ঋক ছিল একটা আধা আচ্ছন্নতার ভিতরে। কড়া সিডেটিভ দেওয়া হয়েছিল ওকে। তাই এখনও চোখ মেললে চারিদিক কুয়াশাকুয়াশা। একবার মাত্র চোখ মেলে আবার বুজে ফেলেছিল ঋক। এলিয়ে পড়ে থাকতেই ভালো লাগছে ওর।
শোন শোন পুরবাসী, শোন দিয়া মন,
তেঁতুলেরি কথা আজই, করিগো বর্ণন।
ভাবিওনা এসব তেঁতুল গাছের ডালে ধরে,
রাস্তা দিয়া হাঁটিয়া যায় মনটা উদাস করে।
গাছের তেঁতুল দেখলে খোকার মুখে ঝরে লালা,
অন্য তেঁতুল দেখলে মোদের দিলে করে জ্বালা।
আমাদেরও ঝরে লালা (মুখে নয়রে বোকা!)
যৌবনেরই চাপে আজও আমরা বুড়ো খোকা।
তেঁতুল যদি নিজদেহ না করে হেফাজত,
আমরা ভাবি, ঐ দেখা যায় মালে গণিমত!
এই না ভেবে মমিন মোদের উঠিয়া দাঁড়ায়,
সবাই আগেই টের পেয়েছিলো, গরুর শ্লীলতাহানির সালিশে বেদম মজা হবে। তাই বিকেলের দিকে এলাকার লোক সরোয়ার মেম্বারের বাড়ির প্রশস্ত উঠানে এক মহোৎসব বসিয়ে দিলো।
পাজামা ভাসিয়ে ঝোল
মনে পড়ে পাজামা ভাসিয়ে ঝোল, ভাঁজ ধ’রে ক্রমাগত
গড়ানো শিশিরের মতো চলে গেছে, মুমিন সাবধান…
আঃ কি স্বেচ্ছাচারী আমি, হাওয়া আর নিংড়ানো ঝোলে মেখে
যেতে-যেতে ফিরে চাই, লোল ঝোল ফেলে ফেলে
কেন তুমি আলস্যে এলে না কাছে? নিছক সুদূর
হয়ে থাকলে বাঘা তেঁতুল ; কিন্তু কেন? কেন, তা জানো না?
লালা ঝরানোর জন্য? হবেও বা। স্বাধীনতাপ্রিয়
ঝরঝর কলকল শুনে খাই টাসকি
নারী দেখে হুজুরের ঝরে পড়ে রস কি?
টনটন ঠনঠন "আল্লামা' ইস্পাত
রাস্তায় নারী দেখে, আল্লামা কুপোকাত!
ওগো পাশের বাড়ির বালা
তুমি বাঁধালে এক জ্বালা
তুমি চলতে ফিরতে ঝরিয়ে গেলে এই মুমিনের লালা
(এই কাহিনী সম্পূর্ণ সত্য; ছাগলামি অবিশ্বাস্য মনে হইলে নিজ দায়িত্বে ঔষধ খাইয়া লইবেন)
[justify] ছিন্নপাতা সিরিজটা সম্পর্কে দুয়েকটা কথা বলে রাখি। নানা সময় পথ চলতি হঠাৎ একটা চিন্তা এসে মাথায় ভর করে। কিছুক্ষণ ভাবি, অধিকাংশ সময়েই প্রশ্নগুলির উত্তর ঠিকঠাক বের করতে পারিনা। তখন মনে মনে ঠিক করে রাখি যে, একটু সময় পেলেই ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখবো। স্বাভাবিক নিয়মেই সেই 'সময়'টুকু আর বের করা হয়ে উঠে না। আমার স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে, পরে ভাববো কিংবা লিখবো এই আশাতে বহু প্রশ্ন হারিয়ে ফেলেছি। তাই চিন্তা করলাম তাৎক্ষণিক এই চিন্তাগুলিকে এখন থেকে ব্লগ আকারে লিখে ফেলবো।