[এইটা একটা ফাঁকিবাজি পর্ব]
আর কথা খুঁজে পায় না। চুপ হয়ে যায় দু'জনেই, বেশ কিছুক্ষণের জন্যে। বেশ অস্বস্তিকর নীরবতা বেশ কিছুক্ষণ। এদিকে মনে মনে অস্থির হয়ে উঠছে হেলাল। একবার ঘড়ির দিকে তাকায়। বেশী সময় আর হাতে নেই। আরও ছোটখাট কিছু কাজ এখনও বাকি রয়ে গেছে।
সকালবেলা যেদিন ক্লাস থাকে সেদিন ভার্সিটি যাবার সময় ছোট ছোট বাচ্চাদের যখন মায়ের হাত ধরে স্কুলে যেতে দেখি তখন আগের দিনের এই সময়গুলোর কথা মনে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে মনে হয়, কিভাবে ১২টা বছর সকাল ৮টায় ক্লাস করতাম! অবাক লাগে ভাবতে। দেখি, ছোট ছোট মানুষ, কাঁধে বিশাল বড় বড় ব্যাগ!
আজ খুব সকালে ঘুম ভাঙল আমার। সকাল ৮ টায় একটা ক্লাস আছে। সকাল ৮ টার ক্লাস সাধারণত আমি করি না। কিন্তু আজ কেন যেন মনে হচ্ছে আজ একটা অন্যরকম দিন। যাই হোক, সকালে উঠেই মুখে ব্রাশ ঢুকিয়ে বাথরুমে ঢুকলাম গোসল করার জন্য। ঢুকেই যে জিনিসটা দেখে খুব অবাক হলাম তা হল কলে পানি আছে। গত চারদিন ধরে তো এলাকাতেই পানি নাই। বুঝলাম না কিছু।
১.
হাসানুজ্জামান টের পায়, তার মুখে একটা হাসি ফুটে আছে। সেটা এই পরিস্থিতিতে তাকে খুব একটা সাহায্য করবে না, তা সে জানে, কিন্তু হাসিটা মুছতে গিয়ে কষ্ট হয় তার।
.
…
[ গৌড়চন্দ্রিকা: নতুন সচলরা হয়তো জানেন না যে, এককালে সচলে নিয়মিত ইয়োগা'র আসর বসতো। এখন যাদেরকে বুড়ো সচল হিসেবে জানেন, তিনারা নিয়মিত ইয়োগা সেবন করিতেন। তাদেরকে সেই পুরনো দিনের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়া আর নতুনদেরকে সেই পুরনো লিংকটা ধরিয়ে দেয়ার জন্যেই মূলত আজকের পর্বটা। তবে এটা বলে রাখা ভালো যে, পর্বটা নিয়মিত হবার সুযোগ নেই এজন্যেই যে, 'ইয়োগা' বইটার প্রকাশকের হাঁড়ি বানিয়ে রাখা চন্দ্রমুখ দেখা আমার জন্য কোনভাবেই উপাদেয় হবে না। অতএব সবাই সুস্থ থাকুন আর বেশি বেশি করে সচল থাকুন। ]
সম্প্রতি ১ মার্চ ভারতীর পণ্য বর্জন কর্মসুচীর ঘোষণা দেখে একটু হেলেদুলে বসলাম। বাহবা দিলাম দেশের মানুষের দেশপ্রেম দেখে। নিজের দিকটা বিচার করতে হবে। আমি কতটা দেশ প্রেমিক সেটা সবাই কে জানাতে চাই। আপনারাও যদি একটু মনে রাখেন।
পুরান ঢাকা নিয়ে লেখার ইচ্ছা বহু দিনের। পত্রিকায় কাজ করার সুবাদে অনেক ভাবেই তা লিখেছি। কিন্তু ব্লগে লেখার আলাদা একটা ব্যক্তিসত্ত্বা কাজ করে। যা পত্রিকাতে বলা বা লেখা যায়না। তাই সচলায়তনে আসা।
গতকাল অনলাইন ম্যাগাজিন প্রিয় ডট কমের প্রযুক্তি বিভাগ টেক.প্রিয়.কম এ প্রকাশিত একটি সংবাদে সচলায়তনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ব্লগ দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠান পালিত হবে, যেখানে সচলায়তনও অংশগ্রহণ করবে।
নিরবচ্ছিন্ন দর্শনপাঠে নিমগ্ন হয়ে হঠাৎ খেয়াল হলো- হাবিজাবি লেখালেখি প্রায় থেমেই গেছে ! অন্তত আজকের দিনটাকে পুরনো বর্জ্য দিয়েই না হয় ভরে রাখি ! কারণ, জীবনে এমন সময়ও বুঝি এসে যায় যখন নিজের জন্মদিনটাকেও সন্ত্রাসীর মতো মনে হয় !!
আর তাই পোস্টে ঢোকার শুরুতে সেই পুরনো সতর্কবাণীটাই ফের অর্থহীন গেঁথে রাখি-
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে
তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে !
…
ব্র্যাক সম্পর্কে আমার একান্তই ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতালব্ধ কিছু নেতিবাচক মন্তব্য দিয়ে শুরুটা করি যা কোনওভাবেই ব্র্যাকের মানবতাবাদী কর্মকাণ্ডকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে উদ্দিষ্ট নয়-