[বিরক্তি চেপে সহ্য করে থাকা ভদ্রলোকের একটা গুন। আমি ভদ্রলোক নই বলেই এই গুনটা আমার নেই। তাই প্রচন্ড বিরক্তির সাথেই নাগরিক বিরক্তিমূলক লেখাটা লিখছি।]
আজ ২৫ মার্চ। বাঙালির ইতিহাসে এ দিবাগত রাত চিহ্নিত হয়ে আছে বর্বর গণহত্যার স্মারক ‘কালরাত’ হিসেবে। ১৯৭১ সালের এ রাতে নিরপরাধ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পৈশাচিক হত্যার উল্লাসে। পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল বাংলাদেশ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক নির্বিচারে বাংলাদেশি মানুষ নিগৃহিত হবার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশীদের ভেতর এখন ভারত বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ মার্চ পালিত হলো ভারত বনধ্। আসছে ১৫ মার্চ আবারও ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় একটি দিন। অগ্নিঝরা মার্চের ঊর্মিমুখর এদিনে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্র ঘোষণা দেন।
ক্লাস এইটের বার্ষিক পরীক্ষার পর এক ইঁচড়ে পাকা বন্ধু বলছিল এবার ক্লাস নাইনে উঠবো তারপর 'লাইন' করবো। 'লাইন' করা মানে প্রেম করা সেটা শিখলাম ওইদিন। শেখার কোন বয়স নেই। নাইনে উঠে লাইন করার ভাগ্য না খুললেও টেনে উঠে আরেকটা শিক্ষা পেলাম। এবার আরেকজনকে বলতে শুনলাম, কলেজে উঠলে নাকি স্বাধীন। ইচ্ছেমতো ক্লাস ফাঁকি দেয়া যায়। রোলকল করা হয় ঠিকই স্কুলের মতো বেতিয়ে ক্লাস করানো হয় না। যেদিন ইচ্ছে যাবি যেদিন ইচ্ছে যাব
বাঙ্গালীর জীবনে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি আসে ভিন্ন আবেদন নিয়ে, বিভিন্ন উদযাপন করার উপলক্ষ্য নিয়ে। সে উপলক্ষ্য হতে পারে সাংস্কৃতিক, হতে পারে রাজনৈতিক, হতে পারে এর বাইরেও। এই শেষ শ্রেনীভুক্ত বর্তমান প্রজন্মের প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয়টি হল ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস্ ডে।
[justify]গত বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই শিবিরকর্মী নিহত হয়। শিবির অধ্যুষিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম সংঘাত নতুন কিছু নয়, আগেও হয়েছে। এমনকি প্রাণহানির ঘটনার নজিরও খুঁজে পাওয়া যাবে। বরাবরের মত সংঘর্ষে লিপ্ত দুই দলই নিহতদের নিজেদের কর্মী দাবি করে এবং অনুমিতভাবেই একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিবৃতি দেয়। ঘটনার পরপরই অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
কামাল ভাইয়ের প্রতি আমার বিশেষ ভক্তি জন্মায় যেদিন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এস এম কিবরিয়া ঘাতকের হাতে প্রাণ দেন। আমরা রাতের খবরে জানতে পারি উনি গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছেন; তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু সকালে টিভি খুলেই দেখি উনি আর নেই। বিষণ্ণ মনে অফিসে যাই; চায়ের টেবিলে আলোচনা চলে দেশের ভুত-ভবিষ্যৎ নিয়ে। কেউ কেউ সরকারকে ধুয়ে দিচ্ছে। দেশটাকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য বানানোর জন্য। আবার অনেক সরক
সম্প্রতি ১ মার্চ ভারতীর পণ্য বর্জন কর্মসুচীর ঘোষণা দেখে একটু হেলেদুলে বসলাম। বাহবা দিলাম দেশের মানুষের দেশপ্রেম দেখে। নিজের দিকটা বিচার করতে হবে। আমি কতটা দেশ প্রেমিক সেটা সবাই কে জানাতে চাই। আপনারাও যদি একটু মনে রাখেন।
... একটা বিশেষ ধরণের বিরক্তি এই লেখা তৈরিতে উৎসাহী করেছে। এতে চলমান ভারতীয় পণ্য বর্জনের/ বয়কটের আহবানে প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও এই ধরণের উদ্যোগের সামর্থ্য সম্পর্কে একধরণের মতামত দেয়া হয়েছে। বিচিত্র বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি লেখাটাকে কিছুটা দীর্ঘ করে তুলবে।
১. দুশ্চিন্তা/উদ্বেগ/বিরক্তির প্রেক্ষাপট
ইন্ডিয়ার সমালোচনা হলেই পাকিস্তানপ্রেমীরা খুশিতে গদগদ হয়ে পড়েন। বলে, 'দেখালা? হুদাই খালি পাকিস্তানরে গালি দেও'। ভারতে উৎপাদিত পণ্য বয়কটের প্রসঙ্গ ওঠার পরেই দেখা যায় তারা আরো উত্তেজিত। ফেইসবুকে দেখলাম কেউ কেউ বলছে পাকিস্তানি রাজাকার যেমন আছে তেমন আছে ভারতীয় রাজাকার।