১.
মোতালেবের মেজাজটা খিঁচড়ে আছে। রিসার্চ গ্র্যান্টটা মিলে গেছে, তারপরও। ৎসাইলবের্গারের ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসিটা সে ভুলতে পারছে না কিছুতেই। বুড়ো বিরাট খচ্চর।
ধবধবে সাদা পেয়ালায় কফি খেতে খেতে বুড়ো শুধু বলেছিলো, "অসীম হচ্ছে একটা বিমূর্ত বালছাল। ভুলো না কিন্তু।"
নূরী, ফেলী, বিউটীর মত শেফালী এই লাইনে আছে বহুদিন হয়ে গেল। তা প্রায় ছয় বছর তো হবেই। এই কাজে ঝামেলার শেষ নেই। ঝাকে ঝাকে গাও-গেরাম থেকে মেয়েছেলে এই শহরে এসে দিশে হারায়ে ফেলে। ভিড়ে যায় গতর খাটানির ব্যবসায়। গতরে যার যত চেকনাই, তার আয় রোজগার ততো বেশী। তবে শেফালী এই কামে বেশী দিন থাকতে চায় না। বড্ড বেশী ঝামেলা হয় আজকাল। পুলিশ বাবাদের অত্যাচার তো আছেই, তার উপর দিন দিন ভাগীদারদের সংখ্যা যেভাবে ব
(ছবিঃ কাযিমিরেয পি'হস্কি)
খুব নিশীথে জলের তিয়াস পেলে
হাতড়ে ফিরি তীব্র কালাহারি
বরফ শীতল জলের গেলাস ফেলে
শুয়েই থাকি বিষণ্ন বিচ্ছিরি
উই মেক এন্ড স্পিন দ্য ড্রিমস,
এ্যান্ড, উই মুভ উইদিন দ্য স্পিনস অব আওয়ার ড্রিমস।
- গৌতম রাজধ্যক্ষ (১৯৫০-২০১১)
ঘুঘু নেই; ঘুঘু ডাকে কবিতার নাড়িছেঁড়া নীড় কবিতায়,
কবিতা পাঠের শেষে, কয়েকটি অ-বিরল ঘুঘু খুঁজে পায়
কোন এক ডানা তার ডানাহীন, তারপর উড়ে যেতে চায়
পথহারা পথ ধরে ফেলে আসা গাবগাছ, জামের শাখায় -
তবুও ঘুঘুরা ডাকে - সকাতর অন্ধচোখ - চোখের ভাষায় -
ব্যথাহীন হৃদয়ের নীরবতা সব তার, অকাতরে হায়
বলে যায় সব ব্যথা! অথচ ঘুঘুর কথা কাব্যের খাতায়
লিখে ফেলে যদি কেউ, তবু তার সবটুকু কথা থেকে যায়!!
১।
মৌনতার মধ্যে কয়েকফোঁটা অনিশ্চয়তা মিশে আছে।
মাঝে মাঝে সেই গন্ধে বেঁচে উঠি
মাঝে মাঝে সেই গন্ধে মরে যাই!
২।
হৃদয় ওখানে নয়
হৃদয়ের বেশ দূরে আছো
ওখানে সমস্ত মেঘ
অতি তুচ্ছ বৃষ্টি যায় আসে।
অভিজ্ঞ তড়িৎ গতি
মাঝে মাঝে সামলে নেয়া ভালো
আমি তো জ্যোৎস্না চাই
তুমি শুধু অন্ধকার ঢালো!
৩।
নিজের মৃত্যু সম্পর্কিত একটা দৃশ্যে একটা পাখিকে একা একা গান গাইতে দেখি।
৪।
[justify]রাস্তার মধ্যে এক মুরুব্বী পাকড়াও করে বললেন, শুনলাম আজকাল নাকি গরম উদাস ছদ্মনামে পত্রিকায় কি সব অশ্লীল সাহিত্য রচনা করে যাচ্ছ। আমি মৃদু গলায় বললাম, আজ্ঞে গরম না চরম, পত্রিকা না ব্লগ, সাহিত্য না খিচুড়ি। সেই সাথে শ্লীল অশ্লীল নিয়ে একটা নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দেয়ার ইচ্ছে ছিল। সেই সুযোগ না দিয়ে তিনি পণ্ডিতমশাই এর মতো রোষকষায়িত লোচনে তাকিয়ে চলে গেলেন। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলাম, কানের কাছ দিয়
বাঙ্গালী!!
বাঙ্গালী তর্ক চেনে, গর্ত চেনে, দোষ চেনে, মন্দ চেনে-
বাঙ্গালী সূর্যের চাইতে বালির উত্তাপ বোঝে
বাঘের মামা টাগ বোঝে
নাট-বল্টু-ইস্ক্রুপ ঢিলা বোঝে
মেদ-ভুঁড়ি, ইশারা-ইঙ্গিত, সুড়সুড়ি বোঝে
এমনকি মাগনা পেলে আলকাতরা খাওয়া বোঝে,
বাঙালী সব বোঝে, জ্ঞান বোঝে, গরিমাও বোঝে -
বাঙালী শুধু ‘বাঙালী’ বোঝেনা!!
(২৯.০৮.২০১১)
সতর্কতা :
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
…