যেই দেশে প্রাণহানি ঘটে রোজ বোমাতে
প্রশাসন নিজে থাকে নিয়মিত কোমাতে
বোমা ফাটে মসজিদে, বাসে, সেনা সদরে
জঙ্গী হামলা হয় রাষ্ট্রীয় কদরে
যেই দেশ ভুল করে, ক্ষমা নিয়ে ভাবে না
সেই দেশে আমাদের দল যাবে? যাবে না!
কথা যদি সত্যিই দিয়ে থাকে লোটাসে
সেটা হলো তার দায়, বুঝে নিক ওটা সে
সেই দায় কেন নেবে মুশফিক, রিয়াদে?
:একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ করছে অনেক লোকে
জামাত একা দায় নেবে ক্যান?
- ন্যায্য কথা, ওকে!
[সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ইহা একটি হাতি-মার্কা লেখা]
সবাই বলে সময়টা অন্ধকার, সামনে পথ বন্ধুর, হতাশা আর গ্লানিতে মানুষ আকণ্ঠ নিমজ্জিত, ইত্যাদি। আমি অতটা নিরানন্দ চোখে দেখি না। হাজার রকম মতবাদ, মতামত, এবং বিপদ-আপদের মধ্যে এরকম আশার কথা বলায় সমালোচিত হতে হয় অনেক। সমালোচনা খুবই যৌক্তিক, কারণ যে-মানুষ পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে তার কাছে পুকুর এবং মহাসাগরে কোনো তফাৎ নেই। আমরা যারা পাড়ে বসে নুড়ি কুড়াচ্ছি, তাদের এখনও আশাবাদের বিলাস আছে। আমি নিজে একটু বেহায়া এবং অনেকটা অলস কিসিমের মানুষ, তাই আশা এবং আশার বিলাস দুইটাই আছে। আমার আশার ভিত্তিটা খুবই বৈষয়িক। হতাশার অংশে যাওয়ার আগে এই আশার কথাটুকু বলে নেই।
সব কিছুর একটা প্রপার টাইম থাকে। কথাটা বাবা খুব বেশি বলতো। আমি শুনতাম। এখনো শুনি। কিন্তু জীবনে খুব বেশিবার এই উপলব্ধি কাজে লাগাতে পারি নাই।
আইসিএসএফ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ঘিরে অপপ্রচারের মাত্রা এই সময়ে অনেক বেশি বেড়েছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারবিরোধীরা মরিয়া হয়ে ন্যায়-অন্যায় সকল পথে বিচার বানচালের জন্য চেষ্টা করছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের অপপ্রচারে ভুলে অনেক সাধারণ মানুষও বিভ্রান্ত হচ্ছেন। অনেকের মাঝেই নতুন করে অনেক প্রশ্ন-কৌতূহল তৈরি হচ্ছে। আইসিএসএফ এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ঘিরে সাম্প্রতিক তৈরি হওয়া এমন সব প্রশ্নের জবাব দেয়া হচ্ছে এই ব্লগে। এখানে আপনার কৌতূহলের জবাব না থাকলে মন্তব্য অংশে তা জানাতে পারেন। মন্তব্যে পাঠকের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাব মূল লেখায় যুক্ত করে দেয়া হবে।
প্রথম আলোর প্রতিনিয়ত এই পাকিমেহনের ক্রমবর্ধমাণ ধারা নিয়ে সচলায়তন ও অন্যান্য ব্লগে নানা সময় বিচ্ছিন্নভাবে লেখা এসেছে। কিন্তু সেই ব্যাপারটাই একটু গোছানোভাবে একত্রিত করার জন্য আর এই পাকিপ্রেমের বিষবৃক্ষের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একটি নতুন সিরিজ চালু হয়েছিলঃ "আলুর পাকিমেহন" শিরোনামে। আগ্রহী যে কেউ এই শিরোনামে প্রথম আলোর পাকিমেহনের খবরগুলো নিয়ে কন্ট্রিবিউট করতে পারেন। সচল-পাঠক সবাই এতে অংশ নিয়ে এই সিরিজটি বেগবান-সমৃদ্ধ করার অনুরোধ রইলো। এখন থেকে যিনিই লিখুন, যে শিরোনামেই লিখুন, "আলুর পাকিমেহন" এই ট্যাগ দিয়ে লিখুন। তাহলে সবগুলো লেখা একসাথে পাওয়া যাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একটি ভাঙচুরের মামলায় সরকার গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। গত সোমবার বিএনপির অবেরাধ কর্মসূচী শেষ হবার খানিক বাদেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপি বৃহস্পতিবারে আধবেলা হরতালের কর্মসূচী দেয়। গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়,বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবারে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে
গতকাল মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটিয়েছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষ এবং টিভি ক্যামেরার সামনে তারা কুপিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে বিশ্বজিৎ দাস নামের এক যুবককে। এখন প্রযুক্তির যুগ।তুমুল গতিতে এ সংক্রান্ত ছবি এবং ভিডিও বাংলাদেশের আনাচে কানাচে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেরী হয়নি।
প্রথমে খবরটা শুধু শুনেছিলাম, দেখা হয় নাই তখনো। শোনা আর দেখার মধ্যে যে একটা বিশাল পার্থক্য আছে সেটা বুঝলাম দেখার পর। সামনা সামনি দেখলে কেমন লাগতো সেটা ভেবে রীতিমতো ভয় পাচ্ছি। হ্যাঁ, আমি বিশ্বজিতের কথা বলছি। যখন এ লেখা লিখছি তখন থেকে ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেও সে বেচে ছিলো। তার চোখে স্বপ্ন ছিলো, তার জীবনকে নিয়ে পরিকল্পনা ছিলো। হোকনা সে একজন দর্জির দোকানী, তাই বলে আপনার আমার চেয়ে কোনো অংশেই এগুলো কম ছিলোন
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০১০ এর মাঝামাঝি সময়ে যা এখনও চলমান। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে এবং বাকি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কাজ চলছে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে ২০০৮ সালে নির্বাচিত বর্তমান মহাজোট সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখিত এই বিচারের প্রতিশ্রুতিই মূলত তার নির্বাচিত হওয়ার কারণ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন মহাজোট যদি মনে কর