(১)
সূর্যের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বালিকা
ঠোঁটের আঁচড়ের দাগ মুছে ফেলে লিপস্টিকের ছোঁয়ায়,
এমন ই সে -
চুম্বনের আনুপাতিকতায় দ্রবীভূত হয় না হৃদয়;
চন্দ্রের গর্ভে শরীর লুকিয়ে
তাকিয়ে থাকে জলের শরীরে,
বিচ্ছিন্ন দেহের ক্লান্তি জড়িয়ে...
(২)
আমাদের নৈমিত্তিক ব্যাবহার্য জিনিসের আড়ালে
লুকিয়ে থাকে পাপ।
সবুজ অন্ধকারের গা বেয়ে নেমে আসে সাপ
লিকলিকে শরীর আলিঙ্গনে জড়ায়
মুক্তির মশাল জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে ২৬ বছর বয়সী এক বিক্ষুব্ধ তিব্বতী তরুণ, জামপা ইয়েশি। (ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে, যন্তর-মন্তর এলাকায়) স্বাধীন তিব্বতের দাবিতে আগুনে আত্মাহুতি দিয়েছে সে| অগুনিত আত্মত্যাগের ভিড়ে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে সে, বেঁচে থাকা অসংখ্য মা
রবি মামা বেশ ত্যান্যা প্যাচাইন্যা আদমি ছিল।আমার বর্তমান নৈতিক অধগতিতে এই বুড়া মিয়ার ভালো হাত আছে।
ব্যাপারটা খুইল্যা বলি, আমার বৌ দিনে ২৫ ঘন্টাই রবীন্দ্রনাথ শুনে, সুতরাং আমার ও শুনতে হয়। শুনতে যাইয়্যা দেখি মামু তু পুরা মাল।
নিচের গানটার কথাই ধরেন- "তুমি সুখ যদি নাহি পাও,/ যাও, সুখের সন্ধানে যাও,"
তারপর ধরেন, "ভালোবেসে যদি সুখ নাহি, তবে কেন এ মিছে দুরাশা"
সেক্স অ্যাপিল্ - ২
------------------
স্বাগত জানাই আজ রাতে পৃথিবীর
যাবতীয় তাপ;
আর্কিমিডিসের ঘনত্ব নিয়ে যারা
ভালোবাসা বুঝতে চায়, প্রেমিক শব্দ তাদের মাথার
মুকুটে শোভা দিক!
গভীর রাতে বুকের লবনগুলো বেয়ে নামুক
আর্দ্র চোখ,
ঠোঁটের ভাষায় নিয়েছি দখল, ছোঁয়া-অছোঁয়া
পকেটের বুকে অনেক পুরনো
দৈনিক পত্রিকার মতো
ছিলাম কত আয়েশ করে আরামসে
এক ঘায়ে সব ঘুচিয়ে দিলো আরাম সে
ফাঁসতে হলো তার জিলিপির চক্করে
নইলে বিভুঁই জঙ্গলে এই পাথর দিয়ে কুড়াল গড়ে মস্ত বড় শক্ত এমন বৃক্ষ কাটি, ভাবছো সে কি শখ করে?
স্বর্গে ছিলাম ঝুটঝামেলা বাদ দিয়ে
ফলটা শুধু পাড়তে হতো হাত দিয়ে
মূলটা শুধু খুঁড়তে হতো ভুঁই ফেঁড়ে
১
বনের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে সরু রাস্তাটি খোলা মাঠে মিশেছে। সাপের মতো এঁকে বেঁকে একটু একটু করে ঢালু হয়েছে সামনের পথটা। একজোড়া বাইসাইকেল ফ্রি হুইল করে এগিয়ে আসছিল। একটিতে বাবা, অন্যটিতে ছেলে। প্যাডেলে একটুও চাপ ছিলনা, তবু এগুচ্ছিল বেশ ভ্রুতই। বাপ বেটা দুজনেই শ্বাস ফেলছিল অনায়াসেই। অবশেষে বনের প্রান্তে এসে সামনে চোখ মেলে সামনে তাকালো তারা। ফ্রি হুইলের স্বস্তি ফুরিয়ে যাবার আগেই দেখলো, ছোট্ট ঢালুটা ফুরিয়ে এসেছে। সেইসাথে রাস্তাটা আবার উপরে উঠতে শুরু করেছে।
বিরহের গোল্লাছুট
-------------------
নিঃশ্বাসে অস্পষ্ট যে বিপরীত প্রতিবিম্ব
জলের নীচে কাঁজল গাঁয়ে
স্রোতের মরা রঙ
বেসিনের নদীতে ঝরবে বৃষ্টি হয়ে
পালসবিটে শব্দ বুনো
বুনো তৃষ্ণা;
দেয়ালের ফাঁটলে ছক কাটে সোনালী রোদ
যেন কাঁচের গ্লাসে সোনালী মদ!
আমাদের দেশে নতুন ব্যবসার ধারা শুরু হলে চিনির পাহাড়ের পিঁপড়ার সারির মতো সবাই একযোগে সেই ব্যবসার পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তৈরি পোশাক শিল্প, চিংড়ি চাষ আর আদমব্যবসা লাভজনক বলে এগুলোর স্ফীতি অন্য সব বিবেচনাকে মলিন করে দিয়েছে। শহরাঞ্চলে তৈরি পোশাকের কারখানা গজিয়ে উঠেছে শয়ে শয়ে, কৃষিজমিতে লোনাপানি ঢুকিয়ে চিংড়ির ঘের বানানো হয়েছে, আর শ্রমবাজার বিশ্লেষণের তোয়াক্কা না করে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে চড়া টাকা আদায় করে তাদের পাঠানো হচ্ছে এমন সব দেশে, যেখানে তাদের জীবিকানির্বাহই এক বিষম দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, দেশে টাকা পাঠানো তো দূরের কথা। এতে করে কিছু লোক প্রচণ্ড লাভবান হচ্ছে, কিছু লোক খেয়ে পরে বাঁচতে পারছে, আবার এই ব্যবসার চাপে নাগরিক পরিবেশ, প্রাকৃতিক পরিবেশ, কৃষিজমি, শক্তি ও জ্বালানি পরিস্থিতি, এসবের সাম্যাবস্থার ছকও আমূল পাল্টে গেছে।
ভূমিকা: দুবাই ভ্রমণের ছবি নিয়ে এটা সিরিজের তৃতীয় লেখা, ছবি বিষয়ক পোস্ট হিসেবে পাঁচ নম্বর। দুবাই ভ্রমণের ছবি নিয়ে আগের দুই পোস্ট সহ মোট ৭ টা পোস্ট এখনও অতিথি এ্যাকাউন্টে আছে। কোন মডু ভাই এ পোস্ট পড়লে একটু খেয়াল করবেন বিষয়টা (কন্টাক্ট এ্যাট সচলায়তনে ইমেইল ও করেছি)।