কোন এক মনোহর বৈকালের ঘটনা, হ্যাঁ; ঠিক কবেকার সংযোগ তাহা মনে নাই। তবে সেই দিনটি বড্ড মনোহর ছিল। আমাদিগের সহিত ঠেলাকাকার পরিচিতি ঘটিয়াছিল তাহা স্মৃতির পাতা ঝাড়িয়া বাহির করিতে পারি না আপাতত। তবে দিনটি মনোহর ছিল উহা মনে করিতে পারি। কেননা কাকার কুষ্ঠির নাম মনোহরপ্রসাদ বিশ্বাস এবং পরিচিতিকালে কাকা ঐ নামেই নিজের গুণকীর্তন করিয়াছিলেন। তবে সামান্য কাল অতিবাহিত হওয়ার পর কাকা আমাদিগের আড্ডায় থিতু হইলে স্কন্দ
All that is necessary for the triumph of evil is that good men do nothing.
-Edmund Burke
মানুষের নৃশংসতার নগ্ন একটি উদাহরণ হল নানকিং-এর গণহত্যা।
খবর-১:
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা (সাবেক শেরাটন) থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১০-১২ সময়ে ২৬৬৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে হলমার্ক গ্রুপ। [০১]
খবর-২:
কিছু বানানবিভ্রাট থেকে গেছে রাবারের বনে
তাহাদের দৌড়-ঝাঁপ-- তাহাদের গূঢ় সব কথা
খাটের কিনারে এসে থেমে গিয়ে চুপ বসে থাকে
আমার সময় গেল ভুল ব্যাকরণে-- মাকড়ের ফাঁদে
এখন গভীর রাত
নিদ্রাভ্রমণের কালে এসে ঠেকে গেছি
সীমান্তরেখা-১
সীমান্তরেখা-২
তৃতীয় অধ্যয়
সবেদ আলির মনে বেশ ফুর্তি ফুর্তি ভাব। সেদিনের মেঘলায় পাঁচু মাঝি দুপুরে ঘুমের আলস্যে পরাজিত হয়ে বিছানায় এলিয়ে পড়লেও পরদিন রেহায় দেয়নি ব্লাক মার্কেটরা। শুধু ব্ল্যাক মার্কেটই বা কেন, মেঘের অবগুণ্ঠন সরানো সূর্যের সোনাঝরা রোদে ঝিলিক দিয়ে উঠেছিল সবেদ আলি-হাবুডাগাদের গোত্রীয় মাথামুটের অন্নাভাবে মলিন মুখগুলোও। সেই ঝিলিকের চিহ্ন এখনো লেগে আছে সবেদ আলির চেহারায়। কিন্তু বউটার মন খারাপ নাকি শরীর খারাপ সেটা ঠাহর করে ওঠা তার জন্য পর্বত-লঙ্ঘনের মতো দুরাতিক্রম্য চ্যালেঞ্জ। একবার ভাবে জিজ্ঞেস করবে, পরক্ষণে একপশলা অভিমান এসে ভর করে মনে। খুব যে নতুন তাও নয়, নয় নয় করে ছয় মাস পার হলো, এই বয়সী দম্পতিরা কত আমোদ-আহ্লাদ করে, কিন্তু হুরমতি সেসবের ধার ধারে না। অথচ মুখরা রমনী সে।
অপেক্ষা
-----------
জানালা দিয়ে যতটা দেখা যায় -
ড্রেসিং টেবিলের পাশে রাখা
একপাতা টিপের মতো
রাতের আকাশ জোড়া কিছু নক্ষত্র;
আর একটু দূরে তোমার জানালা আড়াল করে
মুঠি মুঠি শিমুল ফুল; তার ফাঁক গলে
জানালার পর্দায় নকশা করা প্রজাপতি -
অপেক্ষায় থাকি;
কখন দমকা হাওয়া এসে উড়িয়ে দেবে আড়াল, দেখা যাবে
তোমার কাঁধ বেয়ে কোমরে নামা
একটা পূর্নদৈঘ্যের রাত্রি;
অসভ্যতার সবগুলো সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি আমরা।
নিম্নমানের এক ভিডিও'র ট্রেইলার (ধর্মান্ধরা একে মুভি বলে, আমার রুচিতে বাঁধে একে মুভি বলতে) নিয়ে আমাদের দেশের ধর্মান্ধরা যা করল, তাতে মনের মধ্যে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়েছিলাম।
ধর্মান্ধরা ইউটিউব বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করল। ওরা সফলও হল। সরকার ইউটিউব বন্ধ করে দিল।
মনে পড়ল এডমুন্ড বার্কের উক্তি-
[justify]একদিন সকালে উঠে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো।
অবাক হতেও ভুলে গেলাম যখন দেখলাম এক যুবকের সামান্য একটা ফেসবুক পোস্টে ট্যাগড হওয়া নিয়ে রামুতে তুলকালাম হতে দেখলাম। আগুন লাগানো ঘরগুলোর ছবি দেখেও ঠিক বিশ্বাস হতে চাচ্ছিলো না। খুব মনে হচ্ছিলো কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। এরকমতো হতেই পারে না। মানুষ এরকম বেকুবের মতো কাজ করে কিকরে? নিশ্চয়ই এটা ঝামেলা লাগানোর জন্য ছড়ানো খবর। পরে বুঝলাম বেকুব আসলে আমিই। দুপুর হতে হতে ফেসবুক, বিডিনিউজ২৪ এ ছেয়ে গেলো ছবিতে। পোড়ানো ঘরবাড়ির টিনের চালের ছবি, জ্বলজ্বলে গনগনে আগুনের ছবি, আয়েশে শুয়ে থাকা গৌতম বুদ্ধের শান্তি ভঙ্গের ছবি! আমার দাগী চোখ মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছিলো, পোড়া ঝলসানো লাশ হয়ে থাকা মানুষ, নির্জীব, অসহায়, দুই হাত তুলে আকাশের দিকে চেয়ে থাকা মানুষ! পেলাম না। কোনও মানুষের ছবি চোখে পড়লাম না। খুব আস্তে করে শব্দ নাকরে চেপে রাখা শ্বাস ছাড়লাম তখন। এখনও আশা আছে, ধর্মের নামে আমরা নরমাংস খেতে শুরু করিনি তাহলে এখনও, হালাল ভাবে জবাই করে ঘর পোড়ার আগুনে গ্রিল্ড নরমাংস এখনও তাহলে পাতে উঠেনি আমাদের!