(আগের পর্বের পর...)
...
ভর্তৃহরির রচনাবলী
শৃঙ্গারশতক, নীতিশতক ও বৈরাগ্যশতক- এই শতকত্রয়ের কোথাও ভর্তৃহরির নাম লেখা না-থাকলেও তিনিই যে শতকত্রয়ের রচয়িতা- এ ব্যাপারে সকলেই প্রায় একমত। তবে কারো কারো মতে অবশ্য ভর্তৃহরি শতকত্রয়ের রচয়িতা নন, সঙ্কলয়িতা মাত্র। তিনি অন্য কবিদের রচিত এবং লোকমুখে প্রচলিত শ্লোকসমূহ বিষয়বস্তু অনুসারে তিনটি শিরোনামে বিন্যাস করেছেন বলে তাঁদের অভিমত (-Dr.Bohlen Ges Abraham Roger)।
.
এছাড়া শতকত্রয় ব্যতীত ভর্তৃহরির নামের সঙ্গে আরও কয়েকটি গ্রন্থের নাম যুক্ত করেছেন কেউ কেউ তাঁদের গ্রন্থে। সেগুলো হচ্ছে- ভট্টিকাব্য (বা রাবণবধ), বাক্যপদীয়, মহাভাষ্যদীপিকা, মীমাংসাভাষ্য, বেদান্তসূত্রবৃত্তি, শব্দধাতুসমীক্ষা ও ভাগবৃত্তি। এগুলোর মধ্যে প্রথম দুটি যে শতককার ভর্তৃহরির রচনা নয় সে সম্পর্কে ইতঃপূর্বেই আলোচনায় এসেছে। অবশিষ্ট গ্রন্থগুলি সম্পর্কে পক্ষে বা বিপক্ষে যথার্থ কোন যুক্তি বা তথ্য এখনো অজ্ঞাত বলে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা এখনি সম্ভব নয়।
রোজকার সিস্টেমে দিয়েছিনু রওনা
রাজধানী শহরেতে ম্যালা কিছু পাওনা।
কাছাকাছি গিয়ে দেখি - ও মা! এ যে অবরোধ!!
যেতে মোরে মানা করে কতিপয় নির্বোধ!
খোঁজ নিয়ে দেখি সেথা সবকিছু বদ্ধ
সরকারি লোকজন খায় কচু সেদ্ধ!
কাজকাম ফেলে সব লোকে আছে বাসাতে,
বেরুলেই পেয়াদার বাড়ি খাবে পাছাতে ...
আমি বলি, এ কী হাল! চিত্র যে উল্টা!
এইসব করে তারা ছিঁড়বে কী চুলটা?
সভা করে বিরোধীরা, করে হোক ধন্য;
ভর্তৃহরি
.
সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য রক্ষিত না হওয়ায় সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম কবিশ্রেষ্ঠ ভর্তৃহরির জীবন-চরিতের জন্যে জনশ্রুতি-নির্ভর হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। বিভিন্ন জনশ্রুতি-প্রসূত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতককে ভর্তৃহরির অধিষ্ঠানকাল হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিংবদন্তী অনুযায়ী- ভর্তৃহরি ছিলেন মালব দেশের অধিবাসী এবং জাতিতে ক্ষত্রিয়। রাজপরিবারে জন্মগ্রহণকারী ভর্তৃহরির পিতার নাম ছিলো গন্ধর্ব সেন। গন্ধর্ব সেনের দুই স্ত্রী। প্রথমা স্ত্রীর পুত্র ভর্তৃহরি এবং দ্বিতীয়া স্ত্রীর পুত্র বিক্রমাদিত্য- যার নামে ‘সম্বৎ’ সন বা ‘বিক্রমাব্দ’ প্রচলিত। উল্লেখ্য, বিক্রম সম্বৎ গণনা শুরু হয় ৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে।
খোদার কি কুদরত, লাডির মইধ্যে সরবত। ছোটবেলায় শেখা ছড়া এটি। আখ/ইক্ষু এর কথা বলা হচ্ছে এখানে। লাঠি ধরে চিপি দিলে রস পরে এমন কুদরতি জিনিষ কি এই আচানক দুনিয়াতে আর দুইটা আছে?
প্রাচীন নীতিশাস্ত্র
.
প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে ‘নীতিশাস্ত্রম’ নামে একটি বিভাগ স্বীকার করা হয়। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়- নীতিশাস্ত্র। নামের মধ্যেই যেহেতু শাস্ত্র কথাটি যুক্ত রয়েছে, তার উপর আবার সংস্কৃত ভাষা, তাই ধারণা হয় নিশ্চয়ই এতে মারাত্মক সব জটিল তত্ত্বের সমাহারে ভয়ঙ্কর সব শাস্ত্রীয় কপচানিই থাকবে। এবং যার ফলে, এ বিষয়ে বিরাট পাণ্ডিত্য ধারণ করা না-গেলে এই শাস্ত্র উপভোগের শুরুতেই সহজ-সরল সাধারণ পাঠক-মনে প্রথম যে ইচ্ছেটাই গজিয়ে ওঠা স্বাভাবিক, তা হলো- থাক্ বাবা! এ রাস্তায় এগোনোর চাইতে পাথর চিবানোও বুঝি সহজ কর্ম ! ভাগ্যিস এগুলো আসলে সে জাতীয় ভয়ঙ্কর কিছু নয়। এবং এগুলো যে মোটেও রসকষহীন কিছু নয়, বরং অধিকাংশই মনোগ্রাহী কাব্যধর্মী রচনা, এর উদ্দেশ্য থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ, এর উদ্দেশ্য হলো আকর্ষণীয় উপায়ে কিছু সদুপদেশ বিতরণ বা কাঙ্ক্ষিত কিছু নীতির প্রচার।
[justify]অনুগল্পের প্রথম পর্বটা এরকমই- সেলিনা পারভীন পেশায় একজন যৌনকর্মী। যৌনসেবাদান তার একমাত্র পেশা। তার স্বামী হাকিম বাংলাদেশের কোনও এক যৌনপল্লীর এক খুদে মুদি দোকানদার। হাকিমের আবার বাংলা মদের বেজায় নেশা। সন্ধ্যের পর পরই শুরু হয় তার পানের সময়। তবে ভালো যে সে বেশি হৈ হল্লা করে না। তবে তার একটা স্বভাব হচ্ছে ছুতোনাতা করে সে সেলিনার পয়সা চুরি করে। আবার সেলিনাকে এটা ওটা বুঝিয়ে পয়সা নেয়। সেলিনা এবং হ
অনেকদিন পরে আবারো ক্যাকটাস। আর এবারের ক্যাকটাসগুলো বেশ দুষ্ট। কতটা খোঁচা লাগবে সেটা পাঠকই বলুক!!
***********************************************
মানুষ নেবে বিদায় মানুষের কাছ থেকে
মানুষের হাতে জন্মাবে ধারালো নখর !
অসহায় বোধ যাবে বাণপ্রস্থে, নাও শিখে
শ্বাপদের হিংস্রতা... রক্তের স্বাদ প্রখর !
************************************************
১.
_________________________
বিডিনিউজের খবর বলছে,
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নির্যাতনে আহত হয়েছে আরো এক বাংলাদেশি।
[justify]সেদিন সংস্কৃতিকর্মী ও দেশে বিদেশের প্রধান সম্পাদক নজরুল মিন্টোর ‘ভাষার বিকৃতিরোধ আবশ্যক’ পড়ার চেষ্টা করছিলাম বিডিনিউজ২৪ এর মতামত বিশ্লেষণে। এটা ভালো লেগেছে যে বিডিনিউজ২৪ সবদিকের মতামত প্রকাশের চেষ্টা করছে। নজরুল মিন্টোকে তার মতামত প্রকাশের জন্যে ধন্যবাদ জানাই। ওনার মাধ্যমে অনেক ভাবনা সম্পর্কে আমরা অবগত হই। ওনার লেখাটি একটি বদ্ধ ঘরের খোলা জানালা হয়ে ঘরের ভেতরটা আমাদের দেখতে সাহায্য করেছে। আমি বেশ কয়েকবার পড়ার চেষ্টা করেছি। এখনো করছি। ওনার লেখার একটি পূর্ণাঙ্গ সমালোচনা কখনোই সম্ভব হয়ে উঠবে বলে মনে করি না। আমি সমালোচনার চেষ্টাতেও যাবো না। বরং ওনার লেখাটার একটা-দুটো বিষয়ের পুনর্পাঠ করি।