Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

যুবা (১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ)

আদমচরিত ০৪৩

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/১০/২০১১ - ২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অদূরে কোথায় যেন হট্টগোল হইতেছে, ঈশ্বর কর্ণপটহে কনিষ্ঠা অঙ্গুলি প্রবিষ্ট করিয়া আনমনে চুলকাইতে চুলকাইতে শুনিতেছিলেন। নন্দন কানন ক্রমশ হট্টগোলের জায়গায় পরিণত হইতেছে। স্বর্গদূতগুলি নিয়মিত হল্লা পাকায়। ইহার পিছনে আদমের কোনো ভূমিকা নাই তো?

তিনি গলা খাঁকরাইয়া ডাকিলেন, "গিবরিল!"

গিবরিল কিয়দক্ষণ পর তাহার রশ্মিনির্মিত ডানা ঝাপটাইতে ঝাপটাইতে বারান্দায় আসিয়া দাঁড়াইল।


গজব পড়বে, গজব

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/১০/২০১১ - ১২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জেলখানায় আয়না পেতে বিস্তর লড়তে হয়েছে দেলু রাজাকারকে। আব্বুজির তাহফীমুল কুরআনের কপি পেতে তেমন সমস্যা হয়নি, সমস্যা হয়নি বড় হুজুরের মানব সৃষ্টির হকিকতের কপি পেতেও, কিন্তু একটা আয়না যোগাড় করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যাওয়ার দশা। সীমারের দল দেয়নি শেষপর্যন্ত। নিজের মাসুম শাকল দেলুকে পত্রিকায় দেখতে হয়, মাসে এক দুইবার।


ইয়োসেমেটি ন্যাশনাল পার্ক

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শনি, ০১/১০/২০১১ - ৯:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]তারেক অণুকে খুন করে গুম করে ফেলার ইচ্ছা যে আমার একারই হয়না সেইটা জানি। প্রত্যেকদিন সচলের পাতা খুললেই দেখি ঝর্ণার সামনে দাড়িয়ে ৪২ দন্ত বিকশিত একটা মুখের ছবি। তার পাশে আগামেনন বা রাশেদ খান মেনন কোন একটা কিছুর মুখোশ নিয়ে, নয়তো কোন বন জঙ্গলে যাওয়া নিয়ে আর নয়তো কোন অশ্লীল জাদুঘরে গিয়ে অশ্লীল সব দেব দেবীর অশ্লীল সব মূর্তি নিয়ে অশ্লীল কোন লেখা। কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়। এই ভেবে মনকে সা


যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৯/২০১১ - ২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুই বান্ধবীর ফোনালাপ চলছে।
১ম বান্ধবী (পেশায় চিকিৎসক) ঃ জানিস, মনটা ভীষণ ভারি হয়ে আছে। আজ তিনজন রোগী পেলাম। তিনটাই রেপ কেস। তাও আবার নিজের স্বামীর দ্বারা।
২য় বান্ধবীঃ তাই নাকি? এটা কীভাবে সম্ভব?
১ম বান্ধবীঃ হুম। তিনজনেরই বিয়ের প্রথম রাতের ঘটনা এটা।
২য় বান্ধবীঃ মেয়েগুলো স্বীকার করল সে কথা?


তীর্থের কাক ৪

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: বুধ, ২৮/০৯/২০১১ - ৪:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তীর্থের কাক ১ তীর্থের কাক ২ তীর্থের কাক ৩

জানালা খুলে পুলিশ দুজন এয়ার ফ্রেসনারের ক্যান খালি করলেন ঘরে।

আপনার টাকা কোথায়?


মার্কিন মুল্লুকে-৭: ভাষা

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৯/২০১১ - ১:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
আমাদের ছোটবেলাতে হিন্দি ভাষার অত্যাচার এতো প্রবল ছিল না। ডিশ বলতে মানুষজন থালাবাটিই বুঝতো, ওটা দিয়ে খাবার আসতো - খবর নয়। টিভির অনুষ্ঠান ধরা পড়ত ছাদের এন্টেনাতে, কেবল দিয়ে কেবল বিদুৎতের চলাফেরা ছিল। আমাদের একমাত্র চ্যানেল বিটিভি যেই অনুষ্ঠান গেলাতো আমরা বিনাবাক্যব্যয়ে সেটাই গিলতাম এবং সেটা নিয়েই আলোচনা করতাম। এই কারনেই স্কুলের বন্ধু-বান্ধবরা সব্বাই একই ওয়েভলেংথেই কথাবার্তা বলতো। হিন্দি ছবি দেখার একমাত্র উপায় ছিল ভিসিআর – সেই মহার্ঘ্য বস্তু আমাদের চেনাশোনা খুব বেশি লোকের ছিল না।


তুমি আর আমি তবু!

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৬/০৯/২০১১ - ৯:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নলটোনা ঘাস এর মত সবুজের একমুঠো দিয়েছিলে নোলকের তীব্র ঘ্রাণ;
উত্তুরে বাতাস তুমি, দখিনের হাওয়ার মত প্রকৃতির অফুরান অভিধান
জেনেছিলে, আর তার ভাজ খুলে নিরাকার বেঁধেছিলে কোন এক রমণীয় সুর;
মাধবীলতার বনে মাধবীর মত তুমি - তুমি আর তুমিময় একটি দুপুর
একসাথে কাটানোর পর - প্রজাপতি সময়ের ডানা জুড়ে এসেছিলো নীল রাত;
রঙ্গনের রঙ নিয়ে মেহেদীর আলো মাখা পৃথিবীর সবচেয়ে মায়াবতী হাত


বহুজগত

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ২৪/০৯/২০১১ - ৪:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
প্রফেসর দরবেশ মন দিয়ে বিস্কুট খাচ্ছিলেন, চায়ে চুবিয়ে। সব কনফারেন্স শেষেই তিনি সংলগ্ন ক্যাফেতে ঢুকে তাদের চা আর বিস্কুটের মান পরখ করেন, তারপর মনে মনে একটা রেটিং দেন। যেসব ক্যাফের চা ভালো, যাদের বিস্কুট চায়ে চুবানোর পর ঠুস করে গলে ভেঙে চায়ে ডুবে আত্মহত্যা করে না, সেসব ক্যাফের সাথে সংশ্লিষ্ট কনফারেন্স এবং আয়োজকদের প্রতি তিনি প্রসন্ন থাকেন। যেসব কনফারেন্সে গিয়ে সাথের ক্যাফেতে, বলাই বাহুল্য, সুবাসিত চা এবং বলিষ্ঠ বিস্কুট মেলে না, সেসব কনফারেন্সকে তিনি তুচ্ছজ্ঞান করেন। বিজ্ঞান কোনো না কোনোভাবে এগিয়ে চলবেই, কিন্তু দুবলা বিস্কুট সরবরাহকারী ক্যাফে মানবজাতিকে সবসময় পেছনদিকে টেনে নিয়ে যায়।

চায়ে চুবিয়ে বিস্কুট খাওয়ার কাজটাকে কিছুটা ঐকান্তিক মনে করেন প্রফেসর দরবেশ, অনেকটা প্রেমিকার সাথে ফিসফিস আলাপের মতোই। এ সময়ে কেউ কাছে এসে দাঁড়িয়ে থাকলে দুটো কাজেই ব্যাঘাত ঘটে।

"ডক্টর দরবেশ?" একটা পিলে কাঁপানো ভারি কণ্ঠস্বর মেঝের ছয়ফুট ওপর থেকে হেঁকে ওঠে।


দেহবন্দী মনবন্দী

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৯/২০১১ - ৯:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কি করে লুকোই বলো তোমার দস্যুতা―
বিবশ স্তনের চুড়ো
শিহরণে থরো থরো
কি ভীষণ ভয় হয়,
যদি বলে দেয় সব?