স্মৃতির শহর ৪: ২৯ নম্বর বাড়ি

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: মঙ্গল, ২৩/০৩/২০১০ - ৭:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্মৃতির শহর কিন্তু থাকার জন্য দারুন। ওখানে না-গরম, না-ঠান্ডা, লোকজনের ব্যবহার মধুর, রিকশা ভাড়াও বেশ কম। কলে পানি পাওয়া যায় ঠিকমতই, ধূলাবালির প্রকোপ তেমন নেই, মশার উপদ্রব সহনীয়, অসুখ বিসুখের বালাই নেই, কাজকর্ম করলেও চলে, না করলেও অসুবিধা নেই। লোডশেডিং শুধু পূর্ণিমা রাতেই হয়, সাথে একটু উতল হাওয়াও থাকে। বিনা টিকেট, বিনা পাসপোর্টে সেখানে ঢোকা যায়, যতদিন খুশি থাকুন সেখানে কেউ কিছু বলবে না। আমি প্রায়ই যাই সেখানে, আমার ভূমিকা শুধু চোখ মেলে দেখা। আব্বাই সব কিছু সামলান, আমিতো বালক মাত্র। সকালে উঠে উনি আমাকে আইনস্টাইন আর সত্যেন বোসের গল্প শোনান। আমাকে মসজিদে নেওয়ার কথা উনার মনেই নেই। কোন কোন দিন ভোরে রেডিওতে ভাসে আব্দুল আলীমের উথাল পাথাল সুর। আজম খানও যুদ্ধফেরতা যুবক, গান তাঁর ক্রোধ আর অভিমান। রবীন্দ্রনাথ থাকেন ভিনাইল রেকর্ডে, আর ভাইয়ার দরাজ গলার কবিতায়। বৃষ্টির রাতে মাঝে মাঝে সন্ন্যাসী উপগুপ্ত মথুরাপুরী ছেড়ে ভিজতে ভিজতে তেঁজগায়ে চলে আসেন। এই শহরে না ফিরে উপায় আছে?

২৯ নম্বর বাড়িটা আজো টিকে আছে। স্মৃতিতে ও বাস্তবে দুটোতেই। সময় ভায়া অত্যাচার কম করেনি, তারপরও সে পঁয়তাল্লিশ বছর টিকে গেল। একটু ঢুঁ মেরে দেখা যাক স্মৃতিময় বাসবভনে। একজন যুবককে দেখছেন, একটু রাগী রাগী ? আমার বড়ভাই উনি। ঢাকা কলেজের রাগী তরুণ, লম্বা লম্বা চুল, স্বপ্নালু চোখ, পরণে বেলবটম। বুঝলেন চুল কাটার কথা বলে বলে আব্বা হয়রান। বলেও বেশি লাভ নেই, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষেরও (আলাউদ্দিন আল আজাদ?) লম্বা লম্বা চুল। পড়াশুনায় বেশি মন নেই, মন পড়ে আছে আড্ডা, নানান বইপত্র আর মাসুদ রানায়। ঘরে সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ। কয়েকদিন পরে সামরিক আইন জারি হলে নাপিতের দোকান থেকে দ্রুত চুল কাটিয়ে তিনি বাধ্য ছেলে হয়ে গেলেন, না হয়ে উপায় আছে, আর্মি যে রাস্তা থেকে লম্বা চুলের ছেলেদের ধরে চুল কেটে দিচ্ছে, ঢাকা কলেজের অমন দুর্দান্ত প্রিস্নিপাল স্যার, উনিও চুল টুল কেটে ফিটফাট। সামরিক আইন না এলে আমরা কিভাবে এত ডিসিপ্লিন শিখতাম ?

দোতালায় গেলে আমাদের ঘরের পড়ার টেবিলে আমার মেঝ ভাইকে দেখবেন। সুর্দশন এবং ফিটফাট, পড়াশুনাতে দারুন মেধাবী। ভেতরে ভেতরে হয়ত একজন বিজ্ঞানীও বাস করে তাঁর মধ্যে। আমাদের বাসায় অনেকদিন কোন অতিরিক্ত ঘড়ি ছিল না, আব্বা আর আম্মা অফিসে চলে গেলে স্কুলের টাইম হয়েছে কিনা বোঝার জন্য উনি চিলেকোঠার চালের ফুটো দিয়ে আসা সূর্যের রেখা দিয়ে এক ঘড়ি বানিয়ে ছিলেন, সিঁড়ির ঘরের দেওয়ালে সময় লেখা ছিল, সূর্যের রেখা “১০:০০” লেখাকে স্পর্শ করলেই বুঝতাম দশটা বেজে গেছে। বহু বহু বছর পরে বিদেশ থেকে ঘরে ফিরে সেই সিঁড়ির ঘরের এক চিলতে রোদ দেখে হঠাৎ যেন নিমেষেই ধরে ফেলি শৈশবকে।

ওই যে পেটা শরীরের একজন মাঝবয়েসী লোককে দেখছেন, বাসার বাইরের সবুজ জায়গাটায়। বাগানের কাজ করছেন আর গুনগুন করে গাইছেন “আমি বনফুল গো”, উনিই আমার বাবা, এই একটা গানই উনি জানেন। আমি উনার ৪৬তম জন্মদিনে জন্ম নেওয়া শেষ সন্তান। আমাদের সংসারে উনারা ভূমিকা ব্যাপক কিন্তু নিরব। অনেকটা অপরেটিং সিস্টেমের মতই সর্বত্রই উনার নিঃশব্দ উপস্থিতি । আমাদের সবারই সুখ এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করেন, এই সংসারের উনি স্বরাষ্ট্র, আর পূর্তসহ আরও অনেকগুলো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। উনার শরীর সর্বদাই সুঠাম, খুব কমই অসুস্থ হয়েছেন তিনি। যৌবনে খেলাধূলা আর প্রচুর কায়িক শ্রমের সুফল আজো ভোগ করে চলেছেন। আমাদের আরাম আয়েশ নিশ্চিত করে রাতে ঘুমাতে যান আর সবার আগে উঠে নানান কাজ শুরু করে দেন। বাসার সামনে অমন সুন্দর বাগানটাও উনার তৈরি, এছাড়াও নানান ফলের গাছ লাগিয়ে উনি বাসাটাকে রীতিমত নন্দনকানন বানিয়ে ফেলেছেন।

আমার আম্মাকে চিনেছেন ? গম্ভীর মহিলা, আমেরিকার জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেও থাকার চেষ্টা করেননি সেদেশে, আর আমি তাঁর কুপুত্র এদের মাটি কামড়ে পড়ে আছি। আম্মা দারুন সব গল্প বলতে পারেন, কাজের শেষে মুখে মুখে আমাদের অসাধারণ গল্প শোনান। আমি অনেক বছর তাঁর গল্প শুনেছি, ১০/১২ বয়েসেও উনি আমাকে মোটামুটি মুগ্ধ করে রাখতেন। আমি তাঁর গল্প শুনে বিশ্বাস করেছিলাম যে উনি আসলে পরীদের দেশ থেকে এসেছেন, হঠাৎ একদিন সেখানে চলেও যেতে পারেন। আমাদের পরিবারের বাজেট আম্মার হাতে, বলতেই হবে সেই বাজেটে অপচয় বলে শব্দ নেই। চেয়ার, টেবিল, বিছানা সবই নড়বড়ে। কয়েকদিন পরেতো মরেই যাব, কি হবে দামী জিনিস কিনে? এই নশ্বরতার চিন্তায় কোন কিছুই কিনে উঠা হয়নি। বাসার অনেক পর্দাই আম্মার পুরানো শাড়ি দিয়ে বানানো, কোথাও কোন বাহুল্য নেই। বিয়ের (১৯৫২) পরে কেনা দুটো চেয়ার এখনও আছে বাসায়। অনেক বছর পরে স্যাটায়ার ম্যাগাজিন অনিয়নে একটা নিউজ দেখে অট্টহাসি হাসতে হাসতে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল।

আম্মা আমাদের শাসন বেশি করেন না, মাঝে সাঝে বকা দেন, আর বছরে শুধু একদিন ধরে আচ্ছা করেন ধোলাই দেন। সমস্য হল বছরে কোন দিন ধোলাইটা দেওয়া হবে সেটা আগে থেকে বলা থাকে না। অনেক দুষ্টামি করে আজ পার পেয়ে গেলেও সামান্য কারনে তিনমাস পরে ধরা খাওয়ার চান্স আছে। মারের আনসার্টেনিটির ভয়ে সারা বছরই আমরা সিধে হয়ে থাকতাম।

আমাকে খুঁজে পাচ্ছেন না? ছাদে আছি মনে হয়। সিঁড়ি দিয়ে উঠে যান সোজা দোতালার ছাদে। চারিদিকে তাকিয়ে দেখে নিতে পারেন সত্তর দশকের তেঁজগা, পুরো রাস্তায় পাঁচটা মাত্র বাড়ি, পূর্ব দিকে একটু দূরেই ট্রেনের লাইন, আরেকটু দূরে তাকালে দেখবেন পুরানো কিছু কল কারখানা, দিনটা যদি ভেজা ভেজা থাকে তাহলে নাবিস্কো কারখানার বিস্কুটের গন্ধও পাবেন, টাটকা এবং মনকাড়া। পশ্চিমে বিজ্ঞান কলেজের মাঠ, খ্রীষ্টানদের চার্চ আর কবরস্থান, হলিক্রস কলেজ। একটু দূরের তেঁজগা বিমানবন্দরের প্লেনগুলো মনে হয় হলিক্রস কলেজের উপর দিয়েই যাওয়া আসা করে। ছাদের পশ্চিম দিকে একটা পানির ট্যাঙ্ক দেখবেন, আমি সম্ভবত ট্যাঙ্কের নীচেই আছি, মাদুর বিছানো আছে মনে হয়। এইখানে বসেই চলে আমার বিশ্বভ্রমণ, শিব্রাম থেকে মাসুদ রানা অনেক কিছুই পড়েছি এইখানে। শৈশবে ফিরব অথচ ছাদে যাব না, তাও কি হয়? যদি ঝমঝম বৃষ্টি হয় তবে, দক্ষিণে তাকাতে ভুলবেন না, বিজ্ঞান কলেজের পুকুরে ব্যাংগদের কনসার্ট চলছে, আরেকটু দূরে তাকালেই দেখবেন পুকুরের পারের রাস্তাটা যেন মিশে গেছে বর্ষায়। এই ধুম বৃষ্টিতে আপনি ভিজছেন অথচ ঠান্ডা লাগার ভয় নেই, টনসিল ব্যথা করবে না, কি আশ্চর্য স্মৃতির শহর।

সিগারেট থেকে ভালোবাসা, আড্ডা থেকে বিচ্ছেদ, বিদেশ যাত্রা থেকে বিয়ে, গায়ে হলুদ থেকে জন্মদিন, আর যা যা আছে জীবনের অনুষঙ্গ, সবই জানে এই ২৯ নম্বর, উজবুকের মত দাঁড়িয়ে থাকলে আসলে সে সবজান্তা এক মিউজিয়াম। সময়ের নিষ্ঠুর হাত পড়েছে সব্বার উপর। বাড়িটাও মলিন হয়ে গেছে। চাইলেও ভাইয়া আর চুল বড় করতে পারবেন না। তিনি বাস করেন আরেক দূরদেশে, নিকোটিনকে নির্বাসনে দিয়েছেন বহু বছর হল। যে যুবককে দেখলেন আজ, তাঁর সন্তানও সেই বয়েসে পৌঁছে গেছে প্রায়। মেজভাইও ব্যস্ত ক্লাস আর নানান প্রজেক্ট আর সেমিনারে, শৈশব মনে হয় অতিদূর সমুদ্রের পারে, ধারে কাছে কোথাও নেই। আম্মা কর্কটরোগ সহ আরো নানা ব্যধিকে পরাভূত করে ক্লান্ত। আব্বা যেন নিজেই ইতিহাস এক, মাঝে মাঝে উনি অতীত আর বর্তমান ভুলে যান। আব্দুল আলীমকে কেউ মনে রাখেনি, সন্ন্যাসী উপগুপ্ত এদিকে আর আসেন না তেমন, আজম খানও বুড়ো হয়ে গেছেন আর আমাকে রেখে গেছেন মাঝ বয়েসের কাছাকাছি কোন নির্জন জায়গায়। তবুও কিন্তু বালকবেলায় ফিরতে পারি এক লহমায়, যেকোন সকালে চায়ের কাপে, নিঃসংগে বা সংসর্গে...

সজীব সকালে চোখ মেলি, প্রতিদিনের পৃথিবী
আমাকে জানায় অভিবাদন। টাটকা রোদ,
পাখিদের ওড়াওড়ি, গাছের পাতার দুলুনি, বেলফুলের গন্ধ
ডেকে আনে আমার বালকবেলাকে।

(একটি দুপুরের উপকথা/শামসুর রাহমান)

স্মৃতির শহর -৩ এখানে, যদিও এরা ধারাবাহিক নয়, লেখাগুলো স্মৃতির মতই ছন্নছাড়া

####


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

আহ!

খুব ভালো লাগলো ভাই। সবার শৈশবেই বোধহয় বাকি সবার শৈশবের খানিকটা করে ছায়া আছে। কিছুই মিললো না, আবার কত কিছু মিলে গেলো।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু, আমরা কিন্তু সবাই সবার শৈশবতুত ভাই অথবা বোন, সবার গল্প ভিন্ন আবার একই।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

স্মৃতির শহরে যে এভাবে যাওয়া যায়, এভাবে তাকে দেখা যায়, তা আগে এভাবে কখনো ভাবিনি। চমৎকার আপনার লেখনী।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক, স্মৃতির শহরে আমার যাতায়ত বাড়ছে ইদানীং হাসি

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সবজান্তা এর ছবি

কী অসাধারণ একটা লেখা... ! এর চেয়ে বেশি কিছু আর বলার ভাষা নেই... শুধু মন্তব্যটা করতেই লগিন করা হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সবজান্তা।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শরতশিশির এর ছবি

না, আমাকে লেখতেই হলো! আমার স্কুল, আমার তুমুল খেলার মাঠ, আমার শৈশব - সব আপনার বাড়ির কাছে! তাই আমি যদি না লেখি আজকে আগে, তো সেটা ভারী অন্যায়!

অবাক লাগে না, এমিল ভাই - এত কাছে স্কুল-কলেজ ছিল, কোনো দিন দেখা হলো না। সিস্টার লিওনোরা - আমার জীবনের অন্যতম সেরা টিচার - আন্টির সাথে কাজ করেছেন একসাথে, অথচ দেখা হলো না। আমি-আপনি একই শহরে ছিলাম এই বছর পাঁচেক আগেও - দেখা হলো না। তাও ভাল যে আজকে কথা হলো, খুব ভাল লাগছিলো কথা বলে, কিভাবে সময় পার হয়ে গেল, না? আশা করি কোন একদিন এভাবে হুট করে দেখাও হয়ে যাবে আমাদের!

হ্যাঁ, আমাদেরও ২২ চামেলীবাগ, আমার দাদাবাড়ী, অনেক মনে পড়ে। একদিন লেখবো আমিও - আমার জন্যে, আমার ভাইটার জন্যে। আমাদের বাচ্চারা যেন আমাদের চোখ দিয়ে দেখে, শুনে, অনুভব করতে পারে স্মৃতিগুলো প্রায় আমাদের মতন।

ভাল থেকেন। আমার সালাম আর অনেক শ্রদ্ধা রইলো আপনার মা-বাবা আর ভাইদের জন্যে।

আর, এটা আপনার সেরা লেখা, এখন পর্যন্ত! আই এম রিয়েলি প্রাউড অফ ইউ! হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ শরতশিশির। তোমাদের হলিক্রসের দরজাটা একটু খোলা থাকলে আমাদের অনেকের সাথেই দেখা হয়ে যেত হাসি

কেন যেন তোমাদের স্কুলের দরজা সর্বদাই বন্ধ, দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে...আশাকরি একদিন দেখা হয়ে যাবে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শরতশিশির এর ছবি

ল্যাবের ছেলেরা আসতো তো। ডিবেইট করতে, কুইজে আর সায়েন্স ফেয়ারে। আমরা অনেকসময় ল্যাবের ছেলেদের সাথে একটিমে কম্পিট করেছি, ব্যাচে পড়েছি স্যারদের বাসায়।

তবে, ল্যাব পাশে থাকলে সরকারী বিজ্ঞান কলেজের মতো 'লাম্পপোস্ট' টাইটেল পেত, নিঃসন্দেহে! চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

তাসনীম এর ছবি

আমাদের সময় এগুলো খুব কম হত। তবে অগ্রণী স্কুল কাছে থাকাতে মোটামুটি ভাল কেটে গেছে সময়। একবার ল্যাবরেটরি স্কুলে কো-এড চালুর প্রস্তাব এসেছিল, যুব সমাজ অধপতনে যাবে দেখে স্যারেরা এটা নাকচ করে দিয়েছেন অভিভাবকদের সহায়তায়। আমাদের রি-ইউনিয়নে এটা নিয়ে বহু আপসোস হয়েছে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সচল জাহিদ এর ছবি

মুগ্ধতাকে ছাড়িয়ে যাওয়া একটি লেখা।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ জাহিদ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যতোই দিন যাচ্ছে, স্মৃতির ঝুলিতে জমা হচ্ছে একেকটা নতুন অধ্যায়। বাড়ছে স্মৃতিকাতর হবার সম্ভাবনা। এখনই যেভাবে উড়িয়ে নিয়ে যায়, ভাবি ঝুলিটা আরেকটু ভারী হলে কী হবে!

অসাধারণ একটা লেখায় নিজের শৈশবকেই যেনো এঁকে যাচ্ছিলাম তাসনীম ভাই। নিজের বাড়ি, নিজের সেই উঠোন। নাদুস নুদুস কোনো এক পুঁচকের ছোটাছুটি সারা বাড়িময় অথবা একে একে বাড়ির সবগুলো কোণ ঘুরে দেখা, অস্পৃশ্য কোনো অবস্থান থেকে...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ ধূগো, শৈশবে ফেরাটা মত আনন্দের আর কিছু নেই।

ঝুলিটা যত বড় তত আনন্দ, এই হিসাবে ১০০ বছর বাঁচলে সবচেয়ে ভালো হাসি

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অসাধারণ লেখা।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ শুভাশীষ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার একটা লেখা পড়লাম।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ নৈষাদ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

naira এর ছবি

ভয়াবহ nostalgic হলাম।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ, নস্টালজিক হতে আমার বেশ লাগে আজকাল হাসি

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

ভাইয়া, গুরু গুরু
অসাধারণ বললেও কিছুই বলা হবে না এটা জানাতে লগ ইন করলাম!!
মন ভরে গেছে, আজ আর কোন লেখা পড়বো না....

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তিথী।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চমৎকার !!!!

_________________________________________

সেরিওজা

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ওডিন এর ছবি

পারলাম! অবশেষে কেমনে কেমনে জানি লগাইতে পারলাম! আশ্চর্য সুন্দর লেখা রে ভাই!

এই ধুম বৃষ্টিতে আপনি ভিজছেন অথচ ঠান্ডা লাগার ভয় নেই, টনসিল ব্যথা করবে না, কি আশ্চর্য স্মৃতির শহর।

মনে হয় খালি এই শহরের এই বৃষ্টিটাতেই ইচ্ছেমতো ভেজা যায়- এখনও- ইচ্ছে করলেই।

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ ওডিন, এখানে ও ফেসবুকে দুই জায়গাতেই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মৃত্তিকা এর ছবি

কী যে ভালো লাগলো পড়ে!
অসামান্য একটা লেখা এবং আপনার লিখন ধারা। মুগ্ধ হলাম সত্যিই!

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মৃত্তিকা ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মহাস্থবির এর ছবি

ভাল বললে কিছুই বোঝানো যায় না। ব্লগে-আসা এইজন্যেই সার্থক মনে হয়।

একটা সময় এসব ছোটখাটো ব্যাপারগুলোর আনন্দসমূহ এতোটাই হৃদয়ের একূলওকূলদুকূল প্লাবিত করে ছাড়তো যে, অবিশ্বাসী হয়েও উপনিষদ মেনে নিতাম, "আনন্দাদ্ধেব খল্বিমানি ভূতানি জায়ন্তে (আনন্দ থেকেই পৃথিবীর সবকিছু জন্ম নেয়)।"

কিন্তু, আজ আনন্দ নেই। শুধুই বিষাদ, শুধুই হতাশা, শুধুই নির্বিণ্ন জীবনযাপন।

তাই, আপনার এই লেখার শুধু সৌন্দর্যটাই চোখে পড়লো, এর সাথে একাত্ম হতে পারলাম না, যা হয়তো আগে পারতাম।

অশেষ ধন্যবাদ।

তাসনীম এর ছবি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

কীভাবে লিখলেন আপনি? কোথায় খুঁজে পেলেন লেখার এই ঢংটি? আমি পাই না কেন?
অদ্ভুত ! অদ্ভুত !!

শৈশবে ফিরতে ভয় পাই আমি। সবকিছু যদি আগের মত না পাই !!

তারচেয়ে বরং ওরা স্মৃতিতেই থাক, একটা আদরমাখা কষ্ট বুকে ধরে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

বুনোহাঁস, ধন্যবাদ আপনাকে। শৈশবেই সবকিছু আগের মত থাকে, বাকি সব বদলে যায়।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি


এই শহর জানে আমার প্রথম সবকিছুই,
পালাতে চাই যত সে আসে আমার পিছু পিছু

সুমন (সুমন চ্যাটার্জি অথবা কবীর সুমন)- এর অসম্ভব সুন্দর গানটার অসম্ভব সুন্দর লাইন দুটো কেনো যেন মনে পড়ল আপনার অসম্ভব সুন্দর লেখাটি পড়ে।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে, গানটা আমার মাথাতেও ঘুরে মাঝে মাঝে...

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগে, ভালো লাগে
এখনও মনে পরে, মিস করি 'নাবিস্কো কারখানার বিস্কুটের গন্ধ'

...........................
Every Picture Tells a Story

কাকুল কায়েশ এর ছবি

'নাবিস্কো কারখানার বিস্কুটের গন্ধ'

আহ! আহ! আহ!
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই, আপনিও কি তেঁজগায়ে ছিলেন?

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মুস্তাফিজ এর ছবি

ছেলেবেলা যদিও তেঁজগায়ে কাটেনি তবুও জীবনের অনেকটা সময় এদিকেই কাটিয়েছি। তবে ছোটবেলায় ট্রেনে ঢাকায় আসার পথে টঙ্গী পেরুবার পর থেকেই উন্মুখ হয়ে থাকতাম ভাইদের মাঝে কে আগে নাকে বিস্কুটের গন্ধ পায়।

...........................
Every Picture Tells a Story

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

অসামান্য একটা লেখা চলুক
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ কিংকর্তব্যবিমূঢ়।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সোহেল কাজী এর ছবি

আহা! স্মৃতির মতোই মধুর লাগলো।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ সোহেল কাজী।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

বইখাতা এর ছবি

আপনার কয়েকটি লেখা পড়েছি। মন্তব্য করা হয়নি। তবে মুগ্ধ হয়েছি প্রতিবার, যেকোনো বিষয়কেই খুব সুন্দর করে বর্ণনা করার ক্ষমতা দেখে। এই লেখাটিও অপূর্ব হয়েছে।

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বইখাতা।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাহিন হায়দার এর ছবি

অসাধারণ লিখেছেন! মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ রাহিন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কাকুল কায়েশ এর ছবি

তাসনীম ভাই, অদ্ভুত সুন্দর লাগল এবারের লেখাটা। আর শেষের প্যারাটা সত্যি মনটাকে খারাপ করে দেয়।

আপনার বাবা-মা, ভাইরা ভাল থাকুন এই কামনা করি।

====================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ কাকুল কায়েশ ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তানভীর এর ছবি

চলুক

অসাধারণ তাসনীম ভাই।

সন্ন্যাসী উপগুপ্তের কাহিনীটা আসলে কী ছিল? রবীন্দ্রনাথ কবিতায় ব্যবহার করলেও এটা মনে হয় পৌরাণিক কোন চরিত্র?

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তানভীর...সন্ন্যাসী উপগুপ্তকে আমার কাছেও পৌরাণিক কোন চরিত্র মনে হয়েছে, আসলে কি তা জানিনা। রবীন্দ্র গবেষকরা হয়ত জানবেন।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হরফ [অতিথি] এর ছবি

জাদুময় আপনার স্মৃতির শহর, আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমার-ও স্মৃতিচারণা হয়ে যায়। ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নেবেন।

_প্রজাপতি এর ছবি

অসাধারন একটা স্মৃতি কথা পড়লাম, অনেকক্ষন লাগলো মুগ্ধতা কাটতে।
এত সুন্দর করে লিখেন কি করে
------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অসাধারণ লেখা ।

তাসনীম এর ছবি

আনন্দী, প্রজাপতি, হরফ,

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদেরকে। শৈশব আমার প্রিয় জায়গা, টাইম মেশিন আবিস্কার না হওয়া পর্যন্ত ফেরার কোন উপায় নেই, তবুও ফিরতে ইচ্ছা করে বেলা অবেলায়। আমাদের সবার শৈশবের গল্পগুলো ভিন্ন হলেও সেগুলো দূর থেকে একই রকম লাগে, অনেকটা রাতের আকাশের তারার মত।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মূলত পাঠক এর ছবি

"আবিষ্কার" হবে। হাসি

তাসনীম এর ছবি

মূলোদা, ধন্যবাদ, you are in action হাসি

মূল লেখাতেও কয়েকটা বানান ভুল আছে। বানান ভুল আগেও করেছি, বেঁচে গেছি এ পর্যন্ত। এবার মন্তব্যে ধরা হাসি

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অসাধারণ লেখা, ৫তারা জানায়ে গেলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার এই লেখাটি এবং আগের লেখাগুলোও পড়ে মুগ্ধ হই। আজকাল সব লেখা পড়া হয় না সচলে, কিন্তু লাল নাকের কালো বেড়ালটার ছবির দিকে নজর থাকে, দেখলেই পড়ে ফেলি।
অনেক বিচ্ছিন্ন সিরিজ লিখলেন, এইবার একটা আদাজল মার্কা বড়ো সিরিজ শুরু করুন। আমার মনে হয় আপনি চমৎকার উপন্যাস লিখতে পারবেন, ক্ষমতা ও যত্নশীলতা দুইই দেখতে পাই আপনার লেখায়। লিখে ফেলুন না।

তাসনীম এর ছবি

মূলোদা প্রথম থেকে আমাকে উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

চেষ্টা করব দুই একটা গল্প লিখতে, উপন্যাস লিখতে গেলে আমাদের টাইগার টীমের টেস্ট খেলার মত হতে পারে, শুরু করে ইনিংস বিপর্যয় হাসি
প্রথমে T-20 দিয়ে শুরু করব। যদিও গল্প বেশ কঠিন মাধ্যম মনে হয় আমার কাছে।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শরতশিশির এর ছবি

আমারও মনে হয়, আপনি একটা উপন্যাস লেখতে পারবেন। এই 'স্মৃতির শহর' নিয়েই। সেটাই হবে প্রোটাগোনিস্ট, আর ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকবেন আপনি বা আপনার ছায়া। ভাবতে শুরু করে দেন। আপনার এই তিন লেখাকেই কন্টিনিউড করে করা যাবে কিন্তু, সিরিয়াসলি!

এডিটিং পাঠু'দা করে দিতে পারবেন, হে হে । দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

রেনেট এর ছবি

কিছু কিছু লেখা পড়ে তব্দা মেরে বসে থাকি। ভাবি---কিভাবে এত ভালো লেখা সম্ভব? কিভাবে?

মন্তব্যের ঘরেও কতটা ভালো লাগলো তা বোঝানোর মত শব্দ খুঁজে পাই না।
বেকুবের মত কিছুক্ষন শব্দ হাতড়ে তারপর ক্ষান্ত দেই। শুধু একটা শব্দই খুঁজে পাই--

অসাধারণ!!!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

তাসনীম এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রেনেট।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

স্রেফ অসাধারণ একটা লেখা।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ আশরাফ।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বড় ভালো লাগলোগো ভাইয়া... খুব খুব খুব সুন্দর লিখেছেন! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ বালিকা।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ভাইয়া এর ছবি

অসাধারণ একটি লেখা, এমিল লেখাটা পড়ে আমি অভিভূত হয়েছি। কি সুন্দর দিন ছিল আমাদের তাইনা ?

তাসনীম এর ছবি

সত্যি তাই ভাইয়া, তাইতো সেটাকে ধরতে চাই এখনো, এত দূর থেকেও...

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনি মোটামুটি সব ধরনের বিশেষণই পেয়ে গেছেন, আমি তাই শুধু লেখাটা খুব ভালো লাগলো এটাই বললাম হাসি

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ স্নিগ্ধা, আমার নিজেরো প্রিয় লেখা এটা হাসি

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রানা মেহের এর ছবি

কী অপূর্ব একটা লেখা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ রানা।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

বর্ষা এর ছবি

লেখাটা আগেই পড়েছিলাম, মন্তব্য করা হয়নি। শব্দচয়ন আর অলঙ্করন স্মৃতিকথাকে অসাধারণ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। পছন্দের পোষ্টের সাথে যুক্ত করলাম---মন খারাপ থাকলে পড়ে নেবার জন্য।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম তিন লাইন পড়ার পর খটকা লাগল। আবার পড়া শুরু করলাম। নাহ, ঠিকই আছে। অন্য রকম শুরু। অসাধারণ লাগছিলো। এরপর আপনি একটানেই শেষে নিয়ে গেলেন। আমি আসলেই মুগ্ধ! চিন্তা করলাম আপনি এতদিন লেখেননি কেন? এখন একটা উপন্যাস দাবী করা অন্যায় হবে না।

আর নাবিস্কোর বিস্কুটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আবার খিদাটা বাড়িয়ে দিলেন। আমার খুবই ইচ্ছা, কখনো সুযোগ হবে কিনা জানি না, নাবিস্কোতে ঢুকে গরম গরম বিস্কুট খাওয়া। হাসি

অনেকদিন পর সচলে ঢুকে আপনার লেখা দিয়ে পড়া শুরু করলাম। আসলেই ওর্থ রিডিং। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

===অনন্ত ===

তিথীডোর এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

অসাধারণ!!! আসলে অসাধারণ বললেও অনেক কম বলা হল!!! হারিয়ে গেলাম আবেশে.................

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।