অর্থহীন হলেও একটা সতর্কতা থাকলো না-হয়:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
…
৪
[এ পর্যায়ে এসে ক্রাইটন কিছুটা বিরক্তই হলেন। তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন জিনিসটা কোনদিকে যাচ্ছিলো।]
[ডক্টর গেলারকে] "আপনি কি বলতে চান? Do you think that I, uh, want to have sex with her?"
গেলার: "আমি জানি না। তুমি আমাকে বলো।"
"না। আমি চাই না।"
"তাহলে তোমার চিন্তার কি আছে?"
"আমি চিন্তিত না তো কিছু নিয়ে।"
"তুমি মাত্র আমাকে বললে তুমি নিশ্চিত না তুমি ওকে সামলাতে পারবে কি না।"
ইতিহাসে অনার্স পাশ করে টানা দুইবছর ধরে বেকার ছিলাম। শখানেক দরখাস্ত ফেলেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনেক ধরাধরি করে একটা ফার্নিচার কোম্পানিতে কেরানীর কাজ জোগাড় করলাম। দায়িত্ব হল কাঠের সাপ্লাইয়ের হিসাব রাখা। পোস্টিং একদমই অজানা-অচেনা এক গ্রামে। বেঈমান শহুরে জীবনের পাছায় লাথি মেরে চলে আসলাম।
কেমন আছি আমরা?
কেমন চলছে আমাদের সবকিছু?
কেমন আছে আমাদের দেশ?
উত্তর একটিই: ভালো নেই।
স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও নিজ ভূমিতে পরাধীন আমরা। স্বাধীনতার পর থেকে আত্তয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি-সামরিক সরকার দ্বারা আমরা নির্যাতিত। প্রতিদিন এত এত খারাপ সংবাদ শুনতে শুনতে ক্লান্ত আমি-আমরা।
[justify]১
চিত্র ১:
১৭৬৯। হাইতি। এখানে মাটির রঙ আলকাতরা-কালো, তারচে' বেশি কালো এই ফসলি জমির শ্রমিকদের গায়ের রঙ। ওরা ৪৪ জন। একটানা কাজ করছে সেই উষা থেকে, যখন সূর্যের-ও চোখ খুলে নি, আর এখন সূর্যের ঘুমিয়ে পড়ার সময়। পাক্কা ১২ ঘণ্টা। শ্বাপদের মতো সর্তক চোখে তাকিয়ে আছে শ্বেতাঙ্গ মনিব। কাজে একটু এদিক ওদিক হলে চাবুকের বাড়ি, গরম শিকের ছ্যাঁকা। ওরা কাজ করে যায়, মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে উঠলে উঁকিঝুঁকি মারে আশপাশে, দ্রুত লয়ে কথা বলে। ওরা কাজ করে যায়। নিয়তি। মানুষের অপমান। ঈশ্বরের নিস্পৃহতা। ওরা কাজ করে যায়। মার খায়। মরে যায়। বংশানুক্রমিক। হয়তো দিনের শেষে এক টুকরো রুটি ও জল মিলবে, ভাগ্য ভালো হলে মাংশ লেগে থাকা হাড়, সবজি-ভাজা। আর নিশাচর পাখির মতন থেকে থেকে ভেঙে যাওয়া ঘুম।
১
মাইকেল ক্রাইটন ডাক্তারি পড়তে চাননি। ডাক্তারি পড়ার সময়ই ছদ্মনামে উপন্যাস লিখে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বোঝাই যাচ্ছিলো বেশিদিন ডাক্তারি পড়া হবে না। লেখাতেই টান। শেষদিকে বলে শেষ করার একটা আগ্রহ কেবল।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন রোটেশন করানো হতো। ক্রাইটনের একটা রোটেশন পড়েছিল ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের সাইক ওয়ার্ডে।
২
জগা কিভাবে খিচুড়ি রান্না করেছিলো জানিনা কিন্তু আমি কিভাবে করেছিলাম সেটা অবশ্যই জানি। সেটা খেয়ে ওশিলভ্ হারামজাদার পেট নেমে গিয়েছিলো সেটাও জানি। কিন্তু সেটা যত না আমার খিচুড়ির গুনে তার চেয়ে অনেক বেশী ওর পেটের দোষে। তুর্কীই হোক আর তাজাক্ই হোক (ব্যটা এই দুটোর খিচুড়ি), এদের পেটে গরম মশলা পড়লেই পেট নেমে যায়।
ঘটনা একঃ
সুইজারল্যান্ড থেকে গতবছর দেশে গিয়েছিলাম বেড়াতে, গ্রামের বাড়ির দোকানে চা খাওয়ার সময় এক লোক আমার কাছে প্রশ্ন করে ‘ভাই আপনে কুন দেশে থাকেন?’, আমি বললাম সুইজারল্যান্ড, তারপর লোকটা আবার প্রশ্ন করে ‘ঐটা কি ইতালির লগে?’ আমি বললাম কাছাকাছি , তারপর সে আমাকে বলে ‘ভাই পলাইয়া ইতালি যানগা, তাড়াতাড়ি কাগজ পাইবেন, ইতালি হইল বড়লোকের দেশ’, সে আমাকে একটা দালান দেখাইয়া বলে ‘ঐযে বাড়িটা দেখতাছেন ঐটা মোবারকের পোলা ইতালির টাকা দিয়া বানাইছে’ ,
সূত্রধর!
ওহে নিরালা মানুষ, ঘরের আঁচলে খুদকুটো জমেছে যা,
তার সব নৈবদ্য জ্ঞানে পূজা করলেই দেখবে পূজারী মন
বেহালায় সংগত; সেইসাথে আলাপ জুড়ে দিতে একটা
মিঠেকাড়া মন্দিরা দূরাগত বাঁশীটাকে টেনে নেবে যখন -
তখন তুমি চাইলে একটা হারমোনিকা খঞ্জনির বোলে
যে গাইবেনা তার দিব্যি তোমাকে কে দিয়েছে কবে?
বাজো! গ্রহন লাগা ঘনঘোর নিশ্চিত জলের দেখা পাবে,
তারপর সাধিত গলায় জটাধর বিবাগী তুমি গেয়ে উঠলে -
[justify]আওয়াজ
প্রতিদিনের মতো রাতে টিভি খুলে দুর্ঘটনা, র্যাবের গুলি, ভুল চিকিৎসা, গণপিটুনি, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রবাহিনীর তাণ্ডব, যৌতুক, ধর্ষণ, পুলিশি নির্যাতন ইত্যাদি ইত্যাদিতে হতদের সংবাদ শুনি।
‘এইসব খবর শুনতে ভালো লাগে’- একজন হাততালি দিয়ে বলে। আমরা সায় দিয়ে হাততালির আওয়াজ বাড়াই।
নিওলিবারেল বাজার