০৪. ফড়িং ও ঘুড়ি
ছোটবেলায় ফড়িং ধারা ও ঘুড়ি উড়ানো এদু’টি বিষয়েই মায়ের কড়া নিষেধ ছিল। আমাদের দু’ভাইয়ের প্রায় প্রতিটি সকালই বেপোরোয়া হ’য়ে উঠতো ঘুড়ি উড়ানো অথবা ফড়িং ধরার নেশায়। একটি টকটকে লাল অথবা গাঢ় বেগুনী রঙের ফড়িঙের পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে কতো সকাল মধ্যাহ্নের কড়া নেড়েছে তার হিসাব নেই। স্কুল ছুটির পর সহপাঠিরা যখোন পোশাক ছেড়ে খেয়েদেয়ে লাঠিম অথবা গুলতির আড্ডায় মশগুল আমরা তখনো একটি লাল ফড়িঙের পিছু ছুটছি।
সিলভা
- সুমাদ্রি শেখর।
সিলভার মুখে সেই তেজ আমি আর দেখতে পাইনা। ওকে দেখলে এখন ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া কোন কুটিরের কথা মনে পড়ে।
কিছুটাতো ভুল রয়েই গেছে, রয়ে গেছে কিছু কিছু দায়!
যেমন হয়নি খোঁজা কোনদিন কিছু কিছু নাগরিক উপায় -
যা-দিয়ে সবাইকে যার যার মতো করে তৃপ্ত করা গেলে
এ-জীবন থেকে যেত পুরোপুরি নাগরিক নাগালে।
তাই কি হয় নাকি, সবকিছুতে কি আপোষ করা চলে,
সবকিছু কি করা যায়, যাওয়া যায় সবকিছু ফেলে? -
দিবাগত রাত মানে কি শুধুমাত্র দিবাগত রাত,
দরোজায় করাঘাত মানে-কি কেবলই দরোজায় করাঘাত!
০৩. ভ্রোমর ও কলি
হলুদ রঙের ঝুটিওয়ালা একটি কালো ভ্রোমর যে কতোরকম পুলক নিয়ে আসতে পারে স্কুল পলাতক কোন কিশোরের মনে; তা আমার চেয়ে আর কে বেশী জানবে? শীতের সকালে সকল আলস্যকে উপেক্ষা করে ছুটতাম আমরা কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ছাত্ররা। রাস্তার দুইধারে সাদা ভাটফুলের সুতীব্র গন্ধ ছুটতো আমাদের পিছু পিছু।
আমার ২মাস বয়সের পিচ্চিটাকে প্রায়ই প্রতিদিন এই গল্পটা বলে ঘুম পাড়ানোর (ব্যর্থ) চেস্টা করি। সচলের পাঠকদের জন্য গল্পটা হুবহু তুলে দিলাম:
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ভাগ্যিস আমাদের দুজনের দু’টি আলাদা অস্তিত্ব ছিলো
হয়তো সেজন্যই বিপন্নতার টানাপোড়নে
একে অন্যের জন্যে উদ্বিগ্ন হবার সুযোগ ছিল।
০২. ফিঙে ও শঙ্খচিল
সূর্য উঠার আগেই ঘর্মাক্ত শরীরে বিছানা ছাড়ি প্রতিদিন। বসন্তকাল, নরোম বাতাস, মাঠে বিশাল সবুজের সমারোহ। কৃষকরা আগাছা নিড়ানীতে ব্যস্ত। খেতের আলে ছড়িয়ে থাকা খুঁটিগুলোতে পুচ্ছ দুলাচ্ছে ফিঙেরা। সজাগ দৃষ্টি; ঠোঁটে ঘাস ফড়িঙের লালসা।
[justify]আমার মৃত্যুটা কীভাবে হবে আপনাকে বলি।
[justify]এক মুহুর্ত চোখদুটো একটু বন্ধ করুন। তারপর মনের চোখে ভাবুন একটা ছবি। কৃষ্ণবর্ণ একটা পুরুষ, শুধুমাত্র অতিক্ষুদ্র একটা ল্যাঙ্গোটে তার মধ্যপ্রদেশের নিম্নাঞ্চল আবৃত। হ্যাঁ, শুধু ল্যাঙ্গোটই নয়, তার শরীরে আরও কিছু আছে। পায়ে পরা একজোড়া বুট। অত্যন্ত শক্তিশালী স্প্রিং লাগানো। প্রতিটা পদক্ষেপে চলে যাচ্ছে ৮-১০ ফিট; এক লাফে উঠে যাচ্ছে একতলা বাড়ির ছাদে; অথবা গাছে। আর তার এক হাতে পরা একটা দস্তানা, অন্য হ
তুমি রোষ্ট বিফ পয়সা খসিয়ে তোমায় কিনেছি আমি
একান্ত সুখে পেঁয়াজ মিশিয়ে তোমায় রাঁধবো আমি