নব্বই বছর বয়সের লোকটাও তিনবেলা খায়শোয়ঘুমায়হাগেমোতে।
নব্বই বছর বয়স বলেও পৃথিবীতে কারো মৃত্যু আজ পর্যন্ত থেমে থাকে নাই,
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এরচে বেশি বয়সেই মৃত্যু হয়েছে মানুষের।
বাংলাদেশে সমান বয়সী আমার এক বড় ভাই ফোন করে ভেউ ভেউ করে কাঁদছেন, ৯০তে এরশাদের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিলেন তিনি, গণ আদালতের সময় উপস্থিত ছিলেন সর্বভাবে-
এই লজ্জা জাতির, এই কান্না আমাদের--
আম্মা (জাহানারা ইমাম) , আপনি নাই বলে এই কলঙ্ক দেখতে হল না, এই লজ্জা পেতে হল না
[গোলাম আজমের ফাঁসি না হওয়ায়, আমি, আমরা সবাই ক্ষুব্ধ। এমন অবস্থায় এই হালকা চালের লেখাটা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নিলাম।]
এক মাওলানা গেলেন প্রত্যন্ত এক এলাকায় ধর্ম প্রচার করতে। এই এলাকায় তিনিই প্রথম ইসলামের আলো নিয়ে আসলেন। এলাকাবাসীকে ঈমান, আকীদা নানা বিষয়ে জ্ঞান দিলেন। নামাজ শেখালেন, দোয়া দুরুদ শেখালেন। এইভাবে সুন্দর করে ধরমচর্চার তরতরিকা শেখালেন, দেখতে দেখতে প্রায় বছর পুরতে চলল। রমজান মাস সমাগত হলো।
ইদানিং মনে হচ্ছে যেন চারিদিকে আত্মহননের মচ্ছব লেগেছে। বেশ কদিন ধরেই পত্র-পত্রিকায় দেখছি, এখানে সেখানে আত্মহত্যার খবর। একি সুখে থাকতে ভুতের কিল, নাকি ভুতের কিল অসহনীয় হওয়ায় এই পন্থা অবলম্বন !
আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন ধূমপানে ক্যান্সার হয়? আরো এটাসেটা কী কী জানি হয়! ডাঁহা মিথ্যে কথা। কিচ্ছু হয়না। একেবারেই কিছু না! এই লেখাটিতে সেই বিষয়ে বলছি। মহাপণ্ডিত গবেষকরা যে তামাককে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তার পেছনে বিরাট রাজনীতি আছে। মূল বিষয়টা অন্যরকম। যুগ বদলেছে, এখন আর তেলমশলা গুলিয়ে খাইয়ে দিলেই কি আর মানুষ ভুল বুঝে বসে থাকে? থাকেনা। সত্য সবার কাছে পৌঁছবেই। আপনার কাছেও পৌঁছবে। কিন্তু সত্য পৌঁছনোর আগে তামাকের প্রাথমিক এটাসেটা সম্পর্কে একটুখানি বলে নেই।
(এই কাহিনী সম্পূর্ণ সত্য; ছাগলামি অবিশ্বাস্য মনে হইলে নিজ দায়িত্বে ঔষধ খাইয়া লইবেন)
“ঠিকানা লিখে দিলুম ভাই, বোনের খবর নিয়ো
কেমন আছে ফুলকলিরা ‘লিখে’ আমায় পত্র দিয়ো”
‘লিখে’ হবে না ‘দেখে’ হবে শব্দটি ভুলে গিয়েছি, কিছুতেই মনে করতে পারছিনা। পল্লীকবি জসীম উদ্দিন এর ঠিকানা কবিতার প্রথম দুটি লাইন। গুগল মামাকে জিজ্ঞেস করলে নিশ্চিত হয়া যেত কিন্তু কেন জানি না ইচ্ছে করছে না। সব কিছুই কেমন যেন বিষাদের সুরে গুনগুন করছে মনের মাঝে।
[justify] ছিন্নপাতা সিরিজটা সম্পর্কে দুয়েকটা কথা বলে রাখি। নানা সময় পথ চলতি হঠাৎ একটা চিন্তা এসে মাথায় ভর করে। কিছুক্ষণ ভাবি, অধিকাংশ সময়েই প্রশ্নগুলির উত্তর ঠিকঠাক বের করতে পারিনা। তখন মনে মনে ঠিক করে রাখি যে, একটু সময় পেলেই ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখবো। স্বাভাবিক নিয়মেই সেই 'সময়'টুকু আর বের করা হয়ে উঠে না। আমার স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে, পরে ভাববো কিংবা লিখবো এই আশাতে বহু প্রশ্ন হারিয়ে ফেলেছি। তাই চিন্তা করলাম তাৎক্ষণিক এই চিন্তাগুলিকে এখন থেকে ব্লগ আকারে লিখে ফেলবো।
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ-এর প্রথম যে বইটা পড়েছিলাম সেই বইটার নাম খুব অদ্ভুত ছিল! Memories of My Melancholy Whores নামটা দেখেই মনে হয়েছিল, এই বইটা দিয়েই না হয় আমি মার্কেজ-এর জাদুময় জগতে প্রবেশ করি! বই পড়তে শুরু করেই বলা চলে বেশ বড় সড় একটা ধাক্কা মত খেলাম। কারণ গল্পের প্রধান চরিত্র নব্বই বছরের একজন বৃদ্ধ সাংবাদিক! যে তাঁর নব্বইতম জন্মদিন পালন করতে চাচ্ছেন একেবারেই নিজের মতন করে!