আজকাল খুব একটা পত্রিকা পড়া হয় না। টিভিও তেমন একটা দেখা হয় না। টিভির রিমোট থাকে বউ আর বোনের হাতে। ওরা সিরিয়াল দেখে। ওদের হাত থেকে রিমোট পেলে সংবাদ চ্যানেলগুলোতে একটু ঘুরে এসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, এইচবিও অথবা স্টার মুভিজে গিয়ে থিতু হই। গত পরশু সংবাদ চ্যানেল ঘুরতে ঘুরতে চ্যানেল২৪-এ এসে দেখি, মির্জা ফখরুল সাক্ষাত্কার দিচ্ছেন। তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র ভাবনাচিন্তার কথা বলছেন। তার বক্তব্য শুনতে থ
আমি এ যুগের হরিপদ কেরানী। আমার গ্রামের ঠিকানা আপনারা জানবেন না। কিন্তু আমার শহরের ঠিকানা আপনারা চেনেন। শহরে নিন্মবিত্তদের জন্য তৈরী অগুনতি খুপড়ির একটিতে আমি থাকি। আমি একা থাকি না, আমার সাথে মা থাকে, বউ থাকে, সন্তান থাকে, ছোট দুই ভাই থাকে। বাবা বেঁচে থাকলে তিনিও থাকতেন। সুমনের 'দশফুট বাই দশ ফুট' গানটি শুনেছেন?
(লেখার বিষয়ের সাথে 'রায়েরবাজার বধ্যভূমি' ফটোগ্রাফির দূরবর্তী কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানা নেই, তবে নিকটবর্তী সম্বন্ধযোগ নেই।)
উস্তাদ, ঐ উস্তাদ; হুন না!
লজ্জারাও ধুয়ে যায় বৃষ্টির জলে---
…
ক্রোনাস বিশ্ব- ব্রক্ষ্মান্ডের রাজা হয়েই মা গাইয়ার গর্ভাশয় থেকে হেকাটনখিরাস এবং টারটারাস থেকে সাইক্লোপসদের মুক্ত করেন। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর ক্রোনাসের মনোজগতেও পরিবর্তন ঘটে, এই পরিবর্তন পরবর্তীতে পৃথিবীতে সব সময়েই হয়ে এসেছে। ক্রোনাস যখন দেখলেন হেকাটনখিরাসরা বিশাল শক্তির অধিকারী, প্রায় কাছাকাছি শক্তি সাইক্লোপসদেরও, তখন তিনি ভীত হয়ে পড়েন এবং মুক্ত করার বেশ কিছুদিন পরেই এদেরকে ও ইউরেনাসের রক্
হঠাৎ দেখা হলো মধুরিমার সঙ্গে। মধুরিমার সঙ্গে ওর ফুটফুটে মেয়েটাকে দেখে আমার ভাইঝি রুন্তুলির কথা খুব মনে পড়লো। যখন দেশ ছেড়ে চলে আসি তখন রুন্তুলি প্রায় এই বয়সীই ছিল।
"কী নাম রেখেছিস মেয়ের?"
"ওকেই জিজ্ঞেস কর না। এমনিতে খুব টরটরি। আজকে তোকে নতুন দেখে চুপ করে গেছে। মামণি, বলে দাও তো তোমার নামটা।"
টরটরি চুপ করে দেখছে, তারপরে আরেকটু সাধ্যসাধনার পরে বললো "তোমাকে বলবো কেন?"
কথাই তো সব...
আমরা কিছু দেখেও দেখি না। দেখেছি যে এটা জানানোটাই কাজ।
পাহাড়ের সামনে হাজির হয়েই সবাইকে জানাই, 'জানো আমি এখন পাহাড় দেখছি'। সাগরেও তাই। নামলাম, ঢেউ খেললাম, জানালাম। শেষ। উত্তাল সাগরের পাশে চুপটি করে সময় বহিয়া যায় না আমাদের। বহিয়া যাওয়ার সময় কোথায়?
তেমনিভাবে কী দেখছি বা পড়ছি সেটা মুখ্য না। দেখলাম বা পড়লাম যে, তা জানানোটাই গুরুত্বপূর্ণ।
১।
দমবন্ধ করে তাকিয়ে আছেন গোলাম। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। ৫ লাখ মানুষ, শাহবাগে খোলা আকাশের নিচে পূর্নিমার চাঁদের দিকে চেয়ে চেঁচিয়ে উঠল- “কঃ”। ভয় পেয়ে ঘুমন্ত একঝাক দাঁড়কাক ডানা ঝাপটে ঊড়ে গেল নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। মাঝপথে বাধা পেয়ে মিয়াঁও করে ছিটকে পড়ল প্রেমরত বেড়াল জুটি। যথারীতি পেছনের পা তুলে নির্বিকার ভঙ্গিতে জলবিয়োগ করে দিল একটা নেড়ি কুকুর, যেন কিছুই হয় নি। চারুকলায় ঝিমুতে থাকা জোড়ভাঙা বুড়ো লক্ষ্মীপেঁচাটা বিরক্ত হয়ে উড়ে গেল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আঁধারে। আর গোলামের কি হল? নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখলেন তিনি- “উহ, ব্যাথা লাগে তো!” পরক্ষনেই মনে পড়ল ব্যাথা তিনি আগেও পেতেন। “এখন কি মরে দেখব নাকি” বিড়বিড়িয়ে ভাবলেন তিনি।
১।
বিহবল ভাবটা তাড়াতাড়িই সামলে নেন গোলাম। আযমীর দিকে অলিভওয়েলের শিশিটা এগিয়ে দেন- “নে বাবা, দু’ফোঁটা খেয়ে নে চট করে। মাথাটা ঠান্ডা হবে। বেশি খাসনে যেন, এটুকুই দেয় জালিমগুলো।” হতাশ দৃষ্টিতে জনকের দিকে তাকায় গোলামকুমার। সেই দৃষ্টি দেখে নরম হন গোলাম, মিন মিন করে বলেন- “কি হয়েছে? চাঁদ ঊঠলে উঠবে, তাতে এত ভয়ের কি আছে? আশ শামসু ওয়াল কামারু বি হুসবান, ওয়ান নাজমু ওয়াশ শাজারু ইয়াস জুদান”। এইবার রাগে ফেটেই পড়ল গোলামকুমার- “আমাকে কি ভারতের শান্তিটিভির দর্শক পাইছেন? পান্তাভাতের মধ্যেও নায়কের মত একখান আয়াত আওড়াবেন আর গলে যাব? আপনার দৌড় কদ্দুর সে তো আমি ভালই জানি।” আবার মিন মিন করেন গোলাম- “আরে, কি হয়েছে ভেঙ্গে বল।” একটু ঠান্ডা হয় গোলাম কুমার, বলে- “কি ভাবেন নিজেকে? দাদাজানকে নাহয় সৌদী রাজ্যের রাজা নিজে উদ্ধার করে নিয়ে গেছিল, আপনাকে তো তাও করবে না।”