বুধো আচমকা থমকে গিয়ে নাকটা ওপরে ওঁচাতেই তার মস্ত শিংদুটো সিধুর পাঁজর থেকে বিঘৎখানেক দূরে এসে থিতু হলো। সিধু পেছনে হেলে বসে বুধোর পিঠে কম্বলের ওপর চাপানো কাঠের আসনটার শিং এক হাতে শক্ত করে ধরলো। বুধো আচমকা ঘুরে ছুট লাগাতে পারে; তখন ছিটকে পড়লে সিধু জখম তো হবেই, বুধোর পায়ের নিচে পড়লে মৃত্যুও অসম্ভব নয়।
সিধুর হাঁটুর নিচে বুধোর প্রকাণ্ড ফুসফুস কয়েকবার ফুলে ফুলে উঠলো, নাক দিয়ে ফোঁসফোঁস করে শ্বাস ছেড়ে দু'পা পিছিয়ে এলো বুধো। লক্ষণ ভালো নয়। ধনুকটা খাপ থেকে টেনে বের করে হাতে নিলো সিধু। বৈরী গন্ধ পেয়েছে বুধো, কিন্তু পালাবে না সে। তার মানে দাঁড়ায়, গন্ধটা শ্বাপদের নয়।
মূলঃ
টেরি প্রাচেট (ডেথ এন্ড হোয়াট কামস নেক্সট)
অনুবাদঃ তাহমিদ-উল-ইসলাম
একবার এক দার্শনিকের দুয়ারে মৃত্যু কড়া নাড়লো। দার্শনিক তার স্বভাবসুলভ গাম্ভীর্য নিয়ে মৃত্যুকে বলেন, "এখন তুমি বুঝতে পেরেছ যে আমি একই সাথে জীবিত এবং মৃত।"
একদা একজন রাজা বন্দী ছিলেন সুউচ্চ মিনার ওয়ালা এক বন্দীনিবাসে। সেই বন্দীনিবাসে নেই কোন দরজা নেই কোন প্রবেশপথ! শুধু একটি জানালা। বন্দীনিবাসে নেই কোন প্রহরী, নেই কোন লাঠিয়াল কি বরকন্দাজ!
এক সময় এক দেশে ছিল দুই বন্ধু। তারা ছিল খুবই দরিদ্র, তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তাদের দেশেও খুব একটা কাজ ছিল না। ফলে যদিও তারা বেশ পরিশ্রমী ছিল, কিন্তু তবুও তারা সবসময় কাজ পেত না। অল্প যে সময় তারা কাজ পেত, মন দিয়ে সে কাজ করত। তাতে করে তারা ভালো পারিশ্রমিকও পেত। কিন্তু যেহেতু সবসময় কাজ থাকতো না, তাই তাদের উপার্জন খুব তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যেত। আবার কায়ক্লেশে চলতো তাদের দিন। এভাবে বছরের
হে বঙ্গ! ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন/তা সবে (অবোধ আমি!) অবহেলা করি/পরধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ/পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি …
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১র প্রথম রাউন্ড শেষে উৎপাত শুভ্রের মন ঝরঝরা, মেজাজ ফুরফুরা, দিল চনমনিয়া। এর কারণ অবশ্যই আশরাফুলের বোলিং সাফল্য কিংবা সাকিবের ক্যাপ্টেন্সি ব্যর্থতা নয়; বরং বাংলাদেশের বিদায়ে পাকিস্তানের খবরে মনো সংযোগের সুবিধা। বাঙালি এই এক দেড় মাস জ্বালায়া মারছে। মাশরাফি-সাকিব-আশরাফুল-তামিমের দাপটে কাকমল, উকমল, ম্যারিমিফ্রিদি, শোয়েবদের খবর নেহাত পানসে হয়ে গেছে। কিন্তু এখন বাঙালিদের একটা বিরাট অ
চৈত্র মাসের রাত ১১টা খুব বেশি রাত না। তার ওপরে আজ বৃহস্পতিবার। কাল পরশু ছুটির দিন। 'নাইট ইজ স্টিল কিড' হওয়ার কথা হলেও পৌষ মাসের ইলেকট্রিসিটিবিহীন অজপাড়াগাঁয়ের মতো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে স্বর্গের সবাই। ফেরেশতাগুলা সারাদিন কাজ করে করে ক্লান্ত আর মানুষগুলা কামে কামে গলদঘর্ম। শুধু একজনের চোখেই ঘুম নাই। তিনি পিতা আদম। আর ১ ঘন্টা পরেই তার জন্মদিন। আদম কোনো বিগত জমিদার চৌধুরী, সৈয়দ কিংবা স ...
মায়ার কাছে যাবার জন্য তৈরী হয়ে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়াই। আমার ভাবনা বুঝতে পেরে স্বচ্ছ হয়ে যায় জানালা। বাইরে ঝকঝকে রোদ্দুরে হাসছে লাল পাতাওয়ালা গাছের বাগান। পৃথিবীর হেমন্তের কথা মনে পড়ে, যদিও এইসব গাছের পাতারা সবসময়েই লাল।
রাতে অজস্র তারাওয়ালা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে প্রথম যেদিন আমাদের সূর্যকে দেখেছিলাম ক্ষুদ্র টিমটিমে একটি আলোকবিন্দুর মত, সেদিন কেমন একটা আশ্চর্য অনুভব হয়ে...
এখানে এসেছি মাসখানেক হলো। পার্থিব সময়ের মাসখানেক। এখানে মাস ব্যাপারটাই অর্থহীন, এ গ্রহের কোনো চাঁদ নেই। চাঁদের কমাবাড়া দেখে মাস গোণার ব্যাপারটাই বোঝানো যাবে না। এখানে দিন মাপার কৌশল যান্ত্রিক, নিখুঁত। অবশ্য পৃথিবীতেও আজকাল আর কে চাঁদ দেখে ঠিক করে দিনটা পূর্ণিমা না কৃষ্ণা প্রতিপদ না দ্বিতীয়া? বাচ্চা ছেলেপুলেরা তো অনেকে এই নামগুলো ও জানে না!
আমাকে থাকতে দিয়েছে এক আশ্চর্য ...
পকোড়ায় কামড় দিয়ে আয়েস করে চায়ে চুমুক দিয়ে জীশান বলছেন, " তখন আমি বছর বাইশ-তেইশের জোয়ান, সবে পাশ করে বেরিয়েছি, সামনে পৃথিবীটা পড়ে আছে যেন এক রহস্যময়ী রাজকুমারী, ধরা দিতে দিতেও দেয় না, জাগনডাঙা ভাঙনডাঙা পার করে জুড়নপুর পার করে কোথায় কোন্ রহস্যময় রাত্রিনগরীর দিকে টেনে নিয়ে যায়, পথের মাঝ থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় কোনো ঈশারা না রেখে। এবারে বার করো খুঁজে কতো খুঁজবে। জানি সে আছে কোথাও সেই রহস্য...