কবিতার পংক্তি যেন ঝাপসা প্রতিটি সকাল--
উদ্দেশ্যহীন কর্মব্যস্ততা উপায়ের খোঁজে;
সরে সরে যায় কুয়াশার পর্দার আড়ালে
কিছু নিগূঢ় চিহ্ন---বোধ এর অনুভূতি
শুধু খসড়া গল্প হয়ে
আনকোরা অভিজ্ঞতায় চাপা পড়ে যায়
অস্থির রেলের পাটাতনে কোন ...
কোলাহলে কেটে গেছে বহুদিন
নিরবতা দূরে সরে আছে অযুত বছর
বাঁ হাতের উল্টোপিঠে শিশিরের কাঁচা দাগ
ধূসর আলেখ্যে জল রং ছেড়ে গেছে-
নির্ভুল দ্বিবাস্বপ্নের মত ভ্রান্ত শুধু স্মৃতি।
-(এরশাদ আলমগীর)
এক
গাড়ির চাবিটা আঙ্গুলে ঘুরাতে ঘুরাতে অফিসে ঢুকলেন আজাদ সাহেব। ন’টা বাজে এরই মধ্যে অফিস বেশ জমজমাট।
“স্যার, আপনাকে জমীর সাহেব কল করেছিলেন!” একটা কিউবিকল থেকে গলা উঁচু করে বললো ক্রিয়েটিভের আসাদ।
“কি বলল?”
“আপনাকে কলব্যাক করতে বলেছেন।”
“সাব্বাস!”
একসারি কিউবিকল পেরিয়ে গতকাল রাত্তিরে টিভিতে শোনা একটা হিন্দী গানের কলি ভাজতে ভাজতে নিজের রুমে ঢুকে প...
(দু'বছর আগে)
'ভাইয়া আমার, অবুঝ হয়োনা, বড় হও আরো'......আমি এখনো দিদিমনি আপনার ধ্বনির স্বাদ পাই। তারপর শিক্ষকের চুম্বন বা শিক্ষিকার ভারী নিতম্বের খসখসে মৃদু ছাপ......বুঝি, আমাকে আর কতটা বড় হতে হবে।
(দু'বছর পরে)
'......আমিও চাই তুমি একদিন অনেক বড় হবে, দেশের-দশের মাথা উঁচু করবে...বিয়ে করবে...তোমার একটা বাবু হবে...হয়তো তোমার বা...
আত্মজীবনি লেখবার দায়িত্ব নিতে খারাপ লাগে- যদিও আত্মজীবনি আমার নিজস্ব জীবনের কথা তবে আত্মজীবনির সাথে সংশ্লিষ্ঠ মানুষের অনুভবের কথাও ভাবতে হয়- তারা কিভাবে গ্রহন করবে আমার অনুভব কিংবা আমার পর্যবেক্ষণ এবং আমার অনুমানজনিত সিদ্ধান্ত তারা কিভাবে গ্রহন করবে এই সংশয় থেকে আমি কিছুটা পরোক্ষ আত্মজীবনি লেখতে চ...
কোথায় কোন দূর ক্ষেতে ধান গজাচ্ছে, আর কোথায় আরো দূরে গজাচ্ছে ডাল। সেই চাল ডাল নানা হাত ঘুরে একই ডেগচিতে ঘুরপাক খেয়ে, হালকা ঘিয়ের প্রসাধন ভালোকরে মেখে, গরম মশলা এখানে ওখানে গুঁজে খিচুড়ি হয়ে পাতে নেমে পড়ছে। সাথে চাক চাক মাংসের ডেলা। গরমাগরম খেতে পারলে অমৃত।
এ কাহিনী শুধু খিচুড়ির নয়, এ কাহিনী বাংলাদেশেরও বট...
আজকে অনেক সময় পেলাম, কিছুটা কাজ ফাকি দিয়ে।
সচলায়তনে অনেক ঘাটাঘাটি করেও হাসিনা খালেদা আটক সম্পর্কে কোন পোষ্ট পাইনি।
আমার মনে হয় এ সম্পর্কে ব্লগার, পাঠকের মন্তব্য চিন্তা ভাবনা জানা দরকার, পাঠকরাও পড়বে। নিশ্চিত করে।
তো, কেন হাত গুটিয়ে বসে থাকা। জব্বর কিছু পোষ্ট দিন। তার পর শুরু হোক ঝগড়া। ত্থুক্কু, তর্ক...
আমি মামুদ মিয়ার বাসা থেকে ফিরছি যখন তখন রাত ২টা। মামুদ মিয়া থাকে ঝিগাতলা বস্তিতে, আমাকে পছন্দ করে, তার চেহারায় দার্শনিক ভাব দেখে একদিন তার পিছু নিয়েছিলাম, সারাদিন তার পিছে ঘুরবার পর সন্ধ্যার সময় মামুদ মিয়া আমার সামনে এসে বললো, বাবাজি সারাদিন আমার পিছনে পিছনে ঘুরলা, কিছুই তো খাও নাই- চলো তোমাকে এক জায়গায় ন...
কি আশ্চর্য্য এতোগুলো মানুষ এভাবে একই কাতারে দাঁড়িয়ে আছে কেন !! এদের কি পেছন করে দু'হাত বাধা , কারো কারো কি চোখগুলোও কালো কাপড়ে ঢাকা?? এতো ঝাপসা কেন সবকিছু...কিছুই যে ঠিকমত বোঝার উপায় নেই। এতো অন্ধকারে এতোগুলো মানুষ দাড়িয়েই বা আছে কেন? আরে ... মনে হচ্ছে কেউ কেউ যেন লুটিয়ে আছে কাঁচা মাটিতে !! এতো প্রশ্ন, এতোখানি অবা...
একটু আগে আমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেল...এখনও আমার আমার শরীরটা কাঁপছে...হাঁপিয়ে উঠেছি আমি, এই মাত্র একটা ঠান্ডা শীতল ফ্যাসফেসে খসখসে চামড়ার...চামড়াটা বুড়োদের মতো গিট ধরা, নাকি হাতির গোড়ালির দিকের মতো !!......নাকি ঘোড়ার খুড়ের মতো একটা জন্তুকে হত্যা করলাম...হত্যা কি করলাম(?)......কি জানি,তবে প্রাণপনে দু'হাতে হত্যা করার চেষ্টা ...