Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

যুবা (১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ)

পৌরুষ

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৮/০৭/২০১২ - ১২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত পর্ব

“ও কোথায়?”, মিসেস উইলসন জিজ্ঞেস করেন গ্যারেজে নেমে এসে।

“উপরে ওর কামরায় গিয়েছে”, দ্বিগুণ জোশে সদ্য লাগানো পাঞ্চবলটির উপর প্রমাণ সাইজের একটা ঘুসি বসিয়ে বলেন মিঃ উইলসন, “তদারকি করেছিলে তো ঠিকঠাক? শক্ত করে ঠিকমতো লাগিয়েছে তো এটা?”

“দুপুরের খাবারের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে তো! ও এখন কামরায় কি করছে?”


একটি প্রেমের কবিতা

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৫/০৭/২০১২ - ৩:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘মহুয়া-মিলন’ স্টেশনে পৌঁছুবো বলে
ঝোলাভর্তি চারুময় রোদের স্বপ্ন নিয়ে
আমরা আচ্ছন্ন সেতারের মতো
ট্রেনের কামরায় উঠে বসেছিলাম...

আমাদের চারদিকে সোনালি চিলের মতো
অমলকান্তি দিনের উড়াল...
বাতাসে ছড়ানো নির্মল আগুনের ফুলকি...
আমাদের বুকপকেটে আকাশভর্তি নক্ষত্রের মতো
জোনাকির ঝিকিমিকি আলো...
তাজা কৃষ্ণচূড়ার মতো
রক্তের বুদবুদে প্রেম মাখামাখি হয়ে আছে।

দিন আসে...দিন চলে যায়...


বাজারের টাকায় পদ্মাসেতু?

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৭/২০১২ - ১০:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা ও আনিসুলের মা উপন্যাসের দামামাবাদক দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক খবরে [১] দেখতে পাই,

জাতীয় সংসদের উপনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংক টাকা দেয় নাই, তাতে কী হয়েছে? আমরা আমাদের নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব। দরকার হলে এক বেলা বাজার করব না।’


প্যান্ট পরা কি খারাপ?

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ৬:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভোরবেলা প্রায়ই দেখা হয় আঙ্কেলটার সঙ্গে। আমি তল্লাবাগ থেকে ইন্দিরা রোড হয়ে বেরিয়ে সংসদভবনকে ঘিরে দুটো চক্কর দিয়ে বাসায় চলে আসি। আঙ্কেলকে দেখি হাতে একটা ছড়ি নিয়ে উদাস বদনে হাঁটাহাঁটি করেন। ভোরের বাতাসে মাঝেমধ্যে পতাকার মতো পতপত করে ওড়ে তাঁর ধুতি। তিনি নির্বিকার। নিষ্কম্পচিত্ত।


তীর্থের কাক ১৪

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি কোলকাতার ট্রামে হারিয়ে ফেলেছিলেন অদ্বিতীয় “অদ্বৈত মল্ল বর্মন”। তীর্থের কাকের প্রায় সম্পূর্ণ লেখাটা খোয়া গেছে আগের ল্যাপটপ সারাতে গিয়ে। সচলে যতটুকু দেয়াছিল তার পর থেকে আবার নতুন করে লিখতে হচ্ছে। লেখা জমা রাখার নিরাপদ জায়গা সচলায়তনে আজকের লেখা পর্বটি জমা রাখছি। বিরতির কারণ যাই হোক; যারা তীর্থের কাক পড়তেন তাদের কাছে এই অনাকাংক্ষিত বিলম্ব এবং অনিয়মিতির জন্য ক


তাসে নাশ

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ১:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাতের খাবার শেষ হওয়ার পর প্রতিদিনই আমাদের রুমের সামনের একটুকু ফাঁকা জায়গায় সহকর্মীরা এসে গল্পগুজবে মাতেন। তারপর একসময় লাল কাপড়ে ঢাকা টেবিলটার এককোনায় পড়ে থাকা তাসের প্যাকেটটা হাতে নিয়ে মহসীন স্যার হাঁক দেন, '' কই ফজলুল করিম, আসো শুরু হয়ে যাক, আজকে কিন্তু মঞ্জুরদের একদম শোয়াই ফেলতে হবে''। করিম ভাই সদ্য ব্রিজ খেলা শিখেছেন, উৎসাহে তার ভাটা নেই। এক পিয়নকে ব্রিজ খেলার জন্য বিশেষভাবে একটা খা


বিচ্ছেদ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১২ - ১১:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নওসী, ভারতীয় দ্বিতীয় প্রজন্মের মিস্টি একটি মেয়ে, বাবার মতই পি এইচ ডি, ইউনিভার্সিটিতে না ঢুকে কানাডিয়ান গভর্মেন্টে উচ্চ পদে আসীন। ধুমধামের হীরের আংটির অনুষ্ঠানের প্রায় এক বছর ধরে তাদের বাড়ী কেনা, ঘর সাজানোর পরে হলুদ ও বিয়ের কার্ড পেলাম, খুব খুশি হলাম, মাতৃহারা এই মেয়ে স্বভাবগুনে সকলেরই আদরের। একটু বিলম্বে পৌছে আমার কাছে হলুদের অনুষ্ঠানের জৌলুশ কেন যেন প্রানহীন লাগছিল, বেশ অনেক টেবিল ফাঁকা


সন্তর্পণে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৭/০৭/২০১২ - ১২:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অপরিচিত একজন লোক বারবার শরীরের দিকে তাকালে কেমন লাগে! অস্বস্তিতে ওড়নাটা বুকের ওপর টেনে দেয় তন্দ্রা। বাসে থাকলে তা-ও এসব লোলুপদৃষ্টি পাশ ফেরানো যায়, কিন্তু লেগুনায় একদম মুখোমুখি।

“হারামজাদা!”


বাথরুমঃ একটি মৌলিক চাহিদার কাহিনী!

স্বপ্নহারা এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নহারা (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৭/২০১২ - ৮:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।

বলুন তো, মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনটি? সমাজ বিজ্ঞানীরা মানুষের মৌলিক অধিকারের তালিকা যা দিয়ে থাকেন, তা এই রকমঃ "খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন, ..."! ছোট বেলায় সমাজ-বিজ্ঞান বইতে আর বিভিন্ন রচনায় এইসব মুখস্থ করে উগড়ে দিয়েছি। কখনও ভেবে দেখিনি আসলে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো কী রকম! আবার, কবিদের কাছে যানঃ "জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি। দু'টি যদি জোটে, তবে অর্ধেকে, ফুল কিনে নিও হে অনুরাগী"! কবিদের কথা মোটেও বিশ্বাস করবেন না। তারা সবসময় সব আজেবাজে জিনিস ঢেকে রাখেন; রোমান্টিকতার জোশে তারা তিলকে মিল্কি ওয়ে বানিয়ে ফেলেন। যুগে যুগে কবিরা মানবসমাজের মেক-আপ কিংবা ফটোশপ হিসেবে কাজ করেনঃ মেক-আপ বা ফটোশপ আবিষ্কারের আগে, তারাই ছিলেন আমাদের সৌন্দর্যের তৃষ্ণার একমাত্র সাপ্লায়ার। বনলতা সেনকে নিয়ে যতই রোমান্টিসিজম করুন, বাস্তব জীবনে উনাকে সামনে পেলে আপনি দ্বিতীয়বার ফিরে না ও তাকাতে পারেন। আর তাছাড়া বাস্তবে ঐ এক পয়সা দিয়ে আপনি একটি ধুলিকণাও কিনতে পারবেন না, খাদ্য তো দূরের কথা! এক পয়সা এখন এন্টিক জিনিস; জাদুঘরের সামগ্রী হিসেবে বিক্রি করলে হয়তো একটি ধূলিকণা জুটলেও জুটতে পারে। সেইজন্যই আমার বাস্তববাদী সুকান্তকে খুব পছন্দ, "পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি!"