ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঈদের সপ্তাহটা কাটানোর পরিকল্পনায় ষষ্ঠ পাণ্ডবের পুরানো এক ফেসবুক-স্ট্যাটাসের ভুমিকা অনস্বীকার্য। ইচ্ছা ছিল অন্তত একটা সপ্তাহ ফোন এবং ইন্টারনেটের সংস্পর্শ ছাড়া থাকব।
কাজের ছেলে বা কাজের মেয়েকে পশুর মত পিটানো নিয়ে প্রত্যেক মাসে একটা করে প্রতিবেদন আসে পত্রিকাগুলোতে। এসব ঘটনা নিঃসন্দেহে হিমশৈলের চূড়ামাত্র। পত্রিকার সাংবাদিকের নজরে না আসা এরকম আরো হাজারটা নির্যাতনের ঘটনা নিশ্চয়ই আমাদের অগোচরে থেকে যায়।
শাকের ভাইকে দেখে মনে হয়, ভাটার টানে তাঁর শরীর থেকে সব মেদমাংস নেমে চলে গেছে গভীর সাগরে, আর ভেতর থেকে জেগে উঠে আকাশ দেখছে তাঁর হাড়গোড়। তেমন স্বাস্থ্যবান তিনি কখনোই ছিলেন না, কিন্তু যতটুকু থাকলে একটা মানুষকে তার চেহারা ধরে চেনা যায়, তার নাম উঠে আসে মুখে, তার সবই যেন ভেসে গেছে ব্যাধির দুরন্ত টানে। অবশিষ্ট সে অস্থিবিব্রত শরীরটুকু নিয়ে তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন।
ডাইনিংএ মেয়েটার সাথে প্রায় প্রতিদিন দেখা হয়। এটা একটা আশ্চর্য ব্যপার। ওর খেতে যাওয়ার সময়ের কোন ঠিক নেই। খাওয়া দাওয়ায় ওর বরাবরই অনিয়ম। দেশে থাকতে তাও বাসার সবার সাথে বসে সবার সাথে খাওয়া হত, তাই কিছুটা হলেও একটা সময়সূচী ছিল। কিন্তু এখন তো সেরকম কোন বালাই নেই। কোনদিন ডিনার করে সন্ধ্যা ছয়টায় তো কোনদিন রাত বারটায়। কিন্তু ডাইনিং এ যাওয়ার তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে মেয়েটা হাজির। কোন কথা বলে না মেয়েটা। একটু নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসে থাকে শুধু।
তোমার দোরে ফিরছে দূরের গাড়ির ঘোড়া
তোমার বাবা ঘোড়ার পায়ে পরাচ্ছে নাল
একটু দূরে জ্বলছে আগুন, কয়লা কালো
দেখছে তোমায়, পুড়ছে, জ্বলে হচ্ছে সে লাল
তোমার কুটির খুঁজছে দূরের অন্ধ নদী
চাইছে বুঝি বাঁকের হদিশ তোমার কাছে
একটু দূরে চুপটি ঝোলে একলা বাদুড়
তোমার পোষা অন্ধকারে হিজল গাছে
ঈশ্বর গলা খাঁকরাইয়া কহিলেন, "ব্যাপার কী আদম, এই প্রাতঃকালে তোমার এইরূপ উত্থিত দশা কেন? চুরি করিয়া নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণ কর নাই তো?"
আদম গোঁ গোঁ করিয়া কহিল, "ঈভের জামাকাপড় ঠিক নাই।"
ঈশ্বর কহিলেন, "তাই বলিয়া তুমি এইরূপে তোমার শ্রীলঙ্কাটিকে বাগাইয়া চলাফিরা করিবে?"
[justify]জাফর ইকবাল স্যারকে নিয়ে সম্প্রতি বেশ তর্কবিতর্ক চলছে ফেসবুক আর ব্লগে। দু পক্ষই যুক্তি কিংবা কুযুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থান থেকে বেশ কয়েক ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। আমি এ বিতর্কে হয়ত নতুন কিছু যোগ করতে পারব না, তবে নিজের চিন্তাটুকু সবাইকে জানাতে চাই।
সিটটা ফোনেই বুকিং দেওয়া ছিল। পাশের সিটে কে বসবে জানি না। হবে কেউ একজন। পড়ে পড়ে নাক ডেকে ঘুমাবে। মাঝে মাঝে ঝাঁকি খেয়ে আমার গায়ের উপর এসে পড়বে। এ আর নতুন কী? আগুনে হাওয়ার আদর অতীষ্ট করে তুলবে সারাদিন। টানা দশ ঘণ্টা একা একা বোকার মত বসে থাকা নিজেকে শাস্তি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। সাথে আছে আজকের প্রথম আলো। জার্নিটা তাই বোরিং না হওয়ার কোন কারণই নেই।
আমার পাকি রুমমেটের সাথে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো। ইমরান খান সম্প্রতি পাকিস্তানের ভোটের রাজনীতিতে নিজেকে একটা জোরালো চলক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, লাহোরে তার ডাকা সমাবেশে নাকি প্রায় চার লক্ষ লোক সমবেত হয়েছিলো, ইতিমধ্যে পাঞ্জাবের তৃতীয় প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তিনি মাথা তুলেছেন, উত্তরপশ্চিম সীমান্তপ্রদেশেও তিনি বেশ জনপ্রিয়, ইত্যাদি শুনছিলাম। সৈয়দ আবার ইমরান খানের বেজায় ভক্ত। তাকে সেনাবাহিনী আর আমলাতন্ত্র নিয়ে কিছু কথা জিজ্ঞেস করতেই বেচারা ব্যাজার হয়ে গেলো। তবে আরো যেটা জানলাম, ইমরানের এই উত্থানকে স্বাগত জানাচ্ছে পাকিস্তানের মিডিয়া।
আগের পর্বগুলো:
তৃতীয় পর্বে আমরা জেনেছি ভূমিকম্পের ফলে ভূগর্ভে শিলাস্তরে বিচ্যুতি সৃষ্টির মাধ্যমে শক্তি নিঃসৃত হয়। সেই শক্তি তরঙ্গাকারে প্রবাহিত হওয়ার সময় শিলাস্তরের কণাগুলোকে বিভিন্নভাবে আন্দোলিত করে। শিলাস্তরের আন্দোলনের প্রকৃতি অনুসারে ভূ–অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত তরঙ্গগুলোকে P ও S ওয়েভ নামে ডাকা হয়; ভূপৃষ্ঠ দিয়ে প্রবাহিত তরঙ্গ দুটোর নাম Rayleigh ও Love ওয়েভ।