ধরেন আমার বাড়ি নাই
অথবা বাড়িতে আমি নাই
তাতে কার কী যায় আসে?
তার মানে দায়-স্বীকার করাটা দরকার?
ধরেন পঁচিশে মার্চ রাতে যদি শেখ মুজিব বাড়িতে না থাকতো?
অথবা হেমলকের পেয়ালায় লাথি মেরে সক্রেটিস চলে যেত বাড়ি?
অথবা জন্ম-বাড়িটা রক্ষা করবে বলে যারা যুদ্ধে গেলো, আর বাড়ি ফিরলো না
কোনদিন
অথবা জন্ম-বাড়িটা রক্ষা করতে না পেরে যারা ওপাড় পালিয়ে বাঁচলো
আর ফিরতে পারলো না কোনদিন
সচলায়তনের যুবরাজ মাঝেমধ্যে কর্মসূত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে আকাশপথে যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগে তিনি কিছু ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। একটা আইডিয়া আমার মাথায় কামড়াচ্ছিলো অনেকদিন ধরেই, যুবরাজের তোলা ছবিগুলো দেখে ভাবলাম, এ নিয়ে কিছু লিখি।
ছবিগুলো যুবরাজের অনুমতিক্রমে শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
চাকরিজীবী দুই বন্ধু যখন আড্ডা দেয়, তখন কি নিয়ে কথা বলে? বিশেষ করে ঢাকা শহরের দুই বন্ধু, যারা সবসময় দেশের অন্য সব এলাকার তরুণদের ঈর্ষার কারণ হয়ে থাকে। কারণ কি – কারণ আর কিছুই না, সবকিছুই ঢাকায় আছে। মানুষের আকাঙ্খিত সব সুযোগসুবিধা, পড়াশোনা, চিকিৎসা, শিল্পসাহিত্য, বিনোদন, বইমেলা, নববর্ষ – এমনকি সরকার নামক জিনিসটাও ঢাকাতে থাকে। পত্রপত্রিকা আর টিভির সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক, বাকী বাংলাদেশ মাঝের কিছু পাতা অথবা “এখন দেখবেন অন্যান্য সংবাদ” এ হালকাভাবে জায়গা পায়। আরও জ্বালা আছে – সুন্দরী, হৃদয়বিদারক সৌন্দর্যের অধিকারী রমণীকুলও ঢাকাতে থাকে। এসব দেখে স্বাভাবিকভাবে ঢাকার বাইরের তরুণরা বড্ড মনকষ্টে থাকে (কোন এককালে আমিও সেই দলভুক্ত ছিলাম)। কিন্তু এখন আমি হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি, ঢাকায় থাকার কি যন্ত্রণা। রাঁধার মতো বলতে ইচ্ছা করে – ওরে কৃষ্ণ, তুমি যদি বুঝতে রাঁধা হওয়ার কি জ্বালা, কি যন্ত্রণা।
বন্ধুমহলে যারা একটু সুশীল টাইপ, তাদের সাথে গল্প করাটা মিশাতের জন্য ইদানিং একটা মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।। ওর গল্পে নাকি বড়োদের ব্যাপার স্যাপার বেশি থাকে। সেদিন রেনুকার সাথে কথা হচ্ছিলো ওর।
কথাপ্রসঙ্গে বললো, তোকে একটা গল্প বলি শোন
: গল্প? তোর গল্প মানেই তো পঁচা গল্প।
: কেন?
: তোর গল্পগুলো সব ইয়ে টাইপ..
: ইয়ে টাইপ, মানে?
: মানে হলো তোর সব গল্প শুধু একদিকেই যায়..
আমার মোবাইলটার অসুখ হয়েছে। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে, থাবড়া মেরেও অন করা যাচ্ছে না। দেয়ালের সাথে কয়েকবার বাড়িও মেরেছি।
আমি চকবাজারে অলি খাঁ মসজিদের সামনে একটি সার্ভিসিং এর দোকানে গেলাম। ডাক্তার বললেন, 'বাপরে বাপ, দেইখা তো মনে হইতেসে এই মোবাইল কিনসেন মোঘল আমলে! এত দিন চালাইলেন ক্যামতে?'
আমি কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম, 'ভাইজান, আমার এই দুঃসময়ে মশকরা লইয়েন না। কী করতে হবে বলেন।'
এখন তুমি অনেক দূরে থাকো
এখন তুমি আটকে থাকো কাজে
এখন তুমি সঙ্গীবিহীন একা
কাটাচ্ছ দিন মগ্ন নিজের মাঝে
সেই পুরনো টুকরো কথাগুলো
স্মৃতির মাঝে যখন তোলে ঢেউ
খুব বিজনে আঁধার নেমে এলে
মিছেই ভাবি ফিরবে বুঝি কেউ
ফেরার পথে অনেক পাহাড় নদী
ফেরার পথে দ্বিধার জোয়ার-ভাটা
ফেরার পথে কুটিল চোরাবালি
খিড়কী-দুয়ার জটিল খিলে আঁটা
তোমার-আমার মুখোশগুলো আজও
মুখের সাথে লেপটে মাখামাখি
বিডিনিউজের খবর অনুযায়ী, বিএসএফ আজ পিটিয়ে হত্যা করেছে মো. শাহাদাত নামে এক গরুচালানীকে।
বিজিবির স্থানীয় ক্যাম্প কমাণ্ডারের দেয়া তথ্যানুযায়ী,
মিথ্যে কথা বলব না। স্বীকার করছি আমিও একসময় নিজেকে হিন্দু মনে করতাম! এবং হিন্দুধর্মাচার পালনও করতাম! সেই সময়ের কথা বলছি যখন আমি সদ্য কিশোর। এগুলি পরিবারতন্ত্রের দ্বারাই আমাদের মাঝে গেঁথে দেওয়া হয়। আজ জীবনের কিছু বছর পেছনে ফেলে এসে একটা জিনিষ বারবার ধাক্কা দেয় – যে সংস্কৃতি নিজের আচরণে সভ্যতাকে পর্যন্ত কলঙ্কিত করতে পারে তাকে ধারণ করা কী অমানবিকতার নামান্তর নয়?
কিছুদিন আগে মুন্সিগঞ্জে মেঘনায় কার্গো জাহাজের আঘাতে লঞ্চডুবি হয়ে মারা গেছেন শতাধিক মানুষ। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বার্ষিক ভিত্তিতে ঘটে, এবং যা কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো, তা গ্রহণে জাহাজ মালিক, জাহাজ চালক, যাত্রী ও তদারককারী সরকারি প্রতিষ্ঠান, এই চার পক্ষেরই এক আশ্চর্য নিস্পৃহ মনোভাব দেখা যায়। দুর্ঘটনার পর স্মার্ট লোকেরা অনেক স্মার্ট স্মার্ট কথা বলে, কিন্তু ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যে যেসব স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মানুষের এই নির্মম প্রাণহানি এড়ানো যাবে, তা গ্রহণে কারোই মাথাব্যথা দেখা যায় না।
সহব্লগার দ্রোহী একদিন বলেছিলেন, বাঙালির দৃষ্টিসীমা অতীতে পাঁচ বছর আর ভবিষ্যতে সাত দিন। কথাটি যে সত্য, তা এ ধরনের দুর্ঘটনার সময় আরো ভালোভাবে অনুভব করি।