শীর্ষেন্দুর উপন্যাস 'গয়নার বাক্স'। সেই গল্প নিয়ে সম্প্রতি সিনেমা বানিয়েছেন অপর্ণা সেন।
মূলত একটি গয়নার বাক্সকে কেন্দ্র করে গল্প। অদ্ভুতুরে গল্প।
সেই গল্প নিয়ে, সাম্প্রতিক সিনেমায় ভূতের আছড় নিয়ে, শিল্পী নির্বাচন নিয়ে, অভিনয় নিয়ে, সিনেমার নির্মাণ নিয়ে এবং আরো অনেক অনেক প্রসঙ্গ নিয়েই আলাপ করা যেতো, নাহয় বলা যেতো চারটে ভালো আর দু'টো মন্দ কথা। সিনেমাটা ভালো মন্দ মিলিয়ে আগাচ্ছিলো বেশ।
বেশ ভালই দিন চলে যাচ্ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবাকে নিয়ে বাজারে যাই, বাবাকে চায়ের দোকানে বসায় রেখে আমার ঘুরাঘুরি শুরু হয়ে যায়। ৩০/৪০ মিনিট পর পর এসে দেখে যাই বাবা অন্য কোথাও যাবে কি না অথবা কোন কিছু লাগবে কি না?
ক’দিন ধরেই পাখিকে মনে পড়ছে খুব। পাখি। মিষ্টি একটা মেয়ে। আমাদের ওয়ারির বাড়িতে ভাড়াটে ছিলো। ওর মা আমাদের চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী ছিলেন। খুব রূপসী মহিলা। ধবধবে ফর্সা। হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। কথা বলেন বরিশাইল্যা একসেন্টে। আমাকে খুবই পছন্দ করতেন তিনি। আদর করে আমাকে সম্বোধন করতেন—‘জামাই’।
এক সময় এক দেশে ছিল দুই বন্ধু। তারা ছিল খুবই দরিদ্র, তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তাদের দেশেও খুব একটা কাজ ছিল না। ফলে যদিও তারা বেশ পরিশ্রমী ছিল, কিন্তু তবুও তারা সবসময় কাজ পেত না। অল্প যে সময় তারা কাজ পেত, মন দিয়ে সে কাজ করত। তাতে করে তারা ভালো পারিশ্রমিকও পেত। কিন্তু যেহেতু সবসময় কাজ থাকতো না, তাই তাদের উপার্জন খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেত। আবার কায়ক্লেশে চলতো তাদের দিন। এভাবে বছরের
কথাই তো সব...
আমরা কিছু দেখেও দেখি না। দেখেছি যে এটা জানানোটাই কাজ।
পাহাড়ের সামনে হাজির হয়েই সবাইকে জানাই, 'জানো আমি এখন পাহাড় দেখছি'। সাগরেও তাই। নামলাম, ঢেউ খেললাম, জানালাম। শেষ। উত্তাল সাগরের পাশে চুপটি করে সময় বহিয়া যায় না আমাদের। বহিয়া যাওয়ার সময় কোথায়?
তেমনিভাবে কী দেখছি বা পড়ছি সেটা মুখ্য না। দেখলাম বা পড়লাম যে, তা জানানোটাই গুরুত্বপূর্ণ।
দুই দশক আগের কথা। বাসায় নিয়মিত রাখা হতো সাপ্তাহিক/পাক্ষিক বাংলা পত্রিকা। মেয়েদের জন্য আসতো সানন্দা। আমার রহস্য পত্রিকা আর বাবার বিচিত্রা পড়া শেষ হয়ে গেলে একটু চোখ বুলিয়ে নিতাম সানন্দার পাতায়। শেষ পৃষ্ঠায় থাকত কোনও বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার গোছের এক নিয়মিত আয়োজন। এক লাইনের গৎবাঁধা প্রশ্নের মধ্যে একটির উত্তর খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম; ‘কি ভালো লাগে?পাহাড় না সমুদ্র?’ উত্তরটা পাহাড় হলে ভালো করে আবার দেখতাম সেই বিশিষ্টজনের ছবি, বড্ড আপন মনে হতো তাকে। তখনও তো পাহাড় বা সমুদ্র কোনটিই স্বচক্ষে দেখেনি কিন্তু এক দুর্দান্ত আকর্ষণ অনুভব করতাম গগনভেদী পাহাড়-পর্বতের ছবি দেখলে।
পরীক্ষা নিয়ে আমি প্রায়ই দুঃস্বপ্ন দেখি। এটা যে আমার একার সমস্যা তা নয় বোধহয়, আমার জানামতে আরও অনেকেই দেখেন, ছাত্রজীবনের গণ্ডি তারাও বহু আগেই পেরিয়ে এসেছেন। অথচ আমার এরকম হবার কথা নয়। পরীক্ষার ভয়কে জয় করা শিখিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলস স্কুল ও কলেজের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ, অনেক আগেই। ক্লাস এইটের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবার আগের এগারো সপ্তাহে আমাদেরকে এগারোটি মূল্যায়ন পরীক্ষায
আমার পায়ের কাছ থেকে বলটা কুড়িয়ে নিয়ে বদরুল ফিরে তাকায়, ‘স্যার, এখনো কিছু টের পান নাই?’
‘না তো! কী টের পাব?’
ছেলেটা অবাক হয়ে তাকায়, ‘কিছুই টের পান নাই?’
‘না! কী বলতে চাইছ বলো তো তুমি?’
কাজীদা ( কাজী আনোয়ার হোসেন ) যদি বিন্দুমাত্র জানতেন যে বাংলাদেশের মানুষ তাকে কী পরিমাণ ভালবাসে!
উনার উপরে সচলায়তনে শেষ লেখাটি প্রকাশিত হবার পরে এক পাগল ভক্ত চিঠি লিখেছিল (অনুমতি সাপেক্ষে সেটি এখানে দেওয়া হল)---
ভাই,
[এইখানে মগজ-ব্যবহারের কোন সুযোগ নাই।]
…