কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক
মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখ।।
ঈশ্বর মঞ্চে বসিয়া বসিয়া বিরক্ত মুখে পাতি স্বর্গদূত নেতাদিগের বক্তৃতা শুনিতেছিলেন। ইহারা কর্মে পটু না হইলেও মুখের জোরে একেকটি গগ ও মাগগ। হাতের নাগালে মাইক ঠেকিলেই ইহারা অগ্রপশ্চাৎ জ্ঞান হারাইয়া আসুরিক শক্তিতে আর্তনাদ করিতে থাকে। মাইক ছাড়াই ইহাদের আওয়াজ সায়হুনের তীর হইতে ফোরাতের পূর্ব পার পর্যন্ত পৌঁছিবে। ইহারা খায় কী?
আনু
সতর্কতা:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে
তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে !
...
১.
দেখেছি পাখীর ডানা আসলে ততটা কোমল নয়
আসলে ততটা কোমল নয় জলবতি নদী
কিংবা একটি রজনীগন্ধার আদ্যোপান্ত শরীর;
আমাদের অনুভূতির মত কোমল আর কোন কিছু নেই!
------------- ১৫.১০.২০১১ বরিশাল
২.
সব কথা যায়না বলা, এমনকি সব অনুভূতিও প্রকাশ করা যায়না!
বন্ধু, এতদূর শুনে ফেলো আর এত গভীরে দেখো বলে
তোমার শূণ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে যায় -
অসহ্য বিলাস!
[justify][=grey]বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে লেখা বড় কঠিন ব্যাপার। ভূতত্ত্ব বিষয়টি পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যার মত অতোটা জনপ্রিয় না হওয়ার কারণে ভূতত্ত্বে ব্যবহৃত খটমটে শব্দগুলোর কোন সুন্দর বাংলা প্রতিশব্দ তৈরি হয়নি। যেগুলো আছে সেগুলো এমনই দাঁতভাঙ্গা যে শব্দগুলো বাক্যে ব্যবহার করলে বাক্যের অর্থোদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে। সঙ্গত কারণে এ সিরিজটিতে প্রচুর বিদেশি শব্দ বেড়ার ফাঁক গলে লেখায় ঢুকে পড়ছে। তাই পাঠক
মারুফি ভাইয়ের সাথে পরিচয় ধানমণ্ডি লেকের আড্ডায়। রাইফেলস এর মার্কেট কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে সন্ধ্যার পর আমরা নানা কিসিমের লোক জড়ো হয়ে রাজাউজির মারি এবং তাদের স্ত্রীকন্যাদের নিয়ে আদিরসাত্মক গল্প ফাঁদি। একেক দিন একেক লোকের বন্ধুবান্ধব সেই আড্ডায় এসে জোটে, তাদের কেউ কেউ নিয়মিত আড্ডাধারীতে পরিণত হয়, কেউ হয়তো তর্কাতর্কি ঝগড়াবিবাদ করে সেই তল্লাট ছেড়ে বিবাগী হয়ে চলে যায়।
স্বর্গে প্রমত্তা জায়হুন নদীর তীরে ঈশ্বর বিরক্তমুখে পায়চারি করিতেছেন। অদূরে আদম উদাস মুখে বসিয়া বসিয়া বাদাম চিবাইতেছে। গিবরিল ঈশ্বরের পিছু পিছু সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখিয়া ডানা ঝাপটাইয়া বাতাস করিতেছে।
ঈশ্বর অস্ফূটে কহিলেন, "ফেরিঘাটে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ঠ্যাং দুটি ব্যথা হইয়া গেল!"
আদম হেঁড়ে গলায় গান ধরিল, "জায়হুন-ঢেউ রে এ এ এ, মোর শূন্য হৃদয় জায়হুন নিয়ে যা, যা রে ...।"
[justify]
১.
বিখাউজ বলে একটা রোগ আছে। ঢাকা কলেজের সামনে বিখাউজ রোগের ওষুধ বেচতে দেখেছি। যে কোনো জনবহুল স্থানে ওষুধ বিক্রেতারা এই রোগের ওষুধ বেচেন। সেই থেকে অনুমান করতে পারি যে এই অসুখটা মানুষজনের বেশ হয়। আমিও মাঝে মাঝে বিখাউজ রোগে আক্রান্ত হই, সে সময়ে যাই দেখি সেটাই বিখাউজ লাগে। বতর্মানে সেই বিখাউজ রোগ চলছে। সকালে এক পশলা বিখাউজ বৃষ্টি দেখে, একটা বিখাউজ জ্যাম পেরিয়ে, আমাদের অফিসের বিখাউজ লাল রঙের (যেটার আগে অন্য রঙ ছিল, বিভিন্ন জায়গায় জং-টং ধরে লালচে হয়ে গেছে) ভবনে ঢুকে, দৈনন্দিন বিখাউজ কাজ সেরে বিখাউজ এই লেখাটা শুরু করলাম।