প্রধানমন্ত্রীর অফিসে আজ বাংলাদেশের বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান আর রুশ আণবিক শক্তি কর্পোরশন রোসাটমের মহাপরিচালক সের্গেই কিরিয়েঙ্কো চুক্তি স্বাক্ষর করলেন [১]। চুক্তি মোতাবেক, পাবনার রূপপুরে দু'টি নিউক্লিয়ার শক্তিকেন্দ্র স্থাপনে কারিগরি সহায়তা করবে রোসাটম। শক্তিকেন্দ্র দু'টির ইনস্টল্ড ক্যাপাসিটি হবে প্রতিটি এক গিগাওয়াট। প্রকল্পটির আকার বোঝানোর জন্যে বলছি
গ্রীসের একেবারে দক্ষিণের শান্ত শহর কালামাতা। একেবারে মেডিটেরিয়ান সী এর কোলঘেঁষা শহর। শহরের একেবারে দক্ষিণে সাগরের কোল ঘেঁষে চলে গেছে একটা রাস্তা, পসিডোনাস এভিনিউ। এমনিতে খুব বেশী লোকসমাগমস নেই, শহরটার মতই শান্ত, কিন্তু মাঝে মাঝে আশে-পাশের বাড়িঘরের মানুষের কান ঝালাপালা করে প্রচণ্ড গর্জন করে চলে যায় রেসিং কার। কার রেসিং এই রাস্তায় নিত্যদিনের ঘটনা। রাস্তার দক্ষিণে সাগর, নগরের শাসনে অনেকটাই শান্ত। ইয়াট আর স্পিডবোটের জন্যে জেটি করা আছে সেখানে।
আমরা আর গাড়ি চালাবো না। ইলিয়াস কাঞ্চন, তারানা হালিম, আর যে শালারা অনশন করিছে, সবগুলোরে ধইরে স্টিয়ারিং-এ বসায়ে দিলি ঠিক হবেনে।
আদম পাড়ার চায়ের টংদোকানের সম্মুখে দাঁড়াইয়া একটি ভাঁড়ে করিয়া সুরুৎ সুরুৎ চা পান করিতে করিতে মুচকি হাসিতেছিল। গিবরিল ডানা ঝাপটাইয়া নামিয়া আসিয়া শুধাইল, "ভাই আদম, খাটাশের ন্যায় হাসিতেছ কেন?"
আদম চক্ষু টিপিয়া কহিল, "ঈভকে এইবার এমন ইসকুরু টাইট দানের এন্তেজাম করিয়াছি ওহে গিবরিল, স্বয়ং ঈশ্বরও তাহাকে রক্ষা করিতে অপারগ।"
১.
আমাদের জীবনটাই হিমশৈলের চূড়ায় কাটে। সব ঘটনা, দুর্ঘটনা, সিদ্ধান্ত, তর্কবিতর্ক সেই হিমশৈলের চূড়াতেই নিষ্পন্ন হয়। বাকিটা জলের কত গভীরে নেমে গেছে, তা নিয়ে আমাদের অনেকেরই মাথাব্যথা নেই।
কারণ আমাদের অনেকের মাথাই নেই। যাদের আছে, তাদের অনেকে সেটা খামোকা ব্যথা করাতে চায় না।
ফররুখ ভাইকে প্রথমটায় চিনতেই পারিনি। কামরুলকে তাই নির্বিকার চিত্তে যা-তা বলে গালাগালি করেই যাচ্ছিলাম। কামরুল নিরীহ ভালোমানুষ, এক একটা গালি খায় আর প্রতিবাদ করে। শেষমেশ যখন পরিচারিকারমণের অভিযোগ অস্বীকার করে সে ডুকরে উঠলো, তখন দূরে এক জোড়া কোঁচকানো ভুরু দেখে ফররুখ ভাইকে চিনতে পারলাম।
কিন্তু, কিমাশ্চর্যম, ফররুখ ভাইয়ের এই হাল কেন?
এসেছিলাম পাত্রী দেখতে। তিন বোন সামসুন্নাহার, নুরুন্নাহার আর নাজমুন্নাহার। সবাই মিলে আমাকে বলে, বেছে নাও।
ছোটভাই বলে,
- ASL Plz
তিনজনেই লাজুক হেসে বলে, এইট্টিন এফ মালিবাগ চৌধুরীপাড়া
দুলাভাই অ্যাসট্রেতে পানের পিক ফেলতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে কুত করে গিলে ফেলে বলে,
-মেয়ে কি গান জানে?
তুমি আমায় ডেকে ছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে-১
৬।
“তুমি কবিতা শুনেছো কখনো?” জিজ্ঞেস করে রিশান।
“শুনেছি। তবে খুব কম।" বলে মৌ।
“তোমাকে আমার একটা প্রিয় কবিতা শোনাই?” জিজ্ঞেস করে রিশান
“শোনাতে পারো তবে আমি কবিতা বেশী ভালো বুঝি না। গান এমন করে শোনাতে চাইলে বেশী ভালো হতো।" মিটমিট করে হাসতে হাসতে বলে মৌ।
টিএ শেষ করেই এক দৌড়ে বিল্ডিংএর পাঁচতলায় উঠে যায়। মাথায় বনবন করে সেই এক কথাই ঘুরছে শুধু, কামালি আর অনি, অনি আর কামালি, যোগসূত্রটা কোথায়? কিছুতেই ভেবে পায়না। মাথায় ঘুরতে থাকে অনির রেখে যাওয়া সেই নোট আর ছয়টা সার্কেল আর ছয়টা নাম। কামালির রুমে গিয়ে একটু দেখতে চায়, কোন অন্যরকম কিছু চোখে পড়ে কিনা। অন্যরকম কিছু কেন খুঁজছে হেলাল? অন্যরকম কোন কিছুতে তো ওর বিশ্বাস নেই! কিন্তু অনির ওই নোটের কথা শোনার পর থেকে হুট করে সবকিছু উড়িয়েও দিতে পারছেনা। এতদিনের বিশ্বাসে কি একটু চিঁড় ধরে ওর? বিশ্বাস কি এত সস্তা? নিজের মনে ভাবতে ভাবতে পাঁচতলায় উঠে আসে।