(১৯৭৩ এর ২৩ সেপ্টেম্বর পাবলো নেরুদা চিলিতে মারা যান বা হয়তো খুন হন। তার দেড় মাসের মধ্যেই ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে ‘বিনোদন’ পত্রিকায় শামসুর রাহমানের এই লেখাটি প্রকাশিত হয়, যা সাধারণত কোথাও দেখি না। সম্প্রতি পত্রিকাটি হাতে আসায় ভাবলাম এই লেখাটি ব্লগে থাকুক। আর ভারতীয় কূটনীতিক জনাব মুচকুন্দ দুবের একটা কথা মনে পড়ল, উনি শামসুর রাহমানের কবিতা নিয়ে বলেছিলেন যে “বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে আমার যে লেখাপড়া তাতে সত্যি বল
কবিতা বেশি দিন টেকে বলেই কি কবিতায় পুরোনো কথা বেশি বলা হয়? নাকি অনেক কবিই বর্তমানকে মেনে নিতে পারেন না বলে অতীতের সোনালি দিনকেই করে তোলেন স্বাপ্নিক বর্তমান?
[justify]
তিনি তল্লাবাগেই থাকতেন তখন। আমারও ওই পাড়ায় নিয়মিত আনাগোনা, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বসে আছি, ক্লাস শুরুর নাম নেই, পুরো বেকার। সারাদিন আড্ডা চলে, সুনীলের ভাষায় বন্ধুপ্রীতি প্রায় সমকামীদের মতই। গলির মাথায় সিগারেট কিনতে গেলে মাঝে মাঝে দেখা হয় তাঁর সাথে, কখনো কখনো তিনি পরিচিত হাসিও দেন, মনে হয় পাড়ার একজন বখাটে যুবকই ভাবেন আমাকে। আর আমিও তাঁকে বলতে পারিনি ...
ঈর্ষাতুর নই, তবু আমি
তোমাদের আজ বড় ঈর্ষা করি। তোমরা সুন্দর
জামা পরো, পার্কের বেঞ্চিতে বসে আলাপ জমাও,
কখনো সেজন্যে নয়। ভালো খাও দাও,
ফুর্তি করো সবান্ধব
স...
'উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ'
'আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি', 'দুঃসময়ের মুখোমুখি'
'স্বপ্নেরা ডুকরে ওঠে বারবার'
'প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে' জ্বলে
'এক ফোটা কেমন অনল'!?
'বন...
সত্যি বলাই শ্রেয় যে শামসুর রাহমান আমার প্রিয়কবিদের মধ্যকার কেউ নন। যে ধরনের তাড়না থেকে আমি কবিতা পড়ি, উলটিয়ে-পালটিয়ে আস্বাদনের জন্য একটি কবিতায় আমি যে ধরনের কাব্যবস্তুর সন্ধান করি, শামসুর রাহমা...