চুমু - ২
---------------------
কসমেটিক্স প্লাবনে হারিয়ে গেছে লাবন্য
আমাদের চেনা প্রিয় অবসরের দিনে
জাকিয়ে বসেছে শীত; যেন দুর্দান্ত ঘুমোনোর দুপুরে
দরজায় কড়া নাড়ে অনাকাঙ্খিত অতিথি!
মাংসের উপমা নিয়ে মেধার মাঝে
ঢুকে গেলে জোড়া পাপ
গভীর স্থলনে আমার খুব ক্লান্ত লাগে।
স্তব্ধতার ঋজু গাছে থোকা থোকা
অবিশ্বাস; আলিঙ্গনের কেন্দ্র বরাবর দূরত্বের
মর্মভেদী জ্যা,
১
ঝকঝকে বিকাল।মাহদিন তাদের নতুন বাড়ি বানানো হচ্ছে তাই দেখছে।পুরান একটা বাগান সমেত বাড়ি কিনেছে মাহদিনের বাবা আলামগীর হোসেন।বাড়িটা বেশ পুরানো তাই ভেঙ্গে নতুন করে তৈরী করা হচ্ছে।বাবা মা দুজনের ইচ্ছা একমাত্র ছেলেকে ডাক্টার বানাবে কিন্তু মাহদিন চায় বড় গোয়েন্দা হতে।
চুমু
---------------
গোলাপি ঠোঁট ঘুমুচ্ছে।
প্রজাপতি ছুঁয়ে যাচ্ছে ছায়া-শরীর;
আয়নায় সব প্রাপ্তি স্পর্শহীন।
জানালায় জোড়া চোখে আজ শুধুই
অভিমান থাকবে;
ছাদে নব্য শালিক জুটি এক হয়ে
শরীর মেলায় আড়ালে।
শৈল্পিক সংজ্ঞা নেহায়াৎই অনুপস্থিত।
প্রিয় পাঠক আজ মনখারাপের গল্প। দুখিনী ভারতবর্ষ যুগে যুগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি, তার মধ্যে একটি দুর্ভিক্ষ। ভিক্ষার অভাব। এই অভাব আমাদের অনেকদিন ধরেই, বাংলার ঐশ্বর্যে চোখ ঝলমল করা বর্ণনা আমরা যে পাই বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে তার মুদ্রার অপর পিঠের অন্ধকার নিয়ে লিখা আছে অল্পই। শায়েস্তা খাঁ এর টাকায় আট মণ চালের গল্পে উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করার আগে যাচাই করে নেয়া জরুরী, কয়টা লোকের পকেটে টাকাটা ছিল। পর্যাপ্ত ফসলের অভাব নয় বরং ক্রয়ক্ষমতার অভাবকেই দুর্ভিক্ষের মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন অমর্ত্য সেন।
রামছাগলই বলা যেত। কিন্তু মুসলমান হয়ে জন্মেছি বলে আটকে গেলাম। রাম নিষিদ্ধ বা হারাম শব্দগুলোর একটি। তাই রামছাগল না বলে বড় ছাগল ব্যাবহার করা উচিৎ। কে বলেছেন? জনৈক অনেক বড় ছাগল বলেছেন -
[justify]কথাসাহিত্যিক রবিশংকর বলের উপন্যাস ‘দোজখ্নামা’। উপন্যাসে প্রধান চরিত্র দুইজন। একজন ফারসি কবি মির্জা গালিব (১৭৯৭-১৮৬৯), অন্যজন উর্দু সাহিত্যের অন্যতম ছোটোগল্পকার সাদাত হাসান মান্টো (১৯১২-১৯৫৫)। উপন্যাসে দুইজনেই মৃত হিসেবেই হাজির হয় আর কবরের মধ্যে বসেই একে অন্যকে নিজেদের কাহিনী বলতে শুরু করে। অনেকটা পরাবাস্তব কি জাদুবাস্তব মনে হলেও রবিশংকর বল সেখানে জাদুবাস্তবতা না ঢেলে স্বাভাবিকভাবেই দুইজন
ডমিনাস শপে একদিন
__________________
চৌকোনা টেবিলের মুখোমুখি একলা
ডমিনাস শপে, নীচে
মোজাইক আকাশ, ঝকঝকে কৈশরের মতো
কাঁটা চামচের সঙ্গীত ও
অনুরোধের গানের সুর য্যানো অবিরাম মেনুর
১.
মকবুল স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে পর্যবেক্ষণ ডেস্ক থেকে উঠে পড়লো। তার মাথা টিপটিপ করে ব্যথা করছে, শরীরের কোষগুলো একটু পর পর যেন বিড়বিড় করে বলছে, এক কাপ কফি খাওয়া দরকার।
নভোতরী "টিম্বাকটু" একটা ছোটো স্কাউটশিপ, সর্বোচ্চ চারজন নভোনাবিকের জন্যে তৈরি করা। কিন্তু মকবুলের মিশন সঙ্গীবিহীন। শুধু সঙ্গীবিহীনই নয়, ফেলে আসা পৃথিবীর সাথে যোগাযোগবিহীনও।
আরও তিন বছর তাকে কাটাতে হবে টিম্বাকটুতে।
-------------------
এক: সুদ
-------------------
-বাঙালির স্বভাব খুব খারাপ। কেউ উপরে উঠলেই সবাই তাকে ধরে নিচে নামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে! যে দেশে গুনের কদর নাই, সেই দেশে গুণী জন্মায় না। এখন দেশে যা শুরু হয়েছে!
-ক্যান? হঠাত কইরা এই কথা কৈতাছেন কেন?