ভারত বনধ কর্মসূচির নামটি সম্ভবত এই পোস্টের পাঠকের কাছে ইতিমধ্যে পরিচিত। পরিচিত হয়ে না থাকলে, অনুগ্রহ করে লিঙ্কটিতে ক্লিক করে আমাদের পূর্ববর্তী আলোচনা দেখে আসতে পারেন।
ওরা আর কতটুকুই জানে?
শুধু আমিই জানি ভ্রমের বিলাস,
মুখের মুখোশ, নিত্য বাহাস।
আদ্যপান্ত জানা আমার
অজানা নয় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমা
কত হাত বদলাও, কত হাতে হও জমা!
ওরা আর কিইবা জানে?
কেবল আমিই জানি ভিতর-বাহির,
রঙের খেলা, ভুলের তিমির।
মুখবন্ধ জানা আমার
এই দিচ্ছি লিখে শেষ পাঠ।
…
(১১)
বালিকার নদীটাকে ছুঁবো বলে আমি
ডুব দিতে বারবার ভুল জলে নামি !
কোথায় বালিকা তুমি যাও কোন্ নায়ে-
দেখোনা নদীর দাগ মেখেছি এ গায়ে !
.
সচলায়তনে এর আগে ভারত বনধ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন অনেকে। সংক্ষেপে এই কর্মসূচি সম্পর্কে আবার সবাইকে জানাতে চাই।
১। এই কর্মসূচি সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক নির্বিচার হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ হিসেবে পালিত হচ্ছে।
…
(০৬)
ভেজা হাতে ডাকি নি তোমায়-
সাঁতার জানো না বলে;
পুকুর শুকিয়ে কাঠ-
তবুও আসো নি তুমি জলের ভয়ে !
সচলের ফাঁকিবাজদের লিস্ট দেখে মনে হল লেখালেখি নিয়ে কিছু লিখি। এখানে অনেক বাঘাবাঘা লেখক আছেন যারা চরম অলস হবার কারণে লেখালেখি করতে পারছেন না। আবার অনেক নবীনরা আছেন একেবারে তরবারি উঁচিয়ে প্রস্তুত বাঘা হবার জন্য। কিন্তু তাদের হয়তো লেখা পেটে আসলেও, খাতায় আসছে না। আবার অনেকেই হয়তো মাথা চুলকাতে চুলকাতে ঘা করে ফেলছেন কি লিখবেন কিভাবে লিখবেন এইভেবে। ছেলে বুড়ো সবার জন্য শিক্ষামূলক এই প্রবন্ধ লিখছি।
নিস্কর্মা শেইদুল্লাকে মনে আছে তো? সেই যে কোন কিছু না করেই স্রেফ বসে বসে ধনী হয়ে যেতে চেয়েছিল, আর অবলীলায় হাতের কাছে আসা ধন-রত্ন পায়ে ঠেলে চলে যাচ্ছিল শুধু সামান্য পরিশ্রমের ভয়ে! শেইদুল্লাকে আইডল বানাতে চেয়েও কখনো পারিনি। আলদার কোশে আর শিগাই বাইয়ের গুনগুলি রপ্ত করতেই যেন ছুটে চলেছি দিন-রাত। বোকা ইভানের মত চুল্লির উপর বসে ব্যাঙের ছাতা খাওয়ার সাধ আমার বহুদিনের। আর সবাই যখন ঘুমিয়ে যাবে তখন তেপান্তরের মাঠে গিয়ে চিৎকার করে ডাকবো সিভকা-বুর্কাকে। তার এককান দিয়ে ঢুকতে না পারলেও ক্ষতি নেই বিশেষ। জাদুকরী ভাসিলিসাকে পাওয়ার লোভে ব্যাঙের ঠোঁটে চুমু খাইনি কোনদিন। কি জানি, স্বপ্ন ভঙ্গের ভয়েই হয়তো।
যা হয় না তা যে হয় না, তা বুঝতে আবুল মজিদের বার বছর লাগে। এই বুঝাবুঝি শেষ করতে করতে যখন হুঁশ হয়, ততদিনে এলাকার জলা-মাঠ-কচুরিপানা সাফা হয়ে খালি দালান আর কোঠা। ইয়ার-দোস্তরা সেইসব দালান-কোঠার কন্ট্রাকটারি করে বিয়ে-শাদি করে পোলাপানের হ্যাপি বার্থডে করে। আবুল মজিদ সেইসব হ্যাপি বার্থডে তে যায়, মোমবাত্তিতে ফুঁ দেয়, হাসি হাসি মুখে গ্রুপ ফটো তোলে। ভাবিরা বলে, বিয়া করেন না ক্যান?
জাপানের রূপকথার ওনিবাবা কে বাংলা করলে দাঁড়াবে ডাইনী বুড়ি।
সচলে একটা সিরিজ শুরু করে কিছুকাল ডিংডং করে অতঃপর সেটাকে অসমাপ্ত রেখে আরেকটা শুরু দিয়েছি। সেটাও আবার কিছুকাল পর বেওয়ারিশ রেখে অন্যদিকে সটকে পড়েছি, এরকম ভুড়িভুড়ি নমুনার বয়স্ক সাক্ষিরা সচলে বহাল তবিয়তেই ঘোরাঘুরি করছেন। সেই ঐতিহ্য ধারণ করে এবার যে সিরিজটা শুরু করতে যাচ্ছি তার জন্যে বহুৎ শক্ত কলজের দরকার। কেননা একাধারে গোটা কবিতা লিখে ফেলে বাঘা বাঘা সচলদের শ্যন দৃষ্টি এড়িয়ে পাঠককে ফাঁকি দেয়ার মুরোদ অন্তত আমার যে কুলোবে না সেটা হলফ করে বলতে পারি। তাই এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, এই সিরিজের পরিণতিও সেরকম না-হয়েই যায় না। আপাতত টুকরা-টাকরা পঙক্তির এই ভাঙাচোরা সিরিজে তাঁদেরকে অভিনন্দন যাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ থাকবে। হা হা হা !