১৯৬৬ সালের ঘটনা, তরুণ বুশ মদ্যপ অবস্থায় হৈ হুল্লোড়ে মত্ত বন্ধুদের সাথে, সেই সাথে সগর্বে জানান দেয় সে তার পরিবারের সুপ্রাচীন রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতি তার বিন্দুমাত্র আকর্ষণ নেই তো বটেই সেই সাথে তাদের অংশ হবারও কোন আগ্রহ নেই তার। এর কদিন পরই রাগবী মাঠে উম্মত্ত আচরণের জন্য জেলে পোরা হয় তাকে, জেল থেকে উদ্ধার করতে হাজির হয় টেক্সাসের প্রভাবশালী কংগ্রেস সদস্য তার বাবা সিনিয়র বুশ। বাবা ও ছেলের মধ্যে
বেশ কিছুদিনের পত্রিকা দেখা হয়নি। একগাদা নিয়ে বসেছিলাম। তারিখ টুকে রাখিনি, হয়তো কিছু কিছু চোখ এড়িয়েও গিয়েছে; তারপরেও যেগুলো চোখে পড়ল তারমধ্যে কয়েকটা ছিল এরকম -
১) বিএসএফ মাঝরাতে বর্ডার পার হয়ে এসে এক গ্রামে হামলা চালায়। রীতিমত ঘরের দরজা ভেঙ্গে মহিলা ও শিশুদের মারধোর করে এবং পুরুষদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সবার মিলিত বাঁধায় শুধু পিটিয়ে আহত করে রেখে যায়।
... যাইবার কালে নিয়তি এমন এক দান দিল। কেউ ভাবেও নাই। প্রথমে প্রচুর ধুয়া দেইখা বাইর হইলাম, বিয়াপক আনন্দের সহিত। দেখলাম তারা ভাগছে। তারপর দেখলাম, নাহ, একটারে রাইখা গেছে। সিনন। সে কয়, তারে নাকি তার লোকেরাই বলি দিতে চাইছিল, যেহেতু সে লুকাইতে পারছে, জীবিত এখন। ওকে। কিন্তু ঐটা কী!
গল্প খানা কত কালের পুরানো তাহা আমি বলিতে পারিবো না। তোমরা সকলে মিলিয়া আমাকে র্যাবের হাতেই দাও আর পুলিশের হাতেই দাও আমি উহা কিছুতেই বলিতে পারিবো না। তবে গল্পখানা বলিতে পারিবো বৈকি। ইহা বড়ই মজার কাহিনী কিনা। কি বলিলে? শুনিতে উৎসুক হইয়া আছো?
ইংল্যান্ডের উত্তরের গ্রামগুলোতে গবাদি পশু চরে বেড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকত - যা ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত - অর্থাৎ কমন প্রপার্টি। নিজের স্বার্থের কথা ভেবে সব মালিকই চাইত আরও বেশী করে গবাদি পশু চারণ করে বেশী লাভের টাকা ঘরে তুলতে, স্বভাবতই নিজেদের জমি ব্যবহার না করে ওই কমন-প্রপার্টিই ব্যবহৃত হত চারণের জন্য। কিন্তু একসময় দেখা দিল বিপর্যয়, ঘাস গজানোর তুলনায় গবাদি পশুর খেয়ে ফেলার হার বেড়ে গেল, ফলে গবাদি পশুর খাওয়ার জায়গা ফুরোলো। এই থট-এক্সারসাইজ থেকেই একটা সুন্দর তত্ত্বের উদ্ভব। ট্র্যাজেডি অব কমনস শেক্সপিয়ারের লেখা আরেকটি উপন্যাস নয়, বরং একটি তত্ত্ব যার প্রভাব বর্তমান পৃথিবীতে হরহামেশাই চোখে পড়ে।
আচ্ছা বাবা, তুমি না বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলে?
একাত্তরে যুদ্ধ করলে বন্ধুরা সব মিলে!
তোমার বন্ধু শহিদ হলো, বুলেটবিদ্ধ তুমি
রক্ত দিয়ে করলে স্বাধীন প্রিয় স্বদেশভূমি।
তোমার খোঁজে রাজাকাররা হামলা করলো গ্রামে
ঘরবাড়ি সব পুড়িয়ে দিলো তোমায় খোঁজার নামে!
ফুপিটাকে তুলেই দিলো আর্মিগুলোর হাতে
আত্মহত্যা করলো ফুপি দুঃসহ সেই রাতে।
তোমার বোনের সম্ভ্রম আর অশ্রু-প্রাণের দামে
বুয়েটের আহসানউল্লাহ হলে সম্প্রতি রুম নিয়ে অনেক ঘটনা হল। ভার্সিটি বন্ধ করে হল ভ্যাকেন্ট করে দেয়ারও একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পত্রপত্রিকা ব্লগে ঘটনাটা সেভাবে আসেনি, যা এসেছে তাও ভুল তথ্যতে ভরা। অন্য হলের ছাত্র হওয়ার কারণে পুরো ঘটনা মাত্র আজকে জানতে পেরেছি এবং দেরীতে হলেও তা সবাইকে জানাতে চাই।
[১]
'মেলাবেন তিনি ঝোড়ো হাওয়া আর/ পোড়োবাড়িটার/ ঐ ভাঙা দরজাটা/ মেলাবেন'। প্রথম আলোর বাজেট প্রতিবেদনে অমিয় চক্রবর্তীর দেখা মিলল। অমিয় ছাড়াও সেখানে উদ্ধৃত বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন আর ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। বিশেষ প্রয়োজনে মার্কিন সরকারকে ডেকে আনা প্রথম আলোর স্বভাববিরুদ্ধ না। কিন্তু বাজেট বিশ্লষণে অস্তিত্ববাদীর মৌল সংকট-বিষয়ক কবিতার প্রাসঙ্গিকতা খুঁজতে গেলে, আগে জানতে হবে তাদের দফতর আলো করে আছেন নিদেনপক্ষে আড়াইজন কবি। তারা কারণে-অকারণে সাহিত্য ডেকে আনেন।
তাই বাজেটের পরের দিন ছাপা হওয়া 'হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল: সাহিত্যের সীমনা ও আদালতের দায়' খটকার জন্ম দেয়। লেখক সাজ্জাদ শরিফের আপত্তি '[হুমায়ূনের 'দেয়াল'] সাহিত্যের ['মধুর'] সীমা উপচে সমাজ-রাষ্ট্রের খোলা ময়দানে প্রবেশ করেছে'। কতগুলি পূর্বানুমান লক্ষ্য করি: সাহিত্যের সীমানা মধুর, সাহিত্য বদ্ধকাঠামো (যেহেতু সমাজ-রাষ্ট্রের 'খোলাত্ব' তাকে সাহিত্যের বিপরীতে দাঁড় করায়) এবং সমাজ-রাষ্ট্রের ময়দান খোলা, অর্থাৎ বদ্ধোকাঠামোয় সমাজ-রাষ্ট্র নাই।
আমাদের পীরগণ
"যাহার কোনো পীর নাই তাহার পীর শয়তান"।
মুক্তির মশাল জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে ২৬ বছর বয়সী এক বিক্ষুব্ধ তিব্বতী তরুণ, জামপা ইয়েশি। (ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে, যন্তর-মন্তর এলাকায়) স্বাধীন তিব্বতের দাবিতে আগুনে আত্মাহুতি দিয়েছে সে| অগুনিত আত্মত্যাগের ভিড়ে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে সে, বেঁচে থাকা অসংখ্য মা