কানিমার নামের নদী

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/১১/২০১১ - ৭:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_1350
কানিমার একটি নদীর নাম। ক্যারিবীয় অঞ্চলের বৃহত্তম দ্বীপ কিউবার অন্যতম বৃহত্তম নগরী মানতানজাসের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীর নাম প্রথমবারের মত মস্তিষ্কের ধূসর কোষে জমা হয় গত আগস্টে চলন্ত যান থেকে তার চিত্তহরণ করা রূপসুধায় অযাচিত দৃষ্টিবাণ পড়ায়, সে কি অপরূপ নিসর্গ! দুপাড় উছলানো সবুজের বন্যা নিয়ে মাঝারি আকৃতির নদী একে বেঁকে চলেছে দূর দিগন্ত ছোঁয়া পাহাড়সারিকে আলিঙ্গন করতে, যার চূড়ায় সমবেত হয়েছে মেঘদূতের দল। নদীর এক তীরে চিরহরিৎ গুল্মের সমাহার, অন্য কিনারে পুষ্ট ঘাসের দল মৃদুমন্দ হাওয়ায় মাথা দুলিয়ে যেন স্বাগতম জানালো আমাদের এই সবুজের রাজ্যে, অদূরেই বনস্পতির অস্তিত্বের আভাসও পাওয়া গেল।
IMG_3492
মানতানজাসে আস্তানা গাড়ার পর জানা গেল আমরা মোহনার খুব কাছের অংশ দেখে এসেছি শহরে প্রবেশের কালে, নদীর বুকে ভাসলেই দেখতে পেতাম ম্যানগ্রোভ গাছের দঙ্গল আর স্থানীয় জীবজগৎ। কিন্তু কি আছে কানিমারের বুকে? এখানে বড় ঝড় বয় না, এর তীরে কোন ঔপনিবেশিক শাসক প্রাচীন দুর্গ নির্মাণ করে নি, কিউবার কুমীর এই নদীতে ভুলেও সাঁতরায় না, রহস্যেঘেরা কোন আদিবাসী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেয় এর কোন বাঁকে কিন্তু তারপরও কানিমার কিউবার পর্যটকদের কাছে অন্যতম অবশ্যদ্রষ্টব্য! কারণ, সেই এক ও অদ্বিতীয় স্নিগ্ধ নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
নদীর প্রতি একটা রক্তের টান আছে হয়ত বঙ্গসন্তান বলেই, হয়ত বা পদ্মাপারে জন্মের কারণে। সে প্রমত্তা যমুনা বা আলগোছে বয়ে চলা রাইন বা ইতিহাস খ্যাত দানিয়ুব বা প্রাচীন কালীগণ্ডকী যাই আসুক না যাত্রাপথে, নদী অতি পবিত্র তীর্থ আমার কাছে। সেই নদী তীরে খানিকটা সময় অতিবাহিত না করলে, সেখানেই পাখ-পাখালির সাথে দূতিয়ালি না করলে ভ্রমণ সম্পূর্ণ হয় না কিছুতেই। সেই অনতিক্রম্য আকর্ষণ থেকেই পরদিন সকালে শুরু হল কানিমারকে অন্য রূপে আবিস্কারের পালা।
IMG_3388

মানতানজাস যেমন কিউবার এথেন্স নামে পরিচিত তেমন পরিচিত সেতুর শহর বলেও, নানাকৃতির ১৭টি সেতু আছে এর চারপাশে, এর মধ্যে উচ্চতমটি কানিমারের উপরেই নির্মিত, যার গোঁড়ার কাছেই এক স্টিমার দাড়িয়ে আছে দিনের মধ্যভাগে দর্শনার্থীদের নিয়ে নদীর গভীরে যাবার অপেক্ষায়।
IMG_3408

IMG_3390

গুটিপায়ে সেই জলযানের দিকে এগোনোর ফাঁকে ফাঁকে উপভোগ করছি বালুতীরে সদ্য গর্ত খোঁড়া কাঁকড়ার ব্যস্ততা, জলচর পাখির উড়াল, পড়ে থাকা নারকেলখন্ডের লোভে চড়ুইয়ের কিচিরমিচির।
IMG_3446

হঠাৎই নিসর্গের এই ছন্দময় দ্যোতনা এক নিমিষে চুরমার করে কানের কাছে বেজে উঠল ঢাকের শব্দ, তাতে রীতিমত রণহুংকারের আবহ! পরের ঘটনা আমাদের করে দিল কিংকর্তব্যবিমূঢ়, যেন শূন্য থেকে উদয় হওয়া একদল অদ্ভুত ধরনের মানুষ সামনের উঠানটি হুড়মুড় করে দখল করে ফেলল, তাদের মুখে শরীর সাদা, নীল, লাল নানা বর্ণের ছবি আঁকা। নারী-পুরুষ উভয়েরই সুগঠিত শরীরগুলোতে নিম্নাঙ্গে কোন মতে ঝুলতে থাকা কৌপীন ছাড়া দ্বিতীয় কোন বস্ত্রখণ্ড নেই, কিন্তু তাতে এদের লাবণ্যময় সুঠাম শরীরের শ্রী-বৃদ্ধি ঘটেছে বলেই মনে হয়। কারা এরা!
IMG_3434

IMG_3442
শুনলাম এরা এক রেড ইন্ডিয়ান গোত্র, ভ্রমনার্থীদের মনোরঞ্জনের আর খানিকতে চমক সৃষ্টির আশায়ই এমন ভাবে না বলে কয়ে উদয় হয় প্রকৃতির সন্তানেরা, শুরু করে তাদের নিজস্ব নৃত্য-গীত-বাদ্য। সেই সাথে কল্পিত দেবতার উদ্দেশ্যে নৈবদ্য দেয়া নিয়ে রচনা করে মিনিট কয়েকের এক খোলা মঞ্চনাটক,
IMG_3474

IMG_3476

320672_10150808525175497_608590496_20926224_591713054_n

সমাপ্তির পরে এক বিশাল শঙ্খ নিয়ে সবার কাছে অর্থ সংগ্রহের মানসে যান তাদেরই কোন নারী সদস্য, এর পরপরই ভোঁ ধ্বনি দিয়ে জলবতী ধারা চিরে যাত্রা শুরু করে আমাদের জলযান।
IMG_3397

নদীভ্রমণের কি অপার আনন্দ, প্রতি বাঁকে বাঁকেই অগণিত রহস্যের হাতছানি, কি থাকতে পারে ঐ সবুজ চাদরের ওপারে জানবার কোন উপায় নেই! এখানে মাঝে দেখা গেল কাশফুল জাতীয় উদ্ভিদের মেলা আর পরপরই বিশাল বাঁশ বনের রাজত্ব নদীর কিনার দখল করে, সেখানে আবার বিশাল শকুনসভা বসেছে নিউ ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে পরিচিত সদস্য টার্কি শকুনের, ভয়ডর নেই কিউবার কোন পাখিরই, স্টিমার আসতে দেখলেও বেশ জাঁক দেখিয়ে বসেই থাকল আপন আপন বাঁশের মাথায়! এদের মুখমণ্ডল একবার দেখলেই বোঝা যায় টার্কি মুরগীর সাথে কি অসাধারণ মিল তাদের, যে কারণে মানুষ এই মুক্ত বিহঙ্গের নাম দিয়েছে ঐ পোষ মানা হতভাগা মুরগীর নামেই।

307039_10150821125675497_608590496_21029667_1552798196_n

থেকে থেকেই দুপাশে ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ, তাদের শ্বাসমূলের বিস্তার চোখে পড়ার মত। কি নিপুণ ভাবেই না বিবর্তনের মাধ্যমে প্রকৃতির সকল সদস্য করে নিয়েছে নিয়েছে টিকে থাকবার আপন আপন ব্যবস্থা।
IMG_3862

এক পাশে সুউচ্চ পাথরের পাহাড় নজরে আসল, যদিও এই সবুজ স্বর্গে এমন রূক্ষ ন্যাড়া প্রাণহীন প্রস্তরখণ্ডকে অপাংক্তেয় মনে করার কোন কারণ নেই, বরং মনে হল সে এখানকার অবিচ্ছেদ্য অংশ, এই ছোট গিরিখানা না থাকলে প্রকৃতি যেন সম্পূর্ণতা পেত না।
IMG_3508

IMG_3576
কানিমারের যতই গভীরে প্রবেশ করছি আমরা ততই বাড়তে আছে জলচর পাখির সংখ্যা ও বৈচিত্র। মহাশান্তিতে গাছ দখল করে বসে থাকা সাদা বকের পালকে দূর থেকে ফুটে থাকা সাদা সাদা ফুল বলে ভ্রম হল বার কয়েকই, কাছাকাছি হতেই তারা কেবল আলস্য ভরে অনেক কষ্ট করে কেবল পাশের গাছটিতে যেয়ে বসে।
IMG_3852

IMG_3854

এমনভাবে দেখা হল শত শত প্রশান্ত নীল বকের সাথেও, চোখ জুড়ানো নীলাভ পালকে আবৃত তাদের শরীর।
IMG_3619

IMG_3565

IMG_3568

সারাদিনে একবারই বকের ভিড়েই লুকিয়ে থাকা বিশ্ব জুড়ে অতিবিরল সাপ পাখি বা গয়ারের সাথে দেখা হয়ে দিনটাকে মহা সার্থক মনে হতে থাকল।
IMG_3600

নদীর এক বাঁকে দেখা হল মাছশিকাররত স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সাথে, গাড়ীর টায়ারে বসে, সেটাকেই ভাসমান জলযান হিসেবে ব্যবহার করে জাল ছুড়ে নিপুণ দক্ষতায় কানিমারের সবুজ বুক থেকে আহরণ করছেন রূপালী ফসল।
IMG_3603

IMG_3606

তাদের মতই সমদক্ষতা আর ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে পাড়ে বসা কানিবকও।
IMG_3533

ঘণ্টাকয়েক চলার পরে যাত্রাবিরতির সাইরেন বাজল, অনেকটা বাগান মত এক জায়গায় পেটপূজোর পরে আবার ভাসব সবাই।
IMG_3820 আশেপাশের আর সবকিছু ফেলে সেই সময়টুকু সম্পূর্ণ কেড়ে নিল সুপুষ্ট ফলের ভারে নুয়ে পড়া আমগাছ!
IMG_3815

সেই সাথে দেখা মিলল ছাতারে জাতীয় এক পাখির আর বহুবর্ণা প্রজাপতির।
IMG_3802

IMG_3678

নুড়ি পাথরের উপর দিয়ে কুলকুল বয়ে চলা স্ফটিকস্বচ্ছ এক নালাকে ঠিক প্রাকৃতিক বলে মনে না হলেও আনন্দ ভরা বিস্ময়ে আবিস্কার করি এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক।
IMG_3761

অদূরেই এক অদ্ভুত কার্যকরী সেতুর সাহায্যে স্থানীয়রা নদী পেরোচ্ছিল, যে ব্যবস্থায় কোনরকম পরিবেশদূষণ আর অর্থব্যয় ছাড়াই নিজে নিজেই নদী অতিক্রম করতে পারবেন যে কেউই। আমাজন নিয়ে তৈরি অনেক তথ্যচিত্রে দেখেছি এই ধরনের ভাসমান সেতুর ব্যবহার।
IMG_3645
পরিবেশ দূষণের কোন বালাই চোখে পড়েনি কানিমারের দুকূলে, নেই কোন কল-কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য, এমনকি স্থানীয় গ্রামবাসীদের পয়নিষ্কাশনের শৌচাগার নদীর সাথে সংযুক্ত নয়। এর পিছনে মূল কারণ কিউবান সরকারের পরিবেশ রক্ষার নীতি এবং জনগণকে পরিবেশবান্ধব হবার শিক্ষা দেয়া।
IMG_3498
ফেরার পথে স্থানীয় অনেক শিশু-কিশোরদের সাথে দেখা হল যারা মনে করিয়ে দিল আমাদের সুদূর অতীতে চাপা পড়ে যাওয়া শৈশবের বহুবর্ণা স্মৃতিগুলোর কথা। তাদের উদ্দামতা ও প্রাণোচ্ছলতা সম্ভবত এটাও প্রমাণ করে টেলিভিশন বা কম্পিউটার গেম নামের ভাইরাস থেকে মুক্ত থেকে অন্তত অনাবিল প্রকৃতির মাঝে তারা বড় হচ্ছে নিসর্গ এবং মানুষবন্ধুদের সাথী করে।
IMG_3894

তাদের দলেই পাওয়া গেল চিরতরুণ এক সুখী মানুষকেও, বাচ্চাবেলা থেকে শুনে আসা প্রবাদ সুখী মানুষের জামা থাকে না এই ভুল ধারণার অবসান ঘটে গেল তার দর্শনে।
IMG_3668

একই পথ বেয়ে আবার গন্তব্যে ফিরে আসে আমাদের স্টিমার, শেষ হয়ে যায় অপূর্ব স্মৃতিময় আরেকটি দিন।
IMG_3923

ফেরার পথে সেই উঁচু সেতুর উপরে খানিকক্ষনের জন্য দাড়িয়ে রিও কানিমারের মোহনাকে ফ্রেমবন্দী করতে করতে কেবল অস্ফুট কন্ঠে বললাম- এমন ভাবেই অনাদিকাল বয়ে যেও কানিমার, এমন ঘন সবুজ জলধারা নিয়ে, সমস্ত জীবজগতকে সাথী করে। সমস্ত বিশ্ব আজ যন্ত্রায়নের মরণনেশায় ব্যকুল, তাদের সেই উন্নয়নের ভুল পথে বেয়ে তোমার কুমারী শরীরে কারখানার ক্লেদ যেন কোন দিন স্পর্শ না করে, ভঙ্গ না হয় তোমার পবিত্র যাত্রা। যাক এগিয়ে সারা বিশ্ব উন্নয়নের নামে ধ্বংসের পানে, তুমি এমন সরল আড়ম্বরহীন ভাবেই বয়ে চল, সুস্থ থেকো, ভালো থেকো।।
IMG_3919


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অনু ভাই, ভাল ছবি তুলেছেন, তবে ৮,১০,১১ কিন্তু বেশী ভালো দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

হ কইছে আপনেরে! কবি মানুষদের দিয়ে এই মহা সমস্যা!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমি তো নামের কবি, কামের কবি না

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

কামমুক্ত কবি আজ পর্যন্ত বিশ্ব দেখেনি! এই প্রসঙ্গে আমাদের গুণ দা বলেছেন দারুণ-- আমি প্রচন্ড কামুক!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
ভাল কৈছেন। গুণদারে বড় ভালু পাই, উনার 'নিশিকাব্য' আমার বিশেষ প্রিয় দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

আমারও!

শিশিরকণা এর ছবি

বস্ত্রহীনা আপামনির পায়ে ব্যালে ফ্ল্যাট স্যান্ডেল দেখে মজা পাইলাম।
আর ছবি? কি সুন্দর নীল!!!! কী সুন্দর সবুজ!!!!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

স্যান্ডেল আসলে গরমের কারণে, রোদে তেতে সেই পাথুরে জায়গা তখন অতি উত্তপ্ত!

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

ভাই তারেক অণু আপনার ভ্রমণকাহিনী আর ছবি দুটোই দুর্দান্ত। দুটি বিনীত কৌতুহল, আপনার পেশা এবং ভ্রমণের খরচের উৎস। উত্তর না দিতে চাইলে সমস্যা নেই। অস্ট্রেলিয়া আসার আমন্ত্রন রইল।

তারেক অণু এর ছবি

অস্ট্রেলিয়া আসতে চাই-ই! জানাব আগে। পেশা হিসেবে নিতে চাচ্ছি ভ্রমণ, আর খরচ নিবারণের উৎস বরাবরের মতই নিজের পকেট।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আধুনিক মার্কোপলো।

তারেক অণু এর ছবি

লইজ্জা লাগে শরমে উদাস হইয়া গেলাম। কার সাথে কি !

তারাপ কোয়াস এর ছবি

এই বেলা কিউবা না গেলেই নয়! দেঁতো হাসি


love the life you live. live the life you love.

তারেক অণু এর ছবি

তা তো বটেই!

অতিথি লেখকঃ অতীত এর ছবি

আপনাকে আর বিশেষায়িত করার মতো আমার কাছে অবশিষ্ট কিছু নেই। শুধু আগের মতোই বলি, "অসাধারণ"

যাইহোক, সাগরের তলা দিয়া নদীপাড়ের উপ্রে আইলেন নাকি এইবার??? দেঁতো হাসি

অতীত

তারেক অণু এর ছবি

হ, আসলে এটা মনে হয় ডুব দেবার পরের দিনই।

সাফি এর ছবি

আপনে পারেনও। প্রথম পাতায় ছবি দেখে প্রথমে সুন্দরবন আর এভারগ্লেডসের কথা মনে পড়ে গেছিলো। সব ম্যানগ্রোভের ভূপ্রকৃতি মনে হয় কাছাকাছি রকমের

তারেক অণু এর ছবি

ঠিক বলেছেন, প্রায় এক ধরনেরই।

তানজিম এর ছবি

অনবদ্য ছবির সাথে এবার দেখি উচ্চমানের সাহিত্যও যোগ হয়েছে। বেশ ভাল।।

তারেক অণু এর ছবি

তাই নাকি !

মণিকা রশিদ এর ছবি

গত বছর থেকে কিউবায় যাবো যাবো করছি, হয়ে উঠছে না। ছবিগুলো দেখে যাবার ইচ্ছা আর একবার হানা দিয়ে গেল। সুন্দর ছবি, সুন্দর উপস্থাপনা!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

তারেক অণু এর ছবি

খুব ভাল হবে। ঘুরে আসুন। কিউবার শহর নিয়ে নিয়ে একাধিক পোস্ট দিব ভবিষ্যতে আশা রাখি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটা বই আছে যার নামটা মনে হয় এ'রকম - Bury me at the bank of Wounded-knee। ক্যুবাতে জীবনে কখনো না গিয়েও এই পোস্টের ছবিগুলো দেখে আমার মুখ দিয়ে বের হলো - Bury me at the estuary of Canimar।

পুনশ্চঃ কানিমার নিয়ে একটু অন্য রকম একটা ঘটনার লিঙ্ক


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তারেক অণু এর ছবি

বইটা পড়েছিলাম অনেক আগেই, ডি ব্রাউনের লেখা, চোখে জল আনা সত্য কাহিনী।
ইয়ে, সেই লিঙ্কটা কতখানি সত্য বলতে পারছি না, রেফারেন্সগুলো খুবই সন্দেহজনক !!

মরুদ্যান এর ছবি

হেহে কালকেই ফ্লিকারে ছবিগুলা দেখসি, ভাবতেসিলাম পোস্ট খানা কবে প্রসব হবে! হাসি

সুন্দরবন ট‌্যুরের কথা মনে হয়ে গেল!! আহা! কি মজার ছিল সেই কয়েকদিন!

তারেক অণু এর ছবি

আহা!

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

ছবি দেইখা শরমে ‘শরম উদাস’ হয়া গেলাম

Cover Up

তারেক অণু এর ছবি

বাহ, চরম, গরমের পর শরম।

কৌস্তুভ এর ছবি

কি সুন্দর ছবি মাইরি!

তারেক অণু এর ছবি

তাই, আপনি দাদা একটা ইয়ে!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

নির্বাক চেয়ে রই।

তারেক অণু এর ছবি

তাহলে বুঝেন আমার অবস্থা! চাইলেয় হয় না, ছবিও তুলতে হয় ! নিজের চোখের সাথে সাথে ক্যামেরার লেন্স দিয়েও ফোকাস করতে হয়।

তিথীডোর এর ছবি

কী সুন্দর.. কী সুন্দর ছবিগুলো!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনের মন্তব্য হিসেবে কিছু কবিতা পেলে ভাল লাগত।

পাঠক এর ছবি

ভাই, ছবিগুলান তো মাথা খারাপ কইরা দিল....ক্যাম্রার মডেল আর কনফিগারেশনটা যদি বলতেন..............

তারেক অণু এর ছবি

ক্যানন ৭ ডি, লেন্স ১৮-২০০ মিমি। আরে ভাই ক্যামেরা দিয়ে আর ছবি তোলা যায়, তুলতে হয় মন দিয়ে।

নিটোল. এর ছবি

আর কিছু বলার বাকি নাই আপনেরে নিয়া। সব কথা তো আগের পোস্টগুলোতেই বলে ফেলছি। তবে আপনাকে দেখে আমার ধীরে ধীরে বিশ্বাস জন্মে গেছে যে আপনার মতো বাংলাদেশী-পর্যটক এই মুহুর্তে বোধ হয় আর নাই। কী, ঠিক বললাম??

তারেক অণু এর ছবি

না না , অনেকেই আছে। তাদের সামনে গেলে লজ্জায় পালিয়ে যেতে হয়, যেমন আমার ভ্রমণগুরু ইনাম আল হক। এই বয়সেও যেভাবে দেশ- বিদেশ চষে বেড়াচ্ছেন, ঐ বয়স পর্যন্ত টিকব নাকি ভরসা পাই না!

দিহান এর ছবি

সুখী মানুষের জামাটা কিনে এনে নিলামে উঠিয়ে দিতেন...

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

তারেক অণু এর ছবি

তা হত, কিন্তু সুখ যে নিলামে বিকোনো যায় না আপু!

শাব্দিক এর ছবি

সবাই কি সব ছবির কথা বলে,
আমার সবচেয়ে ভাল লাগছে পাখির ছবিগুলো।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ। প্রচন্ড রোদ ছিল, তাই মনের সুখে ছবি তুলতে পারি নি, সব কালো কালো আসত। পাখির ছবি বরং যাপাতার বনের পোষ্টটাতে বেশী আছে।

কল্যাণF এর ছবি

অণু ভাই তোমার খোলা মঞ্চনাটকের ছবি এত কম দেয়ায় পোস্টের সৌন্দর্যহানি হয়েছে। এইটা অপরাধ। আরো কিছু ছবি যোগ করা হোক। রক পাখির ঠ্যাং ধরে তোলা নদীর ছবিটা দেখে ভাল লাগলো।
সিরিয়াস কথাঃ দারুন হয়েছে, অসাধারন পোস্ট, চলুক, চলুক, চলুক...

তাপস শর্মা এর ছবি

হি হি অইডা( হে হে ইয়ে- লু) কাকুর ফুডুডা ব্যাপুক অইছে। তয় কথা অইল এই লোকের পরার মত কি এই গেঞ্জিটাই আছে!!

পোষ্টের জন্য একহাজার তারা, না না তারেক হে হে । চ্রম লাগছে উপ্রের ফডুগুলা হে হে ।

তারেক অণু এর ছবি

হয়ত তাপস দা, বেচারা মনের সুখে মাথার টুপি ভর্তি শীতল জল মাথায় ঢাল ছিল, মনে হচ্ছিল আমারও সেই কাজ সেই মুহূর্তে করা দরকার।

তারেক অণু এর ছবি

অপরাধ! দাঁড়ান দিচ্ছি বৌদিকে এই মেসেজ পাঠিয়ে।

কল্যাণF এর ছবি

বৌদি সচল পড়ে না বতস খিক্ক খিক্ক

তারেক অণু এর ছবি

মানে এখন পর্যন্ত পড়ে না, শীঘ্রই পড়বে।

বন্দনা কবীর এর ছবি

এই পোস্টে এবার লেখার উচ্ছসিত প্রশংসা করে যাই। ছবি তো ছবি, লেখাটা এতো চমৎকার হয়েছে যে রীতিমত সাহিত্য হয়ে গেছে। হুড়োউড়ি করে পড়েও মুগ্ধ হলাম। তাই জানিয়ে গেলাম। রাতে আবার পড়বো শান্ত মনে হাসি
ভাল থাকুন সবসময় আর ঘুরতে থাকুন বিশ্বময়।

তারেক অণু এর ছবি

আরে না আপা, আপনি স্নেহ করেন বলে বলছেন। এক বসায় ঘুম ঘুম চোখে অনেক রাত পর্যন্ত লিখে পোষ্ট করে ঘুমাতে গেছি। সাহিত্য কি এতই সহজ!
শান্ত মনে পড়ে জানিয়েন কেমন লাগল!

সুমাদ্রি এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর সব ছবি। কিউবার আদিবাসী গোষ্ঠীগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি তবে? আমি অন্যরকম জানতাম। সুখী মানুষের কাঁচুলি ছাড়া নিম্নে কোন কৌপীণ ছিলনা? রসিকও বটে! সেতুটার নান্দনিকতা বলে দেয় কিউবানদের সৌন্দর্যবোধের কথা। আহা, কিউবা যেন লিবিয়া না হয়। ফিদেল, রাউল চলে যাওয়ার পর যে কী হয় কে জানে! কিউবার আর্থ-সামাজিক জীবন নিয়ে একটা পোস্ট দিন, আপনি যেমনটা দেখেছেন, ওতে কিউবা সম্পর্কে ধারণাগুলো মিলিয়ে নেয়া যাবে। ভাল থাকুন।

তারেক অণু এর ছবি

দিব সুমাদ্রি দা। হাতের আরো কিছু আইডিয়া আছে কিউবা নিয়ে, এগুলো শেষ করে বড় আকারের লেখায় হাত দিব কিউবার জীবন নিয়ে। আদিবাসী গোষ্ঠী নিশ্চিহ্নই আমি যতদূর জানি, এগুলো সম্ভবত পর্যটকদের জন্য।

উচ্ছলা এর ছবি

যেমন লেখা তেমন ফটোস...বিশ্রী রকম ভালো হয়েছে,অনু। এতটা ভালো হওয়ার কোনো দরকার আছে?...বাড়াবাড়ি লিমিটের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে!

আর ভাল্লাগে না!

KMN!!!

(kill me now)!!!

তারেক অণু এর ছবি

অহিংসা পরম ধর্ম।
কেবল আর্জেন্টিনার দূতাবাস থেকে ফিরলাম, কেন আন্দাজ করে ফেল?

উচ্ছলা এর ছবি

লোটা-কম্বল নিয়ে রেডি?! শুনলাম মাচু পিচুও যাওয়া হবে?! (হিংসার আগুনে এক পোয়া ঘি পড়ল )

ঐ তুমি কি স্মাগলার নাকি রে?...এত্ত টাকা কই পাও? দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

তা তো বটেই, তবে আমি স্মাগলার ঠিক না, ফেরিয়ালা। স্বপ্নের ফেরিয়ালা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

এই পোষ্টটিতে তারেক অণুর শব্দমালায় হাজার তারার ফুলঝুড়ি ফুটেছে। ভাষা হয়েছে কাব্যগন্ধী, আবহ কানিমারের মতই স্বচ্ছতোয়া। কানিমার দেখে মনে হলো,

এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে সবচেয়ে সুন্দর করুণ
সেখানে ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো জাগিছে অরুণ

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু এর ছবি

আহা, আমার খুব খুব প্রিয় একটা কবিতা, একধিক বার আবৃত্তিও করেছি। অনেক ধন্যবাদ রোমেল ভাই।
সেখানে শঙ্খচিল পানের বনের মত হাওয়ায় চঞ্চল----

দ্রোহী এর ছবি

অমানুষিক!

তারেক অণু এর ছবি

কেন রে ভাই ! আপনার এই অমানুষিক শব্দের ঠেলায় আমার নাম দেখছি ঢাকা পড়ে যাবে!

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

কী অপূর্ব লীলাভূমি!!! কী চমৎকার বর্ণনা!!! চলুক

আর ইয়ে মানে ৮, ১০, ১১ দেখি নাই কিন্তু..........


_____________________
Give Her Freedom!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি তো ৮, ১০ আর ১১ ই দেখলাম ... খাইছে

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

তা আর বলতে মুর্শেদ ভাই, এই পোস্টে ঐ তিনখানেই কেবল দৃষ্টি আটকায় যায়.......... হো হো হো কী যে করি.............শরম উদাস হৈ গেলাম........... হো হো হো

[এই মন্তব্য কেহ পড়িবেন না কিন্তু]


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

দুইজনই ধরা ! মুর্শেদ ভাই কেবল ৩টা ছবি দেখেছে বলে, আর ঈষৎ দা মাত্র ৩ টা এড়িয়ে গেছে বলে। কারণ, দুইজনই প্রথমে সবগুলো দেখেছে। তারপর আবার দেখে বিশেষগুলোর নাম্বার বাহির করেছে, তার পর এইখানে লিখেছে!
হা হা, হি হি, আমাদের ফাঁকি দেওয়া কি এতই সহজ, আমরা কি মলা ঢ্যালা ব্লগার নাকি!

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

খাইছি ধরা............. ইয়ে, মানে...


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি
চরম উদাস এর ছবি

ছি ছি ছি ছি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চরম উদাস দেখি শরম পেয়ে শরম উদাস হৈ গেল........ হো হো হো


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

উদাস দা, আমার কুন দোষ নাই এরপরে কেউ শরম উদাস বললে ! থুক্কু!!

অরফিয়াস এর ছবি

প্রকৃতি প্রিয় মানুষেরা প্রকৃতির সাথে একদম মিলে মিশে যাচ্ছে দেখি তাও একদমই উদোম হয়ে, বড় ভালু পাইলাম, ৮,১০,১১ চোখ টিপি বাহ বাহ বেশ ভালু ...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

প্রকৃতিতে কাপড়ের দরকার কি, তাও অমন গরম দেশে!

ফাহিম হাসান এর ছবি

ছবিগুলো দারুণ। পরিযায়ী পাখি নিয়ে পোস্ট জলদি দ্যান মিয়া।

কল্যাণF এর ছবি

তারেক অণু এর ছবি

দিব রে ভাই। আমার মনও তো এখন পরিযায়ী!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমাদের সময় এখন রাত ৩টা। চারিদিকে শুনশান নিরবতা। আইপডে বাংলার মাটির গান শুনছি আর আপনার নীল-সবুজে ভরা পোস্টগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছি। অদ্ভুত এক ভাললাগা, বোঝান যাবেনা। ভাল থাকুন, সুখী থাকুন।

তারেক অণু এর ছবি

শুনে খুব ভাল লাগল। আপনার এমন স্নেহময় আদ্র মন্তব্যে অদ্ভুত ভাল লাগায় আচ্ছন্ন মনে হচ্ছে। ভালো থাকুন সবসময়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ফটুক দেখে মনডা পুরাই হরিপ্পা হয়ে গেলো। দেঁতো হাসি
দড়ি প্রকল্প আপাতত স্থগিত। এইরম আরও কিছু ফটুক ছাড়েন মিয়া। চোখ টিপি

তারেক অণু এর ছবি

বাঁধবেন না বলছেন! তয় শুধু জানুয়ারিতে রিও যাইতে দেন, তারপর কথা হবে ছবিতে ছবিতে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

নির্বাক করে দিল ছবিগুলো। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সৌন্দর্য প্রবাদতুল্য, আপনার ক্যামেরায় সেটা দুর্দান্ত।
সংক্ষেপে বলতে গেলে - অমানবিক!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু ছবির ব্যাপারে একমত হতে পারলাম না, আগস্ট কিউবার গরমতম মাস, ছবিতে সব কালো কালো আসত। পরে কোন শীতে যাবার আসা রাখি, তখন পাখিরাও অনেক বেশী আসে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রথম ছবিটার লোভ সামলাতে পারলাম না। নামিয়ে নিয়ে ডেক্সটপ স্ক্রিনে দিয়ে দিলাম ছবিয়ালের বিনা অনুমতিতেই লইজ্জা লাগে

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

শুনে ভাল লাগল। কোনটা দেয়ালে ঝুলাবার মত পছন্দ হলে জানিয়েন, ই-মেইলে আসলটা পাঠিয়ে দিব। এখন এই ছবিটার ঘটনা বলি- এটা কিন্তু চলন্ত বাস থেকে তোলা, জানালায় বসে ঝিমাচ্ছিলাম গরমে, হঠাৎ তার দেখা।
আর এটা কিন্তু ১০০% RAW ছবি, কোন রকম এডিটিং ছাড়া। কোমল আলোটায় এত মায়া পড়ে গেল যে ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে করল না।

যুমার এর ছবি

আমার কমেন্ট কই গ্যালো,জবাব চাই,বিচার চাই!!! ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি

আমিও ওঁয়া ওঁয়া

কালো কাক এর ছবি

কী উজ্জ্বল আর রঙ্গীন ছবিগুলো !!!!
(প্রাকৃতিক পরিবেশের মানুষ দেখতে কিউবা যাইতে মঞ্চায় চোখ টিপি ) এটা কিন্তু বন্ধনীর ভিতরের কথা, কেউ পড়েন্নাই দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

পড়ি নাই, পড়ি নাই চোখ টিপি

আমি আমার এর ছবি

@ অনু,
ভাই আপনি এত সময় কই পান? খুব হিংসা হয়।
দুর্দান্ত লেখা... আর ছবিগুলো কথা বলে। গুরু গুরু গুরু গুরু

তারেক অণু এর ছবি

সময় নাই, এই এক মহা সমস্যা। এই এক জীবনে কত কাজ না করা থেকে যাবে, কত বই পড়া হবে না, কত শত স্থান দেখা হবে না। কিন্তু জীবন ঠিকই বয়ে যায়।

রিয়েল এর ছবি

অনু ভাই..........................................

আপনাকে আর কিছু বুইল্বো না......
যদি আপানার পক্ষে পসিবল হয় (আশা করি যেন হয়) তাইলে একটু পেরু থেইক্কা ঘুইরা আইসেন......।
ওই খানে দুই একটা ইনকা পাইলে ফডো তুইলা আপ্ললোডায়েন......
আহা ! সেই আপানার কাছ থেকে নিয়ে কোন আমলে পড়েছিলাম টিনটিনের "সূর্য দেবের বন্দি"......

যায় হোক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন...।
আর এই রকম কোটি কোটি জ্বালা ধরানো ফোস্কা মার্কা লেখা দিবেন......... শ্রদ্ধা

তারেক অণু এর ছবি

রিয়েল মনে হয় পড়ালেখার ভেজালে ফেসবুকে ঢোকার সময় পায় না। স্ট্যাটাস দিলাম যে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাচ্চু পিচ্চু তে থাকব ২ দিনের জন্য, সেখান থেকে কুজকো হয়ে লেক টিটিকাকা ! কেউ বন্দি না করলেই হয় তখন!

মামুন এর ছবি

অণু ভাই কি অবিবাহিত? এত সময় পান কৈ? অবিবাহিত হইলে ঘুইরা লন ভাই, বিয়া করলে শশুর বাড়ি গিয়া শালির ছবি তুলতে হবে ......... হাসি

তারেক অণু এর ছবি

বিয়ের সাথে শালীর কি সম্পর্ক! আজিব ব্যাপার !!
বিয়ে কি ভাই শুধু মানুষের সাথেই হতে হবে! কি শখের সাথে হতে পারে না! মাসুদ রানার একটা সংলাপ ছিল- মেয়ের চেয়ে অ্যাডভেঞ্চার অনেক বড় নেশা ! ভালো থাকুন।

সালেক খোকন এর ছবি

অসাধারণ ছবি আর ঝরঝরে লিখা। মনে হলো আমিও বেড়িয়ে এসেছি।

তারেক অণু এর ছবি

খুব ভাল লাগল শুনে, ধন্যবাদ।

Shakir Ahmed এর ছবি

তারেক ভাই,
আপনার ছবি নিয়ে কথা বলার ধৃষ্টতা করব না, লেখার হাতও অসাধারন, কিন্তু এই পোস্টের লেখাটা যেন সবকিছু ছাপিয়ে!!!!
Best of luck for the RIO tour...........
গতমাসে মেয়ের বাবা হয়েছি। ভাবছি মেয়েটাকে নিয়ে কবে ঘুরতে বের হতে পারব................ দোয়া করবেন......

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই! মেয়ে সহ টো টো করে ঘুরবেন! তার মা-কেও সাথে নিয়েন মাঝে মাঝে ! দেঁতো হাসি

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আমি খুলনার মানুষ হয়েও এখন সুন্দরবন যেতে পারিনাই মন খারাপ (আশা আছে সামনে যাবার হাসি )। তবে আপনাকে কথা দিচ্ছি, কিউবা যাবোই যাব (মরে না গেলে)। কানিমার নামের নদীকে আমি ছুঁইয়ে দিব আমার অন্তর দিয়ে। আমি বাংলা অনুবাদটা সামান্য পড়েছি "আমারে কবর দিয় হাটুঁভাঙ্গার বাঁকে" এই নামে।

তারেক অণু এর ছবি

হুমম পড়েছি সেটা , বাংলাতেই। ডি ব্রাউনের লেখা।
যাবেন তো বটেই।

হাসান মাহমুদ টিপু এর ছবি

ভাই তারেক অনু, কিউবা যাওয়ার জন্য দিন গুনছি। আর ৯ দিন বাকি। একটা সস্তা দামের প্যাকেজ পেয়ে গেলাম। যাচ্ছি Varadero. ওখানে খরচ করার ট্যাকা বেশি নাই। আমারে বুদ্ধি দেন কম খরচ করে কিভাবে বেশি ঘোরাঘুরি করা যাবে। আপনার কিউবা ভ্রমণের বাকি লেখা পড়লাম। খুবই ভাল লিখছেন, সাহায্য পাইলাম। আপনার মত আমিও চশমা পড়ি। পারবতো? ছবি দেখে হিংসা হচ্ছে খুব। আমার ইচ্ছে আছে হাভানা যাওয়ার। আর কি কি করব আমারে যদি জানাইতেন আমার অনেক উপকার হইত। একটা ই-মেইল করবেন প্লিজ।

তারেক অণু এর ছবি

সেটাতো পুরাই সৈকত! ইমেইল করছি বাড়ী ফিরেই--

হাসান মাহমুদ টিপু এর ছবি

আমি আসলে "স্কুবা ডাইবিং" এর কথা বলছিলাম, 'চশমা' আর 'পারবতো' প্রসঙ্গে। ধন্যবাদ। ই-মেইলএর অপেক্ষায় রইলাম।

মুস্তাফিজ এর ছবি

ছবি লেখা একটা আরেকটাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।

...........................
Every Picture Tells a Story

তারেক অণু এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সবসময়ের উৎসাহের জন্য

এপোলোনিয়া এর ছবি

অসাধারণ, যেমন ছবি তেমন বর্ণনা

তারেক অণু এর ছবি

এহ, আমার সাঁতরাতে ইচ্ছা করছে-

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

নীল বক তো মাথা ঘুরিয়ে দিলো ! কী সুন্দর ! কানিমার বহুকাল এমন গাঢ় সবুজ জলধারায় স্রোতস্বিনী থাকুক, তাকে ঘিরে বেঁচে থাকা সঙ্গী-সাথী পশু, পাখি আর উদ্ভিদরাজি নিয়ে । কিউবান সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ তাদের চমৎকার পরিবেশ নীতি আর তা বাস্তবায়নের জন্য ।
ছবিগুলো যারপরনাই সুন্দর ! উত্তম জাঝা!

তারেক অণু এর ছবি
আহমেদ সাব্বির এর ছবি

ছবিগুলো দেখে উদাস হয়ে গেলাম ! মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।