ঝিম ধরে হয়ে বসে আছে এক সময়ের মুক্তিযোদ্ধা খালেক। নির্মম পৃথিবীর রূঢ় বাস্তবতা তার পিঠে 'এক সময়ের মুক্তিযোদ্ধা' খেতাবটা সেঁটে দিয়েছে।
বসে আছে, কারণ তার কাজ নেই। কাজ নেই কারণ, কাজ করতে ইচ্ছে করে না। শরীর দুর্বল। শরীর দুর্বল কারণ, ভাত পায় না নিয়মিত। গাঁজার নেশাও আছে। ভাত পায় না তো গাঁজা পায় কোথায়? সেটাই তো কথা। সেটাই আমরা জানতে চাই।
[আদৌ কি কোনো সতর্কতার দরকার আছে !]
…
প্রথম আলোতে একটা খবর পড়ে মনে পড়ে গেলো মালেনা সিনেমাটার কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাহিনী, মালেনার স্বামী যুদ্ধে গেছে, সে শহরে একা। শহরের সব পুরুষ সুন্দরী মালেনার প্রতি লুব্ধ। কিন্তু সামাজিক চাপে মালেনা একঘরে হয়ে পড়ে। তার কাছে কেউ কোনো কিছু বিক্রি করে না। মালেনাকে সামান্য খাবারের বিনিময়ে দেহদান করতে হয় লুব্ধ পুরুষের কাছে। জার্মান সৈন্যরা যখন শহরে আসে, মালেনা দেহোপজীবিনী হয়ে তাদের কাছে যায় জীবিকার তাগিদে, এরই মাঝে তাকে নানা ছুতোয় ভোগ করে চলে শহরের পুরুষেরা। জার্মান সৈন্যেরা চলে যাওয়ার পর নগরের বিবাহিতা নারীরা মালেনার ওপর চড়াও হয়, তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এরই মাঝে ফিরে আসে মালেনার স্বামী, সে যুদ্ধে পঙ্গু। সে এসে খুঁজতে থাকে তার স্ত্রীকে, শহরের সবাইকে অভিসম্পাত করে, এক পর্যায়ে প্রহৃত হয় সে-ও। কিন্তু সে হাল ছাড়ে না, খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনে মালেনাকে, দু'জনে হাত ধরাধরি করে মাথা উঁচু করে হেঁটে যায় বাজারের মাঝ দিয়ে। মালেনাকে আবারও কারো মালিকানায় দেখতে পেয়ে লম্পট স্বামীর স্ত্রীরা নিশ্চিন্ত হয়, তারা মাথা ঝুঁকিয়ে অভিবাদন করে, শুভেচ্ছা জানায়। গোটা সিনেমাটি দেখানো হয় এক বয়োসন্ধি উত্তীর্ণ কিশোরের চোখে, যার চোখে মালেনা এক অধরা যৌনতার প্রতীক। শহরের সবাই যখন মালেনাকে কামনা করে, একমাত্র সেই কিশোরটিই মালেনাকে ভালোবাসে।
নাম: দ্যা ফ্লাওয়ার্স অফ ওয়ার
দৈর্ঘ্য: ১৪৬ মিনিট
বিষয়: নানকিং ম্যাসাকার, ধর্ষণ, চীন-জাপান যুদ্ধ
পরিচালক: ইমও জহাং
দেশ: চীন
[justify]১
আশরাফী বেগমের সাথে আসাদ এই প্রথম দেখা করতে যাচ্ছে না, এর আগেও দেখা হয়েছে অনেকবার। তবে এইবারের দেখা হওয়াটা অবশ্য একদম অন্যরকম, ভদ্রমহিলা মনে হয় দুইদিন আগেও জানতেন না লিপুর সাথে তার এখনো পরিচয় আছে। পৃথিবীতে অনেক ধরণের সারপ্রাইজ আছে- নিজের অজান্তেই ঠোঁটের কোনে হাসি আসে আসাদের।
১
নাম: জাভেদ হোসেন
১.
গোয়েন্দা বিভাগের দারোগা কিংকর্তব্যবিমূঢ় চৌধারি কচমচ করে মুড়িমাখা খেতে খেতে বললেন, "বলছি স্যার। মুড়িটা চিবিয়ে নিই আগে। আহ, বড় ভালো মুড়ি! চানাচুরটাও সাংঘাতিক! এই যে আচারের তেলটা, এর কোনো তুলনাই হয় না স্যার। শসাটা কোত্থেকে কিনে আনা?"
ঝাকানাকা চায়ের কাপে প্রলম্বিত এক চুমুক দিয়ে আড়চোখে কিংকু চৌধারির মুড়ির বাটির দিকে তাকিয়ে বললেন, "আর মুড়ি নেই কিন্তু। চানাচুরও শেষ।"