[justify]তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি হলো না। হলো না ফেনী নদীর পানি বন্টন চুক্তিও। অনেক আশায় বুক বেঁধে ছিলাম। মনমোহন সিংয়ের সফরটা নিয়ে অস্থির হয়ে অপেক্ষা করছিলাম। আশায় গুড়ে-বালি। শেষ মুহুর্তে শ্রীমতি মমতা ব্যনার্জী বেঁকে বসাতে এ যাএায় বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গের মানুষের মঙ্গা আরো দির্ঘায়িত হল। তিনি উত্তর বঙ্গের ভারত অংশের মানুষের সমস্যার কথা চিন্তা করে শেষ মুহূর্তে পিছমোড়া দিলেন। এটা তিনি করতেই
নিকশ কালো অন্ধকার। মাঝে মাঝে ময়লা হলুদ ছোপ ছোপ। ব্যাকগ্রাউন্ডে নীল, মাঝে সাদা সাদা ছিটে। একটা আবছা ধোঁয়াশা অবয়ব। এই মধ্যরাতে জনশূন্য রাজপথ আর একলা আকাশের মাঝে মিতালির সাক্ষী হয়ে মৃদু ছন্দে হেঁটে হেঁটে চলে যাওয়া এক কিশোর। কে জানে, তার গন্তব্য কোথায়?
আমার বাবার শখ পূরন করতে ভর্তি হয়েছিলাম ইংরেজি বিভাগে। কি শিখেছি, কেন শিখেছি, কতটুকু শিখছি তা নিয়ে আমার প্রচুর সংশয় আছে । তবে চিটাগাং ইউনিভার্সিটির সেশন জটের কল্যাণে চার বছরের কোর্স ছয় বছরে শেষ করাতে ছাত্র অবস্থায়ই বেশ চাকরি টাকরি করার অভিজ্ঞতা হয়ে যায়।
২৫ আগস্ট, ২০১১
সন্ধ্যা হয়েছে, মাঠ থেকে খেলে মাত্রই হোস্টেলের রুমে ঢুকেছি দেখলাম মুঠোফোন বাজছে, কিছুটা বিরক্তি নিয়েই অপরিচিত নাম্বারটা ধরলাম, ওপাশ থেকে লোকাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচিত এক অফিসারের গলা শোনা গেলো, কেমন আছি, কিরকম চলছে এই বৃত্তান্তের ধকল কাটিয়ে চিন্তা করছি কখন আসল কথায় আসবে, তখনি বলে উঠলেন, আমাদের এখানে তিনজন ইলিগ্যাল ইমিগ্রান্ট ধরা পড়েছে, তারা নাকি বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তার উপরে তিনজনই নারী, তাদের ভাষা এখানে কেও বুঝতে পারছেনা, তাই পুলিশ কাজ এগোতে পারছেনা, লোকাল ইন্টেলিজেন্স এর পরিচিত হলাম আমি, তাই আমাকে বললেন সাথে যেতে, ভাষা বুঝে তাদের তদন্তে সাহায্য করতে হবে| আমি ভাবলাম ভাষা বোঝা না হয় হলো, কিন্তু দেশের বাইরে এসে পুলিশের ঝামেলায় না জড়ালেই হলো| সাত পাঁচ ভেবে বলে দিলাম পরের দিন সকালে চলে যাবো অফিসে| রাতে জিনিসটা নিয়ে কয়েকবার ভেবেও এটা মাথায় এলোনা, দেশ থেকে এত দূরে ভারতের উত্তরপ্রদেশে মেয়েগুলো এলো কি করে???
[justify]তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে মিডিয়াতে কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে দুই রকম সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল (সেপ্টেম্বর ১, ২০১১) প্রথম আলো, বিডিনিউজ২৪, বাংলানিউজ ২৪, ইত্তেফাক সহ আরো অন্যান্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে ১৫ বছর মেয়াদী অন্তর্বতীকালীন তিস্তা চুক্তি হচ্ছে যাতে ৪৬০ কিউসেক হারে পানির সঞ্চয় রেখে বাকি পানির ৫২ শতাংশ নেবে ভারত, ৪৮ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ। তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এই সংবাদ মূলত কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার বরাত দিয়ে।এই '৪৬০ কিউসেক পানি সঞ্চয়' এই বিষয়টি ঠিক পরিষ্কার ছিলনা। প্রথমে মনে হয়েছিল যে এই ৪৬০ কিউসেক পানি নদীখাত সংরক্ষণে নির্ধারিত থাকবে, অর্থাৎ এই পরিমান পানি নদীতে সবসময় প্রবাহমান রেখে বাকী পানি ৪৮:৫২ অনুপাতে বন্টন করে নেয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে আবার মনে হয়েছে এই ৪৬০ কিউসেক প্রবাহমান থকলে 'সঞ্চয়' প্রসংগটি কেন আসবে। ইত্তেফাক অবশ্য কিছুটা পরিষ্কার করেছিল, বলেছিল "এই ৪৬০ কিউসেক প্রবাহমান রেখে।"
[এটি একটি রূপকথা। বাস্তব কোনও ঘটনা বা পারম্পর্যের সাথে এর কোনও মিল নাই।]
[justify]রোবায়েত ফেরদৌস
প্রিয় পাঠক, আপনারা জানেন বাংলাদেশে গেলো কয়েক বছরে সড়ক দুর্ঘটনা জ্যামিতিক হারে বেড়েছে। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা হারাচ্ছি প্রিয়জনদের। একটি মৃত্যু একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। কোনো কোনো মৃত্যু পুরো দেশের জন্যই অপূরণীয় ক্ষতি। গত ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, বাংলাদেশের আধুনিক সম্প্রচার সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ মিশুক মুনীরসহ পাঁচ জন নিহত হন। এর আগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০ জন শিশু নিহত হয়।
১.
তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্রপত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। টেলিভিশনে প্রচুর কথা বলা হয়েছে। ঘরে বাইরে অফিসে আদালতে বাসে কারে পার্কে ফুটপাতে ফুচকা চায়ের দোকানে, কথা-কথা। প্রচুর শব্দ ব্যবহৃত হয়ে গেছে। যারা দেশসমাজভাবনায় বিভোর, তাঁরা বোধকরি কলম ঘষে কলাম লিখতে গিয়ে সবচেয়ে বেশী সবচেয়ে ভারসম্পন্ন কথাগুলো বলে ফেলেছেন।
‘পিরানহা’ সম্বন্ধে অনেকেই হয়ত জানে, তবে বেশিরভাগ মানুষ হয়ত জানে না। কারন এটা আমাদের দেশে কম পাওয়া যায়। আমার এক বন্ধু কে জিজ্ঞেস করেছিলাম পিরানহা চিনে কিনা? ও বলল নাম শুনেছে তবে জানেনা। তারপর আমাকে জিজ্ঞেস করল, “এটা কি একটা পোকা?” এরকম ভুল ধারনা হইত অনেকেরই আছে। তাই আমি পিরানহা সমন্ধে কিছু বলতে ও জানাতে চাই।
বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড, দেশের সাধারণ জনগনের মানবাধিকার এর বিষয়টিতে একটি বড়সড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে| দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা যা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ জনগনের নজরে এসেছে, তাতে আমাদের দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতা প্রসঙ্গে আরেকবার বেশ ভালো ভাবে বিবেচনা করার সময় এসেছে বলে মনে হয়| আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলতে দেশের পুলিশ ও রেপিড একশন ব্যাটালিয়ন (RAB) এর কার্যক্রম সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে| দেশের সাপ্রতিক কিছু ঘটনায় বর্তমানে দেশে পুলিশের কার্যক্রম তাদের অতীত ইতিহাসকে ছাড়িয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম পর্যায়ে অবলোকন করা গেছে| বাংলাদেশ যখন দুর্নীতির দায়ে বারংবার বিশ্বে এক নাম্বারে স্থান পাচ্ছিলো তখনও বিভিন্ন কমিটির রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করলে দেখা গেছে, দেশের সর্বচ্চো দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এই পুলিশ| তত্কালীন ক্ষমতাসীন সরকার পুলিশের ভাবমূর্তি বদলানোর জন্য তখন তাদের পোশাক পরিবর্তন করলেও এসব দুর্নীতির প্রশ্নে ছিলো চুপ, কোনো ধরনের কমিটির মাধ্যমে এই অভিযোগ গুলো যাচাই করার নুন্যতম প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি| পোশাক বদল হলে কি হবে, পোশাক যে পরিধান করছে সে অপরিবর্তনীয় থাকায় যেই লাউ, সেই কদুই থেকে গেছে|