আবির বলল,আপনারা যান,আমি এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাব,ওর বাসা কাছেই ।
1.একটা দিঘি অথৈ জল, একটু কালো খুব শীতল
সেই দিঘি তে ডুব দিয়েছি , থই খুঁজে না পাই,
স্বপ্নে দেখি কাছেই আছ, জাগরণে নাই
2.ঘাস এর বুকে তৃষ্ণা এলে, শিশির জমে যায়,
ফুল এর বুকে তৃষ্ণা এলে মৌমাছি রা ধায়
নদীর বুকে তৃষ্ণা এলে পলি জমে উঠে,
আমার তৃষা তুমি ছাড়া কেমন করে মেটে
3.ভুল ছিল না ভালবাসায় , ভুল ছিল না প্রেম এ
তবু কেন আমার চিঠি বিবর্ণ এক খাম এ
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এলাকা আজ থেকে চারশ বছর আগে ছিলো নির্বাসিত পর্তুগীজ অপরাধীদের অভয়ারণ্য, আরাকান থেকে সুন্দরবনের তীরে দস্যু হার্মাদ১ এর নামে লোকে কাপড় ভিজিয়ে দিত। আজকের লিখাটি ১৮৬৯ সালে টমাস হার্বার্ট লেভিন লিখিত The Hill Tracts of Chittagong and the dwellers therein বইটির কিছু অংশের ভাবানুবাদ।
দাঁত ব্রাশ শেষ করেও বাথরুমের আয়নার সামনে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল আবির। তারপর পুরনো অভ্যাসমতো মনে মনে বলল,‘শুভ জন্মদিন।’ এই অভ্যাসটা তার সেই ছোট্টবেলার যখন সে ক্লাস ওয়ান কিংবা টু’তে পড়ে তখন থেকেই। তখন একদিন বাবা বলেছিলেন,‘বুঝলি আবির,নিজের জন্মদিনে সবার আগে নিজেকে উইশ করার মজাই আলাদা।’ ব্যাপারটা আবির তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে পারে এবং বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারে । কারণ তার জন্মদিনটা শুধু একজন মানুষই এখন মনে রাখে আর তিনি হচ্ছেন মা। আর বাবা নামীদামী ব্যবসায়ী হওয়ার চাপে এইসব ছোটখাটো বিষয়গুলো মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছেন। আর ঝেড়ে না ফেললেও একদিন ঠিকই বড় বড় বিষয়গুলোর আড়ালে এইসব ছোটখাট বিষয়গুলো হয়তো ঢাকা পড়ে যেত !
এই হাউয়ার পোলা, নাঈম ভাই তো বাসায়ই আছে। না দেইখ্যা খালি চাপা মারস? কইসি নাঈম ভাইয়েরে, চাপা মারা পোন্দে দিব আইসকা।
অনেক্ষণ আগে জানালায় মুখ এনে মাহবুব জিজ্ঞেস করেছিল আসলামকে
:নাঈম ভাই বাসায় আছে?
আসলাম ওহাব সাহেবের বসার ঘর ঝাট দিচ্ছিল। বিকেলে নাঈম ভাইকে বের হতে দেখেছে সে। কিন্তু ফিরতে দেখেনি। তাই ঝাটা দিতে দিতেই বলেছিল
নাঈম ভাই বাসাত নাই।
আমি সেরা প্রাপ্তির তালাসে মস্তিষ্কের অন্দরে চষে বেড়াচ্ছি। কিছুই তো অর্জন হয়নি এইটুকু জীবনে, তাই প্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ কষে নতুন বছরের শুরুতে যদি বা কিছু পাওয়া যায়! তো নতুন বছরের প্রত্যুষে ঘুম থেকে জেগে উঠাটাই আমার কাছে একটা বড় প্রাপ্তি। এ যুগের অনেক বিখ্যাত গণক তো আগেই বলে রেখেছিলেন, ২০১২ সালেই পৃথিবী শেষ!
পৌরাণিক যুগের শুরুতে দৈহিক শুচিতাই যেন ক্রমে চরিত্রের সংজ্ঞা হয়ে দাড়াচ্ছে।
অতি ক্রুর স্বভাবাপন্ন নর-নারী কোন ক্রমে দৈহিক শুচিতা রক্ষা করতে পারলেই তাঁরা চরিত্রবান আর চরিত্রবতী হচ্ছেন।
সংহিতা যুগে এ পরিবর্তনের গৈরব বহন করেছেন, উদ্দালক ঋষিপুত্র শ্বেতকেতু।
নজমুল আলবাব শুকনো মুখে বেরিয়ে আসে জঙ্গল ছেড়ে। তারপর হাঁটু পর্যন্ত কাদা ঠেলে এসে নৌকায় ওঠে হাঁচড়ে পাঁচড়ে।
বলি, "ছবি তুলতে পাল্লেন কিছু?"
নজমুল আলবাব বিড়বিড় করে কী যেন বলে। সম্ভবত গালি দেয় আমাকে।
বনরক্ষী ফজলু শেখ চুপচাপ বসে ছিলো নৌকার পাটাতনে, আলবাব তাকে বলে, "ভাই পা ধুইতে হবে।"
ফজলু শেখ সংক্ষেপে বলে, "ধুয়ে ফেলেন।"
মাথার ভেতরে এক অদ্ভুত শূন্যতা অনুভব করে। চট করে কিছু মনে পড়ে না। কোথায় আছে কেন আছে বুঝে উঠতে বেশ সময় লাগে। চোখের পাতা খুলতেও কষ্ট হচ্ছে ওর। নিজের শরীরের ওজনও যেন অনুভব করতে পারছে। ধীরে ধীরে সব মনে পড়ে আবার। চোখ খোলে। কিন্তু কিচ্ছু দেখতে পায় না। শুধু নিকষ কাল, একেবারে অন্ধকার, আলোর ছিটেফোটাও নেই কোথাও। প্রচণ্ড ভয়ে আত্না শুকিয়ে আসে। ওরা কি ওকে অন্ধ করে দিয়েছে তাহলে?