত্তেজনার পারদ উঠে পড়েছে অনেক উপরে।