১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বিষয়টি তৎকালীন গণমাধ্যমে কিভাবে এসেছিল তা নিয়ে সচল ওমর শেহাব ভাই এবং আমার দুটি লেখা ইতিপূর্বে সচলায়তনে এসেছে (শেহাব ভাইয়েরটা এখানে, আমারটা এখানে)। এবারের লেখাটাও ১৫ই আগস্ট এবং গণমাধ্যম সংক্রান্ত। তবে এবার লক্ষ্য হলো সময়ের সাথে ১
পুরো উনিশ শতক এবং বিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার শিক্ষিতমহলে যা ঘটেছে তাকে "রেনেসাঁস" বলা যায় কি-না, এবং তার সাথে চতুর্দশ শতকের "ইতালীয় রেনেসাঁসের" তুলনা করা যায় কি-না সে নিয়ে বিতর্ক আছে। আর সব বিতর্কের মতো এই বিতর্কেরও দুটো চরম-পক্ষ রয়েছে: এক পক্ষ একে রেনেসাঁস বলে মানেনই না, আর অন্য পক্ষ একে একেবারে ইতালীয় রেনেসাঁসের কাতারে ফেলেন। শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় এ নিয়ে একটা থিসিস লিখে কলকাতা বিশ্ববিদ্
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল যখন পরিনতির দিকে ক্রমশঃ এগিয়ে যাচ্ছে তখনই খবর পাওয়া যাচ্ছিল ইউরোপের জামার্নি অধিকৃত এলাকা গুলোয় অসংখ্য কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বহু ক্ষুধার্ত, বুভুক্ষু মানুষ বন্দি অবস্থায় মৃত্যুর দিন গুনছে, অনাহারে তখনই মৃত্যুর কোলে যারা ঢলে পড়েছে সেই সংখ্যাটিও কম নয়। নেদারল্যাণ্ডস, গ্রিস, পূর্ব ইউরোপ, সোভিয়েত রাশিয়ায় অসংখ্য মানুষ অনহারে মৃত্যু বরন করছিল। ড.
হালের গরু বিকিয়ে গেছে, হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে ধান ফলাবার এক টুকরো জমিটাও। শত্রুসৈন্যের হাতে পড়বে এই ভয়ে জেলেদের নৌকা গুলো পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্রামে কাজ নেই, ভাতও নেই। ভিটে মাটিটা পর্যন্ত বিক্রি করেও চাল জোটানো দুস্কর। গেরস্থালীর বিগ্রহ গুলো পর্যন্ত অভুক্ত, দেবতার ভোগে দেবার মতও কিছু নেই। বাজারে চালের দাম চড়ে যাচ্ছে। উধাও হয়ে যাচ্ছে ধানের সঞ্চয়। কেউ বলছে সরকার সরিয়ে নিয়েছে জাপানীদের হাতে পড়বে
১৮৭৬ সালে প্রকাশিত W W Hunter-এর A Statistical Account of Bengal এর মালদহ, রংপুর এবং দিনাজপুরের ভলিউম থেকে রংপুরের বন্যপ্রাণী অংশটি অনুবাদ করা হল।
স্তন্যপায়ী প্রাণী-
এই লেখার মূল উদ্দেশ্য 'ঈশ্বর' নামক ধারণাটির ইতিহাস বর্ণনা। ঈশ্বর বাস্তবে থাকুক বা না-ই থাকুক মানুষের ধারণায় আছে—এই ধারণার ইতিহাসই বলব। বাস্তবে ঈশ্বর আছেন কি-না সেই আলোচনাও ধারণার ইতিহাসের মধ্যেই প্রোথিত, কারণ ঈশ্বর এসে কাউকে বলে যাননি যে তিনি আছেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সবাই নিজেদের স্মৃতি, যুক্তি বা কল্পনা দিয়ে ঈশ্বর আছেন কি-না তা বুঝার চেষ্টা করেছে। অবতীর্ণ বাণীও আক্ষরিক অর্থে অবতীর্ণ নয়, বরং উৎসারিত। স্মৃতি, যুক্তি, ও কল্পনার মধ্যে প্রথমে যুক্তি নিয়ে কথা বলব। বিজ্ঞান যুক্তির (রিজন) অন্তর্ভুক্ত, আর দর্শন মানবিক বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। দার্শনিকরা কিভাবে যুগে যুগে ঈশ্বরের ধারণাটি সূত্রায়িত ও পুনঃসূত্রায়িত করেছেন তা-ই প্রথমে আলোচনা করব। ফোকাস থাকবে মূলত পাশ্চাত্য দর্শনের উপর, তবে ভবিষ্যতে ভারতীয়, চৈনিক, ও ইসলামি বিশ্বে দর্শনের কিছু জিনিসও যুক্ত হবে।
১৯৮৮ সালের ৭ই জুন। মিলিটারি স্বৈরশাসক লেঃ জেঃ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল। তৎকালীন সংসদে পাশ করা হলো বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী বিল। এই সংশোধনী দিয়ে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ইসলাম এখনও বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল আছে। কিছুদিন আগে এই অষ্টম সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটা [url=http://www.ittefaq.com.bd/court/2016/03/28/61524.html]রিটের আবেদন খা
আমি আমেরিকায় আসি ২০১০ সালের আগস্ট মাসে। বাংলাদেশের হিসেবে তখন রোজার সময়। দেশে ইফতার করতাম সবসময় বাসায়। এখানে এসে জানলাম মসজিদে নাকি মানুষ ইফতার করে। আমার আরো দুবছর আগে আসা একজন আমাকে ধরে নিয়ে গেল কাছের একটি মসজিদে। ইফতারের লাইনে দাড়িয়ে আছে। সামনে দাঁড়ানো একজন জানতে চাইলো আমি কোথা থেকে এসেছি। মনে হয় ইতিউতি তাকানো দেখে বুঝতে পেরেছে আমি ঘরের বাইরে ইফতার করতে অভ্যস্ত নই। বললাম, বাংলাদেশ থেকে এসেছি। ত