**ফন্ট সমস্যার জন্য পুনরায় পোস্ট করলাম। অনাকাঙ্খিত ও অনিচ্ছাকৃত সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখিত...**
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(১) আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(২) আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(৩)
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(৪)
[justify]
আমাদের ছোটবেলাতে হিন্দি ভাষার অত্যাচার এতো প্রবল ছিল না। ডিশ বলতে মানুষজন থালাবাটিই বুঝতো, ওটা দিয়ে খাবার আসতো - খবর নয়। টিভির অনুষ্ঠান ধরা পড়ত ছাদের এন্টেনাতে, কেবল দিয়ে কেবল বিদুৎতের চলাফেরা ছিল। আমাদের একমাত্র চ্যানেল বিটিভি যেই অনুষ্ঠান গেলাতো আমরা বিনাবাক্যব্যয়ে সেটাই গিলতাম এবং সেটা নিয়েই আলোচনা করতাম। এই কারনেই স্কুলের বন্ধু-বান্ধবরা সব্বাই একই ওয়েভলেংথেই কথাবার্তা বলতো। হিন্দি ছবি দেখার একমাত্র উপায় ছিল ভিসিআর – সেই মহার্ঘ্য বস্তু আমাদের চেনাশোনা খুব বেশি লোকের ছিল না।
'আওয়ামি চরিত্র' পড়ে 'জামাতি চরিত্র' পড়ার ব্যাপারে কয়েকজন মন্তব্যকারী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফেয়ারনেসের খাতিরে সেটা করা যেতেই পারে।
ভাষা
লেখার ভাষার ব্যাপারে প্রথমে কিছু বলে নেয়া ভাল। আমার লেখায় বাংরেজির প্রভাব আছে। কিছু ক্ষেত্রে বেশি, কিছু ক্ষেত্রে কম।
আমাদের বাড়িটা দোতলা।আশেপাশের অসংখ্য জীর্ণ দালানের ভেতরে আলাদা করে চোখে পড়েনা। দ্বিতীয়বার রঙ করা হয়নি, দেয়ালগুলো হলদে, শ্যাওলায় ঢাকা। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় বাড়িটা ধসে পড়বার অপেক্ষায় আছে। ভেতরটাও দারুণ মলিন, স্যাঁতস্যাতে নোংরা দেয়াল, ভাঙ্গা মেঝে। আলো বাতাস সাধারণত এদিকে উঁকি দেয়না।তবু ভাড়াটিয়ার কখনো অভাব নেই। ভাড়া কম, বাড়িওলা ঝামেলা করেনা, এ জন্য বাড়ির মালিন্যও ভাড়াটিয়াদের নিরুৎসাহিত করেনা। কিন্তু
জোনাথান ফ্র্যানজেন আমার খুব প্রিয় লেখক। বার্নস এ্যান্ড নোবেলস এর মিট দ্য রাইটার্স সিরিজে ফ্র্যানজেনের একটা ইন্টারভিউ দেখছিলাম। দেখলেই বোঝা যায় ফ্র্যানজেন কি পরিমান - 'সৎ' একজন লোক। বুকের ভিতর থেকে কথাগুলো বের হয়ে আসে। না, ফ্র্যানজেন সব কথা খুব দরদ দিয়ে বলেন সেটা না। কিন্তু সততার সাথে বলেন। এবসোলিউট এ্যান্ড ব্রুটাল ট্রুথ যাকে বলে, হয়তো।
-"ভালো হলে সেরে যাবে.."
-"কি ভালো হলে কি সারবে???"
অবশেষে কবিতার ছন্দ ও মিল নিয়ে লিখতে বসলাম। শুরুতেই অকপটে বলতে চাই, এ বিষয়ে লিখবার জন্যে যে ন্যুনতম জ্ঞান থাকা প্রয়োজন তার চিলতেটুকুও আমার নেই। আমি জানি এই সচলায়তনেই অনেক বাঘা বাঘা ছন্দ বিশারদ আছেন যাঁদের কাছে এই লেখা নিতান্তই কৈশোরসুলভ ঠেকবে। তবু লিখছি। কারণ দুটো। প্রথমটি হলো, পাঠক ও লিখিয়েদের মধ্যে যারা এ বিষয়ে আগ্রহী তাদের জন্য একটা দিলখোলা মিথস্ক্রিয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর দ্বিতীয়টি হলো, যাঁরা এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন, অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যাঁদের সঞ্চয় পর্যাপ্ত, তাদের কাছ থেকে নিজের ভুল-ভ্রান্তিগুলো শুধরে নেবার একটা সুযোগ তো পাওয়া যাবে। তাই শুরুতেই সবার কাছ থেকে অভয় ও সহযোগিতা চেয়ে নিয়ে শুরু করছি।
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(১)
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(২)
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(৩)
ছোটোবেলা থেকেই জেনে এসেছি স্টুডেন্ট মানে হলো শিক্ষার্থী বা ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু ভার্সিটিতে এসে আমার এই আটপৌরে ধারণা অচল বলে প্রতীয়মান হলো। বিশেষতঃ হলে উঠার পর প্রকৃষ্টরূপে জ্ঞাত হলাম যে, স্টুডেন্ট মানে ছাত্র-ছাত্রী নয়, স্টুডেন্ট মানে হলো শুধুই ছাত্রী। একজন ছাত্র হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে আমি এই স্টুডেন্টশীপ হারানোর ঘটনায় তীব্র মনঃক্ষুন্ন হলেও শেষ পর্যন্ত মেনে নিতে বাধ্য হলাম। তাছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে বুয়েটের ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ-সমাবেশ, অনশন-ধর্মঘট কিংবা মানববন্ধনের ন্যায় কোনোপ্রকার বলিষ্ট কর্মসূচী নেয়া হয়েছিলো বলে শোনা যায় না।
এর আগে আমার কিছু লেখায় আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি আমরা কেন 'সচেতন চিন্তা' বা 'কনশাস থট' করতে চাই না। এটা কষ্টকর কাজ। আমাদের চিন্তার জ্বালানি আবার দৈহিক, আর আমাদের মস্তিষ্ক খুবই রিসোর্স-হাংরি একখান জিনিস। অফিসে কাজ করতে গিয়ে আমি নিজে পরিষ্কার টের পাই যে জটিল চিন্তার ক্যাপাসিটি দিন যেতে যেতে কমতে থাকে। এগুলো এড়ানোর উপায় নেই তা না; অনেক বড় একটি উপায় হল রিচুয়ালাইজ করে ফেলা, বা 'ক্রীড়া' হিসেবে নেয়া। পল গ
ঝানু তাত্ত্বিকেরা বলে মৃত্যুইচ্ছা নাকি মানুষের সহজাত স্বভাব আর তাইতেই সকলের নাকি খালি খালি মরে যেতে ইচ্ছে করে। কথাটা এমনিতে নেহাত মন্দ নয়। আমাদের জীবনে আমরা কথায় কথায় অসংখ্যবার মরে যেতে চাই। কিন্তু সত্যি করে মৃত্যুর সামনে পড়লে বোঝা যায় এইসব কথা বার্তা কি বিশ্রি রকমের ছেঁদো। অনেক বছর আগে একবার ছোট্ট এক কাঠের নৌকায় করে সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার সময় সমুদ্রঝড়ের কবলে পড়ে বুঝেছিলাম মৃত্যুভয় কি