গিবরিল আসিয়া হাঁপাইতে হাঁপাইতে কহিল, "শিগগীর আইস, সর্বনাশ ঘটিতেছে!"
আদম খড়শয্যায় অর্ধশায়িত হইয়া সাভিনিবেশে একটি পাতলা পুস্তক পাঠ করিতেছিল, মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটায় সে চটিয়া কহিল, "সর্বনাশের জন্য কিছু বাকি আছে নাকি? আমার যা কিছু ছিল বুঢ়বাক ঈশ্বরের চক্রান্তে মাটি হইয়াছে। মহাপ্লাবনে স্বর্গ ডুবিলেও আমার কিছু আসে যায় না হে গিবরিল!"
নভেম্বর ১৯, ২০১১
[এ লেখাটা যাঁর জন্য তাঁর মন আজকে অসম্ভব খারাপ। মন খারাপ কখনো কখনো ব্যাখ্যাহীনরকম সংক্রামক। মন তাই আমাদেরও খারাপ। হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি আবারও হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠুন, কায়মনোবাক্যে তাঁর জন্য এই শুভকামনা।
...তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে....। মঙ্গল হোক সবার।]
এমনি করেই বিদায় যদি হয়,
হয় কি তবে থাকার কোন মানে?
নাই যদি কেউ বুঝলো কিছু কথা,
মূল্য কি আর রইল কোন খানে?
চৌর্যবৃত্তি আর নানা ব্যবসায় অনেক অযাচিত ঝামেলায় পড়ার পর মাইনকা চোরা সিদ্ধান্ত নিল এইবার সে ভালো হয়ে যাবে। ভাবনাটাতেই অনেক শান্তি শান্তি লাগতে লাগলো। দিন দশেক আগে পাশের পাড়ার সন্ত'র বাড়ী থেকে হাপিস করে দেয়া বইগুলো'র দিকে তাকিয়ে আপসোস হলো তার - এখনও বিক্রী করা যায়নাই। অন্য তেমন কিছু নাপেয়ে বইগুলোই জেদ করে নিয়ে এসেছিলো। পুরনো বই থেকে লাভ হয়না। ওজন বেশী, সাইজে বড় কিন্তু দাম কম। ব্যাটা সন্ত'র বাড়ীতে এক
এক খানা কৌতুক বলিয়া শুরু করা যাক। পূর্বে শুনিয়া থাকিবেন হয়ত, স্বর্গের দুয়ারে প্রবেশের পূর্বে অনেক প্রকার ঘটনা ঘটিয়া থাকে, সেই রূপ একখানি ঘটনা সংশ্লিষ্ট কৌতুক।
হ্রদের তীরে একটি মন্দসমীরণপুষ্পবিভূষণকোকিলকূজিত কুঞ্জের কোণে কদম্বতরুর দিকে চাহিয়া ঈশ্বর উলু দিয়া উঠিয়া কহিলেন, "কেউ কি একটি বাঁশি যোগাড় করিতে পার?"
আদম গিবরিলের পঞ্জরে কনুই দ্বারা খোঁচা মারিয়া কহিল, "যাও হে দূত, তোমার ফরমায়েশ খাটিবার ওয়াক্ত নজদিক।"
গিবরিল বিরস কণ্ঠে কহিল, "আমি শুধু বার্তা বহন করি ওহে আদম! বাঁশি সংগ্রহের কর্ম সে আমার নহে।"
শাহিদা বেগমের বয়স ষাটের কাছাকাছি ।তিনি থাকেন তার বড় ছেলে শিহাবের সঙ্গে ঢাকা শহরের এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ।যদিও তার মন পড়ে থাকে ছোট্ট গাঁয়ে,যেখানে তিনি সংসার শুরু করেছিলেন অনেক বছর আগে।কিন্তু সংসারটা ঠিকমতো গোছাতেও পারেননি।হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনা স্বামীকে তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়।তখন ছেলেটির বয়স ছয় আর মেয়েটি দুই বছরের ।সেই থেকে তার একলা চলার সংগ্রাম শুরু ।রাতদিন খাটা খাটনি করেছেন ছেলেমেয়ের জন্য ।
সম্প্রতি শওকত আলী খান হীরণ নামে এক আদম বিয়ের আসরেই যৌতুক আদায়ের জন্য চাপাচাপি করতে গিয়ে ফিরতি স্ট্রোকে সদ্য পরিণীতা স্ত্রীর কাছ থেকে তালাক খেয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। শুনলাম, এই ব্যাটা প্রথম আলোর বন্ধুসভার কেষ্টুবিষ্টু, ডিজিটাল পটুয়াখালির প্রণেতা (মানে সাথে ল্যাপটপ আছে আর কি), স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি সমাজের অ্যানালগ ও ডিজিটাল দুই ধরনের উন্নয়নের সাথে জড়িত ব্যক্তিটি বিয়ের মঞ্চ থেকে পেছন তুলতে না তুলতেই একটা মোটর সাইকেল, একটা ফ্রিজ আর একটা টেলিভিশনের জন্য এত বেয়াকুল হলেন কেন, কে জানে! কিন্তু তার কপালে বিশদ আলেখ্যি লিখিত, সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট দু'টি মন্ত্রকের মন্ত্রীদের কাছ থেকেই এ ব্যাপারে বিভাগীয় ইসকুরু টাইটের আভাস এসেছে।
রূপকথা
তারা ছিল তিন রাজ্যের যমজ কুমার,
প্রথম রাজ্যের যমজ কুমার আনন্দ ও দুঃখ,
দ্বিতীয় রাজ্যের যমজ কুমার রাগ ও অভিমান,
তৃতীয় রাজ্যের যমজ কুমার বুদ্ধিমান আর বোকা।
একদিন তারা সবাই শুনল ঢেঁড়া পিটিয়ে ঘোষণা হচ্ছে
সুন্দর রাজ্যের রাজকন্যা ভালোবাসা স্বয়ংবরা হবে
ছয় কুমার প্রস্তুত হল রাজকন্যার স্বয়ংবর সভায় যাবার জন্য।
[justify]মানুষের পক্ষে নাস্তিক মুসলমান হওয়া সম্ভব হইতেও পারে। কিন্তু সেইরকম কইরা ভাবার চল নাই। একজন মানুষ নাস্তিক মুসলমান হইতে পারে বললে সবার আগে বাগড়া দিবে মোল্লারা, আলেম ওলামারা, কেতাবি বুজুর্গরা। ধর্মরে চোখা চোখা ধার দিয়া এনারাই দেখেন। ধর্মরে ধারও দেন এনারাই। শুধু মুসলমানের ধর্ম না, সব ধর্মেই এনারা আছেন। কে মুসলমান আর কে মুসলমান না, কীভাবে মুসলমান হওয়া যায় বা যায় না, এইসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর