ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবার গিয়েই অবাক হয়েছিলাম পুরনো স্কুল-কলেজ দেখে। সেই উনবিংশ শতাব্দীর স্কুল-কলেজ- শিল্পকলা একাডেমিই বলে দেয় কতটা শিক্ষা ও সংস্কৃতিবান্ধব এই জনপদ। কতটা ঐতিহ্যবাহী এখানকার জ্ঞান ও সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ। বয়স-রহস্যও আমাকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছিল। স্থানীয় মানুষের চেহারা-অবয়ব দেখে যা বয়স আন্দাজ করি বাস্তবে তা অনেক বেশি, এতটা বেশি যে সন্দেহ জাগে, ঠিক বললো কি না !
পড়ব পড়ব করে কয়েক বছর পার করে দিয়ে অবশেষে এই বই পড়ার সুযোগ হলো এই মাসকয়েক আগে। তাও আবার বন্ধু পড়ছিল, আমি আফসোসমুখে জানিয়েছিলাম যে বইটা আমারও পড়তেই হবে বটে, তাই শুনে এক্কেবারে জন্মদিনের সন্ধ্যায় বই হাতে করে হাজির। একে জন্মদিন, তায় আবার একেবারে অপ্রত্যাশিত উপহার, ধন্যবাদেরও ভাষা যোগায়নি মুখে। আচ্ছা, ধান ভানতে নেমে এমন শিবের গীত না গাওয়াই সমীচীন, সুতরাং পেছনের এইসব হাবিজাবি গল্প তোলা থাক এখনকার মতো, ব
মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে যেসব দেশের পথচলা শুরু, সেসব দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতা এবং বিজয় দিবস ভিন্ন অনুরণন নিয়ে আসে, প্রতিবছর। এটাও হয়ত সত্য যে সবাই সেসব উদযাপন করেন না, বা করলেও ভিন্নভাবে করেন, বা উদযাপন না করার পেছনে ব্যক্তিগত (ইমার্জেন্সি) কারণ থাকে। কিন্তু নিজে(রা) উদযাপন না করলেও বাকিদের উদযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ান বলে মনে হয় না। আমাদের দেশে জেনে না-জেনে আমরা সেটাই করি, খুব সুক্ষ্মভাবে।
শ্রীমঙ্গলের চারদিকে বিস্তীর্ণ কালেঙ্গা অরণ্য - আমাদের গেরিলাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মাঝে মধ্যে ভুল করে পা মাড়ালেও মুক্তিবাহিনীর এমব্যুশে ফিরে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানীদের। ২৪ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭১; বড় একটি পাকিস্তানী কলাম এগিয়ে আসছে বুনো পথ ধরে। পথ দেখিয়ে আনছে রাজাকার নাম্নী ২০/২৫ জনের এদেশীয় কিছু প্রভুভক্ত কুকুর।
সম্প্রতি সবাই যে দাবী তুলছেন পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার। জাতীয় দৈনিকেও লেখালেখি হচ্ছে, মিটিং সেমিনারে আলোচনা হচ্ছে। সেই দাবী আমরা করে আসছি আরো অনেক আগে থেকে। দুই বছর আগে এই দাবী তুলে ব্লগ লিখেছিলাম। কোনো কাজ হয় নাই।
এখন সে কতো রাত;
এখন অনেক লোক দেশ-মহাদেশের সব নগরীর গুঞ্জরণ হ'তে
ঘুমের ভিতরে গিয়ে ছুটি চায়।
পরস্পরের পাশে নগরীর ঘ্রাণের মতন
নগরী ছড়ায়ে আছে।
কোনো ঘুম নিঃসাড় মৃত্যুর নামান্তর।
অনেকেরই ঘুম
জেগে থাকা।
নগরীর রাত্রি কোনো হৃদয়ের প্রেয়সীর মতো হ'তে গিয়ে
নটীরও মতন তবু নয়;-
প্রেম নেই- প্রেমব্যসনেরও দিন শেষ হ'য়ে গেছে;
যারা বলছে বিভেদ তৈরির দায়ভার প্রগতিশীলদের উপরে তারা মূলত বামাতী। এই বামাতীরা প্রতিটা হত্যাকাণ্ডের পরে প্রথম যে প্রশ্নটি প্রচার করে "মুসলিম জঙ্গিরা যে খুন করেছে তা আপনি কিভাবে বুঝলেন?
খন্দকার মোশতাক আহমেদের চোখে ঘুম নেই।