এইচ এস সি পাশ করার পরে একটা যুদ্ধের মধ্যে পড়ে গেছিলাম - ভর্তি যুদ্ধ। আমাদের কাছে সেটা সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধ ছিল কারণ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম তোলা, ফরম জমা দেওয়া এবং ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পড়েছিল মোটামুটি একই সময়ে। আমাদের তো মাথায় হাত দেয়ার মত অবস্থা!
কিছুদিন আগে চরম উদাসের লেখা একটি ব্লগে সহ ব্লগার সত্যপীর আলোচনা প্রসংগে একটা গুরুতর প্রশ্নের অবতারনা করেছিলেন- অজ পাড়াগাঁ বলতে কি ছাগলে ভর্তি গ্রাম বুঝায়, যেহেতু অজ অর্থ ছাগল? প্রশ্নটা কৌতুকবশে ছুঁড়ে দেয়া হলেও এটা নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোড়িত হয়েছিলাম, আরে তাইতো! পাড়াগাঁ এর সাথে এরকম শব্দ সংশ্লেষের কারন কি? অভিধানগুলোতে "অজ" এর অর্থ এরকম- জন্মরহিত, ঈশ্বর, ছাগল, মেষ ইত্যাদি, যার কোনটির সাথে "অজ পাড়াগাঁ" ঠিক ম্যাচ করে না। সম্প্রতি হাতে আসা একটা বই থেকে জানলাম, অজ পাড়াগাঁর সাথে আসলে ছাগল কিংবা ঈশ্বরের সম্পর্ক নেই। কিছুদিন আগের আর এক বহুল আলোড়িত শব্দ "চুদুর বুদুর" এরও কিঞ্চিৎ দিশা পাওয়া গেল। সেই সংগে আরো অনেক শব্দের সংগে যেন নতুন করে আবার পরিচয় হলো।
মারসায়াসের সাথে সুরের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে এপোলো তাকে কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেবতা প্যানের সাথে ভিন্ন আচরণ করলেন। হয়তো দেবতা বলেই প্যানকে মারসায়াসের ভাগ্য বরণ করতে হয়নি!
সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গতকাল সারাদিন থেকেই উত্তাল ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে। প্রস্তাবিত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, ‘সিলেটী’দের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০% কোটা বরাদ্দের দাবী উঠেছে- এসবের প্রেক্ষিতে ডঃ জাফর ইকবাল ও ডঃ ইয়াসমিন হক পদত্যাগ করেছেন। এদিকে তাঁদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বাতিল, সমন্বিত পদ্ধতি চালু এবং ‘সিলেটী’ কোঠা প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে জোরালো ভাবে সংগঠিত হয়েছেন
গত উইকএন্ডে খুব ঘুরে বেড়িয়েছি, তার আগের সপ্তাহে বেশ কিছু কাজ জমিয়ে রেখেছিলাম। ফলে সোমবারে এসে দশ ঘণ্টা খেটে মরতে হলো। এই তিনদিন সংবাদপত্র দেখা হয় নি একেবারেই। আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে আধো জাগরণে ফেসবুকে ঢুকেই একটা ধাক্কা খেলাম। খবরে প্রকাশ, শাহজালাল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল পদত্যাগ করেছেন।
শ্রদ্ধেয় জাফর স্যার ও ইয়াসমীন ম্যাডাম কে ফেরার অনুরোধ করতে আসিনি। কোন মুখেই সেটা করার যোগ্য আমি নই। আমি আজ দুঃখিত নই, কেবলই লজ্জিত। আমাদের হাতে ফাইল নেই, আমাদের হাতে রাইফেল নেই, আমাদের হাতে আর্জেস গ্রেনেড কিংবা ককটেল নেই। আমাদের কাছে নেই পেপার স্প্রে কিংবা টিয়ার গ্যাস। শ্রদ্ধা মেশানো কিছু অকেজো ভালবাসা ছাড়া দেবার মত কিছুই নেই আমার কাছে। কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় পড়েছিলাম “হৃদয়ের মত ভয়ানক এক অস্ত্রের” কথা, সেটুকুই আজ সাথী আপনাদের। আপনি আমাদের চেতনার মেরুদণ্ড স্যার। আমরা আপনার মত আশা করতে চাই। আস্তে আস্তে হলেও মেরুদণ্ড সোজা করতে চাই। ভাল থাকুন স্যার, অনেক অনেক ভাল। এই শুভেচ্ছাটুকু ছাড়া দেবার যে কিছুই নেই এ নিঃস্ব হাতে।
বছর খানেক ধরে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে দৈনিক পত্রিকার ছাপানো কপি হাতে নিয়ে পড়ি না। পত্রিকাগুলো তাদের অনলাইন সংস্করণে মোটামুটি সারাদিন ধরে 'সদ্য সংবাদ' 'তাজা খবর' টাইটেলে কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া খবর সংক্ষেপে তুলে দিচ্ছে। কেউ কেউ অন্যদের থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখতে যত দ্রুত সম্ভব শিরোনাম দিয়ে, সঙ্গে দুই বাক্যের বর্ণনা আর শেষে 'বিস্তারিত আসছে---' অনুসরণ করছে। দেশে থ্রিজি এসেছে, টেলিটকে বছর খানেক হলো। ফলে,