[justify]
।।১।।
এক সময়ে ডায়েরি লিখতাম। সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। ঢাকা শহরে তখন আকাশ ছোঁয়া বাড়িঘর ছিল না। মানুষজন দোতালার ছাদে উঠেই আকাশ স্পর্শ করতে পারতো। ডিজুস ছিল না, হিন্দি মেগাসিরিয়াল ছিল না, শপিং মল ছিল না, টি-২০ ছিল না, ইন্টারনেট ছিল না – বলা যায় আমরা তখন সর্বহারা ছিলাম। সেই সময়ে রাতে ঘরে ফিরে একটা সিগারেট ধরিয়ে মুখের উপর গল্পের বই নিয়ে শুয়ে থাকা ছাড়া আর তেমন কোনো বিনোদন আমরা আবিষ্কার করতে পারিনি।
এমনিতেই হুমায়ূন আহমেদ এর চলচ্চিত্র নিয়ে একটা বাড়তি আগ্রহ থাকে তারপরে আবার এটা তাঁর শেষ চলচ্চিত্র। সুতরাং ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ নিয়ে আগ্রহ এবং প্রত্যাশার পারদ দ্রুতই উপরের দিকে উঠছিল। মুক্তির দিনে বিকেলে বন্ধুদের নিয়ে বলাকায় গিয়ে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হল। কারণ আর কিছুই না, আমার মতো আরও অনেকেই মুখিয়ে ছিল সিনেমাটির জন্য; ফলাফল বিশাল লাইন এবং হাটিকেট পরিস্থিতি। এরপর গতকাল হুট করেই নেয়া সিদ্ধান্তে
[justify]পরদিন সকালবেলা আমরা সবাই নয়টা বাজে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু বের হতে পারছি না বাসা থেকে। এতদিন হোটেলে থাকার কারণে কিছু বুঝা যায় নাই, কিন্তু এখন সবাই হা করে ডিয়েগোর কাণ্ড দেখছে। সে সকাল আটটা থেকে “আই অ্যাম রেডি, আই অ্যাম রেডিইইইইইইই” করে চিল্লাছে, কিন্তু তার সাজ শেষ হচ্ছে না!
[justify]আমার অপছন্দের তালিকাটি বেশ দীর্ঘ। তার ভেতর বাজারের থলে হাতে বাড়ি ফেরা একটি। তবুও পথ পেরুতে গিয়ে কোন বাজারের গলি উপচে সবজিওয়ালার সবুজ বেচার হাতছানি আমায় অন্য অনেকের মতই সমান প্রলুব্ধ করে থাকে। মফঃস্বলের কাঁচা বাজারগুলো খুব সড়কমুখী। কাজেই চলতি পথে প্রায়ই কৃষকের ঝাঁপি আর টুকরীর ভেতর থেকে সতেজ লাউয়ের ডগা কিংবা পুঁই-কলমির ডাটা, চকচকে বেগুন আমায় ইশারা করে তুলে নিতে। আর শীতের দিন হলে এই বাজারগুল
দেড়েদের বটগাছে আবার ফকির বাবার আছর হয়েছে- সঙ্গে আছে কয়েকশ' জ্বীন। জ্বীনে কারো ঘাড় মটকায়নি। তবে মটকাতে কতক্ষণ! গাঁয়ের লোক তাই ভয়ে-আতঙ্কে তটস্থ। তাছাড়া ভয় পাওয়াটা আবহমান গ্রাম-বাংলার জীবনযাত্রারই অবিচ্ছেদ্য অংশ; মরণনেশা।
আমি অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম, বলে কি এই ছেলে!আবার বললো, হাতটা ধর ।
- না, তুই চলে যা ।
- পরে কিন্তু আফসোস করবি ।
- করবোনা ।
- হুমম, যে চোখে কাজল দেয়া ফরজ সেই চোখ আমার সর্বনাশের কারণ । থাক তুই, গেলাম ।
পিপাসা তোমার মিটবে কি আস্বাদে
সেই ভেবে ভেবে গোধূলি থিতোয় সাঁঝে
রঙিন মুখোশ ছুঁড়ে ফেলে নীল খাদে
জন্মালে ফের ক্লেদজ কুসুম মাঝে
আমার বন্ধুটি বলল, অ্যাঁ? বলিস কী! কচকচ করে খেয়ে ফেলে?
আমি বললাম, কচকচ করে তো নয়, ওনার চুকচুক করে খাওয়ার অভ্যেস!
আমার বন্ধুটি, (ধরে নেই তার নাম কামু), বেশ মুষড়ে পড়ল!