এখন আর অপেক্ষা নয়, সময় এসেছে নিজেদের অবস্থান সারাবিশ্বকে উচ্চ কণ্ঠে জানিয়ে দেবার। সেই লক্ষ্যেই তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে, একত্রিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবীতে শাহবাগ তথা প্রজন্ম চত্বরে। একজন নয়, দুইজন নয়, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে মানুষ মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের দাবীতে সোচ্চার। এই আন্দোলন যে কেবল শাহবাগে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে কানাচে, তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে দেশে-বিদেশেও
গতকাল শাহবাগ থেকে আসার পর সবগুলো পেপার পড়লাম। আর সাথে মিডিয়াতে খবরগুলো দেখলাম। শাহবাগের গণজাগরন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর টানা হেচরা ছিল চোখে পড়ার মতন।
মির্জা ফখরুল সাহেব জেল থেকে বের হয়ে বললেন এটা নাকি "তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন", বিএনপি পন্থি কিছু ব্যারিস্টার বললেন ট্রাইবুনাল ভেঙ্গে দিতে আর খালেদা জিয়া ম্যাডাম তো পুরাই চুপ।
সময় এসেছে গণআন্দোলনকে Twitter-এ নিয়ে যাওয়ার। আগ্রহীদের জন্য কিছু প্রাথমিক তথ্য লিপিবদ্ধ করছি এখানে। এটি খুব, খুব সহজ একটি মাধ্যম। কয়েক মিনিটের বেশি লাগবে না বুঝে নিতে।
৪১ বছর ধরে একটা বাড়িতে ছিলাম!
নতুন বাড়িতে উঠে সবকিছু মানিয়ে নিতে, ঘরটাকে সাজাতে ও নানা ঝামেলায় ঘর কখনো পরিষ্কার করা হয়নি।
কিন্তু এখন আর এই বাড়িতে শ্বাস নেয়া যাচ্ছে না- কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস ও রোগ-জীবাণু তে ঘরে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ঘরের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
সব কাজ-গোসল-রান্নাবান্না-ঘুমানো-বাথরুম করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
কাদের মোল্লাসহ সকল যুদ্ধাপরাধী সকল রাজাকারের ফাঁসির একদফা এক দাবিতে বুধবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এতে কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী সব অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে কয়েক শ’ সংস্কৃতিকর্মীসহ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছে ছাত্র জনতা। রাত সাড়ে ৭ টায় বক্তব্যে জনপ্রিয় লেখক ও আমাদের প্রিয় শিক্ষক ড.
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে অগণিত মানুষ দিন-রাত সময় কাটাচ্ছেন শাহবাগের মোড়ে। তাঁরা পথে থাকবেন, সত্যিকার রায় নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। জীবনের তাগিদে দূরে বসবাস করলেও আমরা আত্মিক ভাবে তাঁদের পাশে আছি।
প্রশ্ন হলো, আমরা কি কিছুই করতে পারি না? পারি। খুবই জরুরী একটি কাজ করতে পারি। এই কাজটি দেশের মানুষগুলোর পক্ষে করা দুষ্কর, কিন্তু আমাদের জন্য সহজ।
জামায়াত-শিবির ও মুসলিম বিশ্বের নিরলস প্রচারণার ফলাফল হিসাবে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে যাচ্ছেতাই সংবাদ প্রচার করছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আপনারা যাঁরা সশরীরে শাহবাগে যেতে পারছেন না, তাঁরা অনুগ্রহ করে নিচের তালিকা দেখুন, চেষ্টা করুন কিছুটা সময় খরচ করতে।
কাদের মোল্লার রায়ে বিচারের নামে প্রহসন করায় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করায় অনেকে নাখোশ। মূল সুর একটাই -- আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করছেন কেন, এটা তো আদালতের এখতিয়ার?
একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে সরকার অথবা সরকারী দলের কিছু করার নেই। কখনো ছিলও না। বাংলাদেশের আইন-আদালতের উপর সরকারের কোন প্রভাব নেই। কেবল সরকার বলে নয়, এই রায়ে কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, দল অথবা সংগঠনের কারোরই কোন প্রভাব নেই। সুতরাং আমরা যারা বিচারের রায়ে খুশি নই, তারা যেন মনে রাখি, সরকার এই বিচারের রায় বদলাতে পারে না। তারা এই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের তাদের সদিচ্ছা দেখিয়েছে মাত্র। কিন্তু বিচারের রায় কী হবে, কে অপরাধী অথবা কে অপরাধী নয় সেই বিষয়ে সরকার (অথবা অন্য কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী) কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র স্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের।
স্বাধীনতার বিরোধিতা করার পরেও উগ্র মৌলবাদী ধর্মভিত্তিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী এই দেশে রাজনীতি করে। এই রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার পরেও কেবল সাধারণের ধর্মীয় অনুভূতি, ধর্মের প্রসঙ্গে মানুষের দূর্বলতাকে পূঁজি করে রাজনীতির মাঠে টিকে থাকে এই দল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পরিকল্পণা করে অগনিত বুদ্ধিজীবি হত্যাকারী সংগঠন ছাত্র শিবির (তৎকালীন 'ইসলামী ছাত্র সংঘ') এই দলেরই অংগসংগঠন। কিন্তু ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার ইতিহাস নিয়েও ধর্মভিত্তিক উগ্র মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্রসংগঠন শিবির কীভাবে একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করছে সেই প্রসঙ্গে এই লেখাটি নয়।
ধরে নেই, কোন অজানা কারণে জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরের রাজনীতি এই দেশে সিদ্ধ। সেই হিসেবে,গণতান্ত্রিক দাবী আদায়ের লক্ষ্যে তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, মিছিল, প্রতিবাদও সিদ্ধ এবং গ্রহনযোগ্য। কোন রাজনৈতিক দলের অংশ না হয়ে সাধারণের জন্যেও এসব গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সেই গণতান্ত্রিক অধিকারের সীমা কতটুকু?
জে আলফেলডারের হিসাবমতে ২০১৩ তে সেনা অভ্যূত্থানের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। জে আলফেলডার আমাদের অনেকের কাছে অচেনা নাম হলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। ২০১২ সালে বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশ্লেষককে অবাক করে দিয়ে মালি এবং গিনি বিসাউ এ সেনা অভ্যুত্থানের ব্যাপারে তার ভবিষ্যতবানী বাস্তবে রূপ নেয়।সেবার বাংলাদেশও তার তালিকায় ছিল। এবং ২০১২ সালেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি ক্যু এর প্রচেষ্টা নস্যাৎ ক