অণুগল্প বা ফ্ল্যাশ-ফিকশন অধুনা সাহিত্যের জনপ্রিয় শাখা হয়ে উঠছে। গত বেশ ক'বছর ধরে ব্রিটেনে ন্যাশনাল ফ্ল্যাশ-ফিকশন ডে উদযাপিত হয়। অণুগল্পে বেঁধে দেওয়া কোন আকার না থাকলেও কেউ কেউ মনে করেন এটি ১০০ শব্দের মধ্যে শেষ হওয়া চাই, আবার কেউ হাজার শব্দের নীচে যে কোন গল্প কে অণুগল্প বলে মনে করেন।
কমলকুমার মজুমদারের উপন্যাসটা অর্ধেক পড়ে সেই যে কেজো অকেজো বিষয়ের পিছু ধাওয়া করে মেলা ইতং বিতং কাজকম্মের চিপায় খাবি খাচ্ছিলাম তো খেয়েই যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে নিজস্ব আরাম কেদারায় ফেরার তাগিদ এবং তারপর ধপাস। হাতে অতি অবশ্যই একখানা বই। খুব পছন্দের একজন বইখানা নিয়ে বসতে বাধ্য করেছেন। তিনি ঋতুপর্ণ। দ্য ঋতুপর্ণ ঘোষ। কাকতলীয়ভাবে কমলকুমার মজুমদার যার স্কুলবেলার ক্রাফট্ টিচার। যে মাস্টার মশাইয়ের ' কী হচ্ছেট
সেটা ছিল এক আশ্চর্য তুষাররাত্রি। অজস্র অসংখ্য অগণ্য তুষারকণা ঝাঁপিয়ে নামছিল মেঘেভরা আকাশ থেকে, সাদা ধবধবে ঝুরো তুষারে ঢেকে যাচ্ছিল মাটি, পাথর, পথ, ঘাট, মাঠ, বাগান-সব কিছু। ঐ ঝরে পড়তে থাকা, বাতাসে উড়তে থাকা তুষারকণাদের দিকে চেয়ে থাকলে মনে হয় বাস্তব দুনিয়া নয়, চলে গেছি কোনো স্বপ্নের দেশে, অণু পরমাণুর জগতে, যেখানে কোটি কোটি অর্বুদ অর্বুদ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা অক্লান্ত নৃত্য করে চলছে অনন্তকাল।
শ্রদ্ধা আর ঘৃণা। এই দুটি অনুভূতি আমার কাছে সবচে গুরুত্বপূর্ণ। বাকি বেশিরভাগ অনুভূতির সঙ্গেই লাভ-লোকসানের তীব্র হিসেব জড়িয়ে থাকে বলে সেসবের গুরুত্ব কম। ব্যক্তিগত ভাবেই অন্তত তীব্র ঘৃণা বয়ে বেড়ানো আমার কাছে খুব সুখকর কিছু নয়। ঘৃণিত প্রাণিদের তালিকাটিও তাই খুব দীর্ঘ নয় আমার। সেই তালিকার একজনকে ঘিরে এই লেখাটি।
আমার দিদিমণি-কোনো অসাধারণ নারী হয়তো নন, কিন্তু এই সাধারণ নারীটি তার অভিজ্ঞতার ঝুলি দিয়ে অন্তত একটি জীবনকে ঋদ্ধ করেছেন। আমি তার কাছে ঋণী। সাতচল্লিশের দেশবিভাগে বাংলাদেশের যেই বাড়িটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই বাড়ির সেই ভয়ালরাতের নির্মমতার প্রত্যক্ষদর্শী, মুক্তিসংগ্রামের অস্থির সেই দিনের সাক্ষী এই নারী গত ১৫ই জুন,২০১১ সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। এ কবিতায় তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।
"তোমার দীর্ঘশ্বাসের নাম চন্ডীদাস
শতাব্দী কাঁপানো উল্লাসের নাম মধুসূদন
তোমার থরোথরো প্রেমের নাম রবীন্দ্রনাথ
বিজন অশ্রুবিন্দুর নাম জীবনানন্দ
তোমার বিদ্রোহের নাম নজরুল ইসলাম"
(হুমায়ূন আজাদ)
আমার প্রাণের ভাষা বাংলা। পৃথিবীতে প্রচলিত তিনহাজার ভাষাভাষীদের মধ্যে বাংলাভাষার স্থান পঞ্চম। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা। আফ্রিকার দে...
[পূর্বকথা: জুবায়ের ভাইকে আমি চিনেছি সচলে এসে। আমার সচলে আসার দিন যেহেতু খুব বেশি নয় তাই তাঁকে চেনার দিনও স্বল্প। সম্প্রতি তাঁর ল্যাপটপে পাওয়া লেখাটি পড়ে জানতে পারি তাঁর কি হয়েছিল। কেন কিভাবে কোন রোগ হয় সেটি জানার আগ্রহ আমার কেন জানি একটু বেশি বেশি। সেই আগ্রহ থেকেই জানার চেষ্টা করেছিলাম। যে কেউ চেষ্টা করলেই এই লেখাটির চাইতে অনেক বেশিই জানতে পারেন। তারপরও আমি যা জেনেছি তার সারমর...
তাঁকে ছুঁয়ে দেখা হলো না আমার।
একজন ভার্চুয়াল অভিভাবককে হারালাম আমি।
কবিতা লেখার দীর্ঘ সময়ে অনেক অভিভাবকের উষ্ণ সান্নিধ্য পেয়েছি, পেয়েছি অনুমোদনও তা...
'উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ'
'আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি', 'দুঃসময়ের মুখোমুখি'
'স্বপ্নেরা ডুকরে ওঠে বারবার'
'প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে' জ্বলে
'এক ফোটা কেমন অনল'!?
'বন...
এটা হতেই পারে যে সচলায়তনের সকল সচল শামসুর রাহমানের নিজ বাসভূমে গ্রন্থভুক্ত আসাদের শার্ট কবিতাটি কখনো পড়ে ওঠেন নি। তাছাড়া যাঁরা এক বা একাধিকবার পড়েছেন ও শুনেছেন, তাঁরাও সচলায়তনের আজকের ব্যানার দেখে কবিতাটির পুরোটা আরেকবার পড়ে...