[justify] জগাখিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। আপনার পেট যদি ওশিলভের মতো কোমল হয় তবে সামনে এগুনোর আগে সাবধান! তবে আবারও বলতে হচ্ছে অশ্লীলতা খুবই আপেক্ষিক ব্যাপার। যেমন আমার মনে হয়, আমাদের ধর্ম এবং আরবী শিক্ষক ছিলেন ছিলেন চরম অশ্লীল!
১
প্রায় দুই দশক আগের একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে পরস্পর সম্পর্কহীন এই তথ্যগুলি হয়ত কৌতূহলোদ্দীপক, কিন্তু যুক্তির বিচারে কোনই গুরুত্ব বহন করে না। ১৯১০ সালে চট্টগ্রামে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ পাওয়া আইসিএস অফিসার ড্যাশের উড়িষ্যা থেকে আসা খাস বেয়ারার নাম ছিল দুর্গা, আবার তার রেকর্ড রুম পরিষ্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাঁওতালদের দলনেতার নামও ছিল দুর্গা মন্ডল। এদিকে আবার ১৯০০ সালে বার্মার লেফটেনেন্ট গভর্নর ফ্রেয়ারকে লেখা লর্ড কার্জনের চিঠিতে উল্লেখ করা “ক্রুসেড এগেনস্ট ইম্পিউরিটির” নেত্রী মিসেস অ্যাডা ক্যাসেলের বান্ধবীর নামও ছিল দুর্গা খান্ডেলওয়াল। অসমর্থিত একটা সূত্রে আবার জানা গেল নাজিমুদ্দিনের কাজিন, আহসান মঞ্জিলের নবাবের ঢাকাক্লাব-চারিণী স্ত্রীর পরিবারের দুর্গা নামের একটা মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ছিল।
কিন্তু এই বিশেষত্বহীন দুর্গা নামটা অস্পষ্টভাবে আপাত সম্পর্কহীন কিছু চরিত্র এবং সময়কে একটা সুতোর মধ্যে গেঁথে আনছে বলে মনে হল। ইচ্ছাকৃতভাবে রেখে যাওয়া কোন ক্লু? নিজেকে খুব একটা যুক্তিবাদি বলে দাবী করতে পারলাম না।
১. উৎসর্গ: মিশুক মুনীর, তারেক মাসুদ এবং তাদের মৃত তিন সঙ্গী
আজকাল মানুষের ভিড়ে মানুষ খুঁজিনা, নিজেকেই খুঁজি!
মানুষ এখন দ্রব্যগুণে মানুষ হয়ে গেছে, তাই বুঝি
মানুষ নগণ্য এখন, হয়ে গেছে নতজানু, পঙ্গু ক্রীতদাস -
এ-শুধু অক্ষম সময়ে টিকে থাকার সক্ষম প্রয়াস।
আজকাল মনুষ্যত্বের দাবি নিয়ে আসিনা মানুষের কাছে -
জেনে গেছি - ’মনু’ থেকে ’হুশ’ বিভাজিত হয়ে গেছে;
এ-কোন সারমর্ম নয়, নয় তর্কের খাতিরে আলোচনা,
আশির দশকের একদম শেষ দিকে আমার মামাতো ভাই যাকে আমি ভয়াবহ ভালোবেসে "মাম্মা” বলে ডাকি সেই মিঠু ভাই আমাকে প্রথম শোনান নিলয় দাসের গান। তারপর খালাতো ভাই টুটুল ভাই, মাম্মা, আমি, আমাদের ভাগনা-বেটা তমাল আর তন্ময় সহ আমরা একসাথে হলেই যখন অন্তত একটা গিটার বেজে উঠা শুরু হলো, তখন থেকেই নিলয় দার গান আমাদের গানের ভিড়ে ঠিকই জায়গা খুঁজে নিত।
‘মরার আগে করতে হবে’ ধরনের যে তালিকাটা আছে আমার, তার বেশ উপরের দিকেই ছিল— স্কাই ডাইভিং, বাঞ্জি জাম্পিং আর স্কুবা ডাইভিং। অস্ট্রেলিয়ার কেইর্নস বেড়াতে গিয়ে এক অভিযানেই এ তিনটি করার সুযোগ হয়েছিল আর সে অভিজ্ঞতা নিয়েই এই লেখা। আজকের পর্ব ট্যান্ডেম স্কাই ডাইভিং।
দশ বারো দিন আগে পরে আমাদের গ্রামের বাড়িটায় কোত্থেকে দুটো কুকুর এসে হাজির হল। রোগাভোগা শুকনো মলিন মুখ। একজনের আগুনেরঙা বড় বড় ঝোলানো লোম আরেকজন খয়েরি কালোয় মেশানো নেহাত দিশি চেহারা। আমাদের বাড়িটায় লোকজন নেই, সারাবছর খালিই পড়ে থাকে। তাই ওরা হাজির হল পাশের বাসায়। সেটা বড়মামার বাসা। সেখানে লম্বা টানা মাটির বারান্দায় তিন বেলা তিরিশ চল্লিশজনের পাত পড়ে। এরকম সম্পন্ন গেরস্থের বাসায় দুটো কুকু
[justify]যারা জগা খিচুড়ির প্রথম দুই পর্ব পড়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন এই খিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ। সুতরাং সামনে এগুনোর আগে সাবধান! তবে কিনা অশ্লীলতার সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। আমার নিজের কাছে যে কোন ধরনের ফ্লপ রসিকতাকে অশ্লীল মনে হয়। যেটা শুনে হাসি আসবে সেটা আবার অশ্লীল হবে কেন?
১. (উৎসর্গ: সুমন তুরহান)
অভিমানী হতে পারি, প্রতারক নই -
আলো নেই, কি করে সালোক-সংশ্লেষিত হই?
যান্ত্রিক পৃথিবীতে একরত্তি পিদিমের কতটুকু ঠাই -
তবুওতো আধপোড়া সলতের সুখ, প্রাণপণ জ্বলে যাই।
চাহিদার উপসংহার নেই, নেই দাড়ি, কমা, যতিচিহ্ন
কতদূর দিতে পারি? সুবিশাল আকাংখায়, সামর্থ্য সামান্য;
সব ধুপ শেষ হয়ে যায়, মৃদু হয় সবটুকু শ্বাস -
ফিরিয়ে দিতে পারো শেষ সহজ হাসি, সর্বশেষ উচ্ছ্বাস?
আজকাল বিভিন্ন ব্লগে আস্তিকতা বা নাস্তিকতা নিয়ে ভয়ানক আলোচনা হচ্ছে। স্পস্ট দুইটা পক্ষ দেখা যাচ্ছে। পক্ষ দুইটা যুক্তি, পাল্টা-যুক্তি, কু-যুক্তি দিয়ে সমানে লড়ে যাচ্ছে। প্রতটি ক্ষেত্রে এমন একটা সুর “আমি যেভাবে ব্যখ্যা করছি সেটাই সঠিক, আর সবাই ভুল”। পুরো ব্যাপারটা কি হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে না?
ছোটখাটো শ্যামলা চেহারার নাজমা বেগম থাকেন ছোট্ট এক উপজেলা শহরে। পরিবার পরিকল্পনা অফিসে হেলথ ভিজিটর পদে কাজ করেন, স্বামী সেই অফিসেই আরও নিচু এক ধাপের কর্মচারী। এঁদের ছেলেমেয়েরা মাঝে সাঝে শহরে বেড়াতে এলে আমাদের পাড়াসুদ্ধু বাচ্চাদের বড় দুঃখ হত। দুঃখটা বৈষয়িক। ওরা ওই বয়েসেই ব্যাটারিওলা গাড়ি, আলোজ্বলা কেডস এইসব দুর্লভ সম্পদের অধিকারি ছিল। একবার মেয়েকে সোনার ঘড়ি কিনে দিয়ে আমাদের সবাইকে তাক লাগি