সমুদ্রবিলাস!!
-- তানিম এহসান
১.
অসীম শূন্যতা তোমার!!
এতোটাই যে,
আমার যা কিছু শূন্যতা
সব ভেসে গেলো,
চলে গেলো তোমার আঁচলে;
এই দু’চোখের কোলে শূন্যতার বৃষ্টি ঝরেছিলো!
দু’চোখ সেই জল ধরে রেখেছিল দুঃখেরও বিলাসে,
সেই জল তীব্র বিগ্রহ আবেগে ঝরেনি।
আর সাগর!
কত সহজেই না জেনে নিলে তুমি
আমার দু’ফোটা ইতিহাস!!
সংবিধান সংশোধনে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলায় অনেকেই অসন্তুষ্ট। যারা দেশে প্রকৃত অর্থেই ধর্মনিরপেক্ষতা চেয়েছিলো তারাও অসন্তুষ্ট। একদিকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ বহাল রেখে আরেকদিকে আবার ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি কপচানো প্রকৃত অর্থে প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয়। দেশের উচ্চ আদালত এরকম প্রলাপীয় সংস্কার যদি সমর্থন করতে পারে, তাহলে সেই আদালত পরবর্তীতে যে আরো প্রলাপকে সমর্থন দেবে না, তার নিশ্চয়তা কী?
বিহ্বল হয়ে আছে মনথর আষাঢ়ের দিন
--------------- প্রখর রোদ্দুর
মধ্য দুপুরের কিছু পরে-
সিঁধেল চোরের মতো যেদিন একটু আঁচ,
মাড়োয়ারি কোকিলের কুউউউ বাশির ফুউউক,
লোলুপ বেড়ালের মতো মোম শিখা টুকুর উত্তাপে,
প্রথম পরশ দিয়েই,
অনবরত ছড়িয়ে গেছো স্পর্শের শিকড় বাকড়-
সেদিন বুঝি....
দিনাতিপাত সূর্য গ্রহনের হরিপদ উপোষ,
অমাবস্যা থেকে পূর্ণিমার হিসেব কষে যাওয়া খড়ি রঙ্গে,
ছুটির সন্ধ্যায় জম্পেস পারিবারিক আড্ডা চলছে, এর মাঝে ছোট্ট তুতুন মাকে জিজ্ঞেস করে বসল, আমি তোমার পেটে কি করে এলাম আম্মু ?
সর্বোপরি দায় থেকে যায় -!!
তানিম এহসান
খড়-বিচালি-ঘাসে-গাছে আগুন জ্বলে, আগুন জ্বলে জলের তাপে,
আগুন জ্বলে বাঁশবাগানের মাথার উপর খুব পুরাতন একটা চাঁদে -
কাজলা দিদি একাত্তরে বীরাঙ্গনা খেতাব পরে হারিয়ে গেছে পাথর চাপায়,
সেইনা থেকে কন্যা-জায়া-জননীদের দিন কাটেতো রাত কাটেনা;
ঘুম আসেনা নুর হোসেনের বাবা মায়ের - চরকা কাটে মর্মজ্বালা,
আরো কত ছেলে-মেয়ে পাজর জুড়ে গর্ব নিয়ে ঘুমিয়ে গেছে,
পথ চলতে গিয়ে অনেকের সাথেই দেখা হয়; সেটা হোক জীবন চলার পথে কিংবা দৈনন্দিনের ক্ষুদ্র গন্তব্যের পথে । কিছু মুখ মনে থাকে, কিছু মুখ হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অতলে । কিছু মুখ ভাবায়, কিছু মুখ জাগায় । এই মুখগুলো জায়গা করে নেয় হৃদয়ের কোনো অজানা কোণে । সবসময় নয়, মাঝে মাঝে হয়তো কোনো একাকিত্বের মুহূর্তে কিংবা কোনো কোলাহলমুখর ক্ষণে এরা ভেসে উঠে মনের পর্দায় ।
পরিমল জয়ধর নামের এক ভ্রষ্ট,
নিরীহ ছাত্রীটিকে দিলো সে কী কষ্ট!
তাই নিয়ে প্রতিবাদে মুখর আজ অঙ্গন
নৈতিকতার মূলে ধরে গেছে ভাঙ্গন।
সারা দেশ উত্তাল বিচারের দাবিতে,
সবকিছু নিয়ে তাই হবে আজ ভাবিতে।
মূল কাহিনীর শুরু ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে-
আমি নারী বলেই আমার বাবা আমাকে আদর করে মা-মণি বলে ডাকে আর আমার সন্তানও মা বলে জড়িয়ে ধরে পরম মমতায় আর নির্ভরতায়।নারী বলেই আমি হতে পারি কারো ভালোবাসার প্রিয় মানুষ, কারো জীবন সঙ্গিনী ।নারী বলেই আমার রক্তে মাংসে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে আমারই অংশ,আমার সন্তান আর আমি হই রতœগর্ভা ।আবার আমি নারী বলেই যৌতুকের দাবী মিটাতে না পেরে ভালোবাসার মানুষের হাতে আমাকে হতে হয় নির্যাতিত ।নারী বলেই আমার নিষ্পাপ মুখখানা ভালোবাসার ক্রোধের আগুনে ঝলসে যায় বারেবার আর আমি হই এসিডদগ্ধা ।নারী বলেই পথে ঘাটে লাঞ্ছনার স্বীকার হয়েও মাথা নীচু করে ঘরে ফিরতে হয় কোন প্রতিবাদ ছাড়াই ।নারী বলেই আমার নামের সাথে যোগ হয় বীরাঙ্গনা,নির্যাতিতা,ধর্ষিতা ।আর নারী বলেই আমাকে ব্রোথেলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয় ।সভ্য সমাজের দেয়াল আমাকে আটকে রাখে ঐ নিষিদ্ধ চার দেয়ালে সমাজকে কলুষমুক্ত রাখতে ।আর একটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের স্বপ্ন আবদ্ধ চার দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়ে বাজে আমার কানে প্রতিনিয়ত ।
‘দ্বিতীয় বিপ্লব’!!
- তানিম এহসান
ঘোর কলিকাল - নষ্টামীর এই দারুন সময়ে আজ তুমি কি লিখো,
কি লিখে ক্রোধের জল - নিজেকে সামলাও কবি?
এখানে ধানের ছড়ার মতন উন্মুখ উনুনেও বিলাপ,
এখানে ভিন্ন রাগে প্রতিদিন কাঁদে মানবতা,
প্রতিরাতে কোন এক নতুন নারী সুবাস বিকিকিনির
হাটে নতমুখে হেটে যায়; ধর্ষিতাকে আবার ধর্ষন করে সমাজ আর রাষ্ট্রযন্ত্র;
কচুর লতিতে লতিতে নুন মাখা নুন যায় শেষ হয়ে,