- আমাকে কি আপনার বেহায়া মনে হয়?
কাতর স্বরে মতিন বদরুল ভাইকে প্রশ্ন করে।
- ইট ডিপেন্ডস। ফার্স্ট আমাদের জানতে হবে হায়া কথাটার মানে কি? হায়া জিনিসটার মানে জানোস নাকি কেউ?
-ধুরো, আপনে খালি ত্যানা প্যাঁচান। সোজাসুজি বলেন না।
অতৃপ্ত সময়ের নির্জন দিনলিপি
এক.
[justify]গেল বছর পুরোটাটাই দৌড়ের উপ্রে গেছে। বিশেষ করে শেষের আটটা মাস ছিলো নাটকীয় সব উত্থানপতনে পূর্ণ। সময় পেলে প্রতিদিনই খানকয়েক ব্লগরব্লগর ড্রাফট করে রাখা যেত। কিন্তু থিতু হয়ে বসার সুযোগ এতই কম ছিলো যে খুচরো কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস ছাড়া অনলাইনের খসড়াখাতায় বিশেষ কিছু জমা পড়েনি। দৌড়াতে দৌড়াতেই দৃশ্যপট এত দ্রুত বদলে যাচ্ছিলো যে আমার স্ট্যাটাসাসক্ত মনও সব খবরাখবর স্ট্যাটাসে তুলে দিতে পারছিলো না সময়মতো
আমাকে টান মারে রাত্রি জাগানো দিন
আমাকে টানে গূঢ় অন্ধকার
আমার ঘুম ভেঙ্গে হঠাৎ খুলে যায়
মধ্য রাত্রির বন্ধ দ্বার...
জিউস আমেরিকান ঈগল আলখেল্লাটাতে আরমানি পারফিউমে লাগাইতে লাগাইতে বাফেলো সোলজার গানটির সুর ভাজছিলেন।
হেরা মাছের সস্প্যান উল্টাইতে উল্টাইতে কিচেন থেকে গলা উচিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এই ভরদুপুরে যাও কই তুমি? দুপুরে একটু ওপেন্টি বাইস্কোপ খেলমু ভাবছিলাম।
জিউস বগলদেশে স্প্রে করতে করতে বললেন, জব ইজ জব ইউ নো বেবি। দরবারে যাইতে হইব একটু; মক্কেল আইছে, যাইতাছি বাট সন্ধ্যার আগেই আয়া পড়ুম, প্রমিজ। বাই হানি।
বাংলাদেশের ভাল ছাত্ররা কি বিদেশে চলে যাচ্ছে? এই নিয়ে আমি আগে বেশ কিছু লেখা পড়েছি। সচলায়তনের চটজলদি প্রোফাইল দেখলে ঘটনাটা সত্যি বলে ধরে নেওয়া যায়। মোটামুটি বুয়েটিয়ান বলে যে ক'জনকে চিনি তারা সকলেই বিদেশে অবস্থানরত - হিমু জার্মানীতে, জাহিদ কানাডায় বা মুর্শেদ আমেরিকায়। দিনকয়েক আগে আমি নিজের লিঙ্কড-ইন প্রোফাইল আপডেট করার সময় দেখলাম লিঙ্কডইন সুন্দর পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পিছু। লিঙ্কডইনে আমার বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান লিখে নিয়ে বুয়েট-সংক্রান্ত হিসাব শুরু করলাম। যা হিসাব পেলাম তা নিয়েই পোস্ট।
২০০৮ সালের কথা আমি তখন মেডিকেল কলেজে চতুর্থ বর্ষে পড়ি। আমার এক সহপাঠী বন্ধু আমাকে বলেছিল,কি বিয়ে টিয়ে বসবি না ?
আমি তার দিকে প্রশ্নপূর্ন দৃষ্টিতে তাকাতেই সে বলল,বয়স তো আর কম হয়নি ?
আমি বললাম,তোর প্রথম প্রশ্নটাইতো ঠিক মতো বুঝতে পারিনি আবার দ্বিতীয় প্রশ্ন করছিস কেন ?
সে বলল, বুঝতে পারছিস না কেন ? আমি কি হিব্র“ ভাষায় কথা বলছি ?
আমাদের যা নেই
তাই নিয়ে ডেকে গেল একটা লাজুক ঘুঘু
তার ডাকের ভেতর তৈরি হয়েছিলো কতগুলো মহাকাব্য?
দৃশ্যের ভেতর যা নেই
তার ইতিহাস তৈরি হয় অচিন অক্ষরে
আমরা নই সেই ভূবনের বাসিন্দা
পুরানকথা, পর্ব-৮ (ভারতকথাও বটে)
সংহিতা যুগে কোন ক্ষেত্রেই রমণীর সতীত্ব, পদমর্যাদা, সমাজ প্রতিষ্ঠা, কোন কিছুই ক্ষুণ্ম বা ম্লান হতোনা। অর্থাৎ দৈহিক শুচিতা সম্পর্কে কোন গুরুত্ব আরোপ করা হতোনা।
পুরানকথা, পর্ব-৮ (ভারতকথাও বটে)