১.
প্রথম কবে কোনদিন বোহেমিয়ান র্যাপসডি শুনেছি মনে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পরে সম্ভবত। প্রথম শোনার পরের অনুভূতিটা মনে নেই। সেটা ছিল অনেকগুলো অনুভূতির মিশ্রণ। বিস্ময়, অবিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আরো নানারকম আবেগ মাথার ভেতর পেটের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিলো। তারপর আবার শুনলাম, তারপর আবার। শুনতেই থাকি। দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ। বাসায় বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন যেই আসে তাকেই বলি, একটা গান শুনবে। শুনতে না চাইলেও শোনাই। গান শুরু হওয়ার পর ব্যাপক কৌতূহল নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। যেই অনুভূতিগুলোর ছাপ দেখতে চাই, তা পাই না। হতাশ হই। অনেকে গানটা শুনে হাসে, অনেকে বলে ভালো। আমি আর শোনাই না। সেটা ছিল উপরের পাটিতে উচু হয়ে থাকা দাতের ফ্রেডি মারকারীর সাথে আমার প্রথম পরিচয়।
কতিপয় পিঁপড়া
ধুকধুক করে কিসের যেন শব্দ হচ্ছে। সে চমকে ওঠে, একটু ভয় ভয়ও করে। এদিক ওদিক নড়াচড়ার চেষ্টা করতেই সে বুঝতে পারে পুরোপুরি ডুবন্ত অবস্থায় আছে সে। সামনে বা পিছনে যাবার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সে শান্ত থাকে। কিন্তু শরীরকে কোনভাবেই আয়ত্বে আনা যাচ্ছে না, শরীরটা ঘুরেই যাচ্ছে, ঘুরেই যাচ্ছে। ধুকধুক শব্দটা মনে হচ্ছে তার ভেতর থেকেই আসছে। আতংকে চেঁচাতে চায় সে, কিন্তু কার উদ্দেশ্যে চেঁচাবে? সে আসলে কে?
শুরুতেই পুরনো সতর্কবাণী আবারও দিয়ে নিচ্ছি। জগাখিচুড়ি কোমল পেটে হজম হবার নয়। এ খিচুড়িতে বিভিন্ন ধরনের মসলা আছে, তাঁর মধ্যে কিঞ্চিৎ (!) অশ্লীলতার গন্ধ পেতে পারেন কেউ কেউ।
তুমি চলে গেলে
আরো খানিকটা নির্জন দিন পাবো
নিভৃত আঁধারে মসৃণ সুরে সত্ত্বাকে গড়ে নেব
১.
ব্যাকরণ অস্বীকার করলাম আজ আবার! আজ
অস্বীকার করলাম মানুষের হাতে তৈরি হওয়া সকল অভিধান; আজ থেকে
-সকল ধরাবাঁধা উপপাদ্য, গণিত, জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, নাম-ধাম, আচার-বিচার, ক্ষেত্রফল-রসকদম্ব- যোগ-বিয়োগ- গুণ-ভাগ, হরাইজন্টাল-মরাইজন্টাল, তত্ত্ব-তালাশ, কাঁটাতার-ব্যারিকেড;
এমনকি যাবতীয় রাক্ষস-খুক্ষস-দৈত্য-দানো-ভুত-পেত্নী-হুর-পরি, জহরত-মহরত, ইশারা-ইঙ্গিত, শান-শওকত;
[justify]সকালের শুরুটা খুব সাদামাটা। পূবদিকের জানালা দিয়ে নির্লজ্জের মত সূর্যের আলো চোখের উপর এসে পড়ে। নির্লজ্জের সাথে নির্লজ্জের মত ব্যাবহারই মানানসই। উল্টাদিকে ঘুরে সূর্যের বাপ মা তুলে গালি দিয়ে লুঙ্গি দিয়ে চোখের উপরটা ঢেকে নেয়, পাশে রাখা কোলবালিশের উপর বামপাটা তুলে দেয়। বিছানার পাশে কাউকে চোখে পরে না।
- সকাল হইতেই ভাগছে মাগী। টাকা ছাড়া এগুলি কিচ্ছু চিনে না!
অসন্তোষ
স্যাম সিলভা
[justify]
আম্মা কিসব চকলেট বিস্কুট কিনে এনে বাক্সটা র্যাপিং করে। বাক্সটা কিনে এনেছে কোন এক অনাথাশ্রমে দেবে বলে। সাঈফ নিচে নেমে খাবার ঘরের প্যাসেজে দাঁড়িয়ে। আম্মা তখনো ব্যস্ত র্যাপিং নিয়ে।
এক.
তারপর আর কোন কথা বাকি থাকবেনা কোনদিন, তারপর নীরবতা থেকে গেছে পনেরো-আনা --
এক আনা মানুষ বুঝেছো - যতখানি অনুবাদ করেছো- তার বেশী প্রশ্রয় দেবোনা!!
(২৭.০৮.২০১১)
দুই.
ধরে রাখতে শিখিনি, নাকি জোর করলেই হতো?
নাকি অধিকার আদায় করে নিতে হয় নিজের মত---
এই “নিজের মত” বলেই বলে দিতে পারি এখনি-
মদের বোতলে মাতালের থাকে
মৃতু্যর উল্লাস,
ছিপি খোলা হলে সংকেতে জাগে
চিনে বাসনের লাশ।
বিবমিষাময় ক্লান্ত নগরে
রজনীর চুল যতো,
তারও চেয়ে ঢের গিলেছো পাঁচন
রমনদূতের মতো।