Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

স্মৃতিপাঠে বিদ্যাপীঠঃ আদর্শলিপির লিখনশৈলী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৪/০৯/২০১১ - ৩:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]জড়োতা বলে যে জটবাঁধানো জবড়জং ব্যাপারস্যাপার আছে বস্তুর ক্ষেত্রে তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। পদার্থের জন্মদোষে দুষ্ট এই গুণটা হলো, বস্তু অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ হয়ে যে অবস্থায় আছে, নিতান্ত বাধ্য বা বাধাপ্রাপ্ত না হলে সেই সুব্যবস্থার কোনো দুরবস্থা করতে চায় না নিজে থেকে। অর্থাৎ যা স্থির আছে সে খামাখা কখনো অস্থির হবে না। যে ঘোরার উপরে আছে, বলপ্রয়োগ সাপেক্ষে ঘোর না কাটানো পর্যন্ত সে বেঘোরেই ঘুরতে থাকবে। এরকম সুলিখিত সংবিধান পড়েছিলাম বিজ্ঞান বিষয়ে স্কুল-কলেজ-এমনকি ভার্সিটিতেও। কিন্তু এই জড়োতার উল্টোপিঠেও আর এক জড়োতা আছে, যাকে বলে কোনো কিছু না করার বা আলসেমির জড়োতা। আর এইটা এখন আমার দৈনন্দিন জীবনজুড়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। পরম শূন্য উষ্ণতার মতো যদি পরম শূন্য জড়োতা বলে কিছু থেকে থাকে তবে আমি নিশ্চিত, তা এখন আমকে জাপটিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। আমার এই লেখাতেও অবধারিতভাবে সবাই বৈচিত্র্যহীন জড়োতার বিচিত্র সব উপকরণ রয়েছে যা বিষম বিরক্তির উদ্রেক কোনোরূপ জড়োতা ছাড়াই করতে পারে।


মোটরসাইকেল ডায়রি: জার্নি টু খাজুরাহ-১

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৯/২০১১ - ১০:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চে গুয়েভারার স্মৃতি নিয়ে নির্মিত "The Motorcycle Diaries" যখন থেকে দেখেছি তখন থেকেই একটা ইচ্ছে ছিলো অন্তত একবার হলেও জীবনে এরকম কোনো একটা অভিজ্ঞতা দরকার, একটা মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়ব, আর ঘুরে বেড়াবো| কানের দুপাশ দিয়ে সাই সাই শব্দে বাতাস বেড়িয়ে যাচ্ছে, দুপাশে বিস্তীর্ণ মাঠ, শুধু ছুটে চলা, এরকম একটা দৃশ্য চিন্তা করলে ঘরে বসে থাকাটা আসলেই কষ্টকর| তখন মাত্র মিড টার্ম শেষ হয়েছে, পরীক্ষাতে


তাহাদের অমৃত 'বাণী'

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৯/২০১১ - ৪:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পোষ্ট পড়ে মেজাজ খারাপ হতে পারে। তাই শুরুতে দুটো গান শুনে নিন। প্রথমে শুনুন শোনাও তোমার অমৃতবাণী। একটা শুনে মন ভরেনি? এবার আরেকটা। শুধু তোমার বাণী।। সৌজন্য ছাড়া আজকাল টিভিতে ছাগলও গান গায় না। খবরের পরতে পরতেও সৌজন্য। বিরতি বিজ্ঞাপন তো আছেই। এমনকি হেডলাইনের মাঝখানেও বিজ্ঞাপন চলে। এই গানগুলো পোষ্টের অপ্রাসঙ্গিক জাতের বিজ্ঞাপন। মূল বিষয়ে আসি। বিষয় হলো 'বাণী'।


ভাইভা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৯/২০১১ - ৯:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমার নাম কী?
তোমার বাবার নাম কী?
একটা ছড়া বলতো?
একটা গান গাও তো?

ছোট্টবেলায় আমাকে পেলেই সবাই এইসব প্রশ্ন করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেত। আর আমিও একদম রেডি থাকতাম গান গেয়ে বা ছড়া আবৃত্তি করে সবার প্রশংসা পাবার জন্য। সব প্রশ্নের উত্তরই যে পারতাম তা নয়। মাঝে মাঝে বাবার নামটা ভুলে যেতাম। এভাবেই চলছিল আমার দিনগুলো।


আমি যামুনা। আমার ইচ্ছা।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ১০:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২ দিন আগের কথা।
-হ্যালো।
-হ্যালো, আমি নিশু।
-সুন্দরী! তোমার খবর কি?
-সুন্দরী! যাক শেষ পর্যন্ত তুমি আমাকে সুন্দরী বললা।
-সুন্দরী বলছি নাকি? বুল অয়ে গেচে। এই বুলের কুনু কমা নেই। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম সুন্দরীর বান্ধবী। তোমার সেই ‘অপ্সরা’ বান্ধবীর খবর কি?
-অই ব্যাটা। ঠিক হবি কোনদিন? নাকি লুল প্রজাতী হয়ে যাচ্ছিস?


দেশ দেশান্তর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ৯:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাস্পাতালে টোটাল নী রিপলেস্মেন্ট অপারেশানের তৃতীয় দিনে ঘুমে যখন চোখটা একটু লেগে এসেছে, ঠিক তক্ষুনি নার্স এসে মোলায়েম সুরে জাগিয়ে বললো তার সাথে হাটতে যেতে। তার সাহায্য বিছানা থেকে নেমে ক্রাচে ভর দিয়ে রুম থেকে বারান্দায় বের হোলাম। আমার ঠিক সামনে আমার মতন ক্রাচে ভর করে হেটেঁ চলেছেন আমার পড়শি। অপারেশান হওয়া পা ফুলে একদম কলাআআআ গাছ। নার্স আমাকে বারান্দার শেষ প্রান্তের গন্তব্যর সীমানা দেখিয়ে দিল, যেখানে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা ইতালীয়ান লেদার চেয়ার গুলি বিশ্রামের জন্য আমন্ত্রন জানাচ্ছে। পাঁচ মিনিটের পথ পঁচিশ মিনিটে শেষ হোল। পড়শির সাথে পরিচয় করিয়ে, দুজনের সামনে দুটি টোস্ট এবং এক কাপ করে রং চা দিয়ে বললো, ‘তোমরা বিশ্রাম, গল্প করো, দশ মিনিট পরে সিড়িতে ওঠা নামা প্রাক্টিস করে রুমে ফেরত যাবে’।


স্মৃতিকাতরতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১২/০৯/২০১১ - ৯:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশে থাকতে অনেক কিছু নিয়েই যথেষ্ট বিরক্ত ছিলাম। লোড শেডিং, জানযট, ঘিঞ্জি পরিবেশ, আর কত কিছু নিয়েই ক্ষোভ ছিল। অফিসে যাওয়ার সময় যখন ঘন্টার পর ঘন্টা জনাকীর্ণ বাসে দাড়িয়ে (কদাচিৎ বসে) মানুষের ঠেলাঠেলিতে অসহ্য গরমে ঘামাতাম, তখন মনে হত ঢাকা শহরে কেন আছি? কেন এ শহরের অস্বাভাবিক কষ্টের জীবন ছেড়ে দূরের কোন গ্রামে চলে যায় না?


চিংড়ি ভাজা, খেতে মজা!!!

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ১১/০৯/২০১১ - ২:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(এটি একটি খানাপিনা বিষয়ক হালকা পোষ্ট। জ্ঞানীগুনীরা নিজ দায়িত্বে পড়বেন).......আমি পড়তে ভালোবাসি। শুধু তাই না, পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়তে আরো বেশী ভালোবাসি। তবে আজকাল সাহিত্য পড়া বাদ দিয়ে নতুন কিছু পড়ছি। পড়ছি না ঠিক, বলা যায় গবেষণা করছি। .........যেসব খাবার খেতে ডাক্তার বারন করেন, যেসব খাবার জিবে সয় কিন্তু রক্তে সয় না, যেসব খাবার ছেলেপিলেরা কচ কচ করে খায়, আর আধবুড়োরা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে, সেইসব খাও


আবোল তাবোল-৪

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: রবি, ১১/০৯/২০১১ - ১১:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


উচ্চশিক্ষারত বন্ধুদে্র ফোনে বা ম্যাসেঞ্জারে নক করলে, নানা কথার ফাঁকে একটা কথা তারা ঘুরিয়ে শুনিয়ে দেয়, “দোস্ত ল্যাবে আছি/ ল্যাব থেকে ফিরছি/ ল্যাবের দিকে রওয়ানা দিচ্ছি”। হজ্বফেরত পলিটিশিয়ানরা যেমন নামের আগে হাজী লাগিয়ে নেয়, তেমনি তাদের নামের আগে "ল্যাবু" লাগিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। একটু হিংসার ছোঁয়া নিশ্চয় পাওয়া যাচ্ছে, কারণ হচ্ছে আমার কোন ল্যাব নেই। আছে একখানা “অফিস”।


আমি আর নেই সেই আমি

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১১/০৯/২০১১ - ১২:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]কদিন ধরেই মাথাটা বড্ডো বেশী খারাপ, বেশ কখানা ডেডলাইন ঝুলছে ঘাড়ের উপর। কোনটা রেখে কোনটা করি ভেবে না পাই কূল টাইপ অবস্থা আর কি। কিন্তু এ যাত্রায় আর রক্ষে নাই বোধহয়, যেমন করেই হোক কিছু একটা ধরায়ে দিতে হবে সুপারভাইজারের হাতে। কারণ বেশ কদিন আগে বেশ মোলায়েমভাবেই বলছিলাম যে পার্টটাইম করে ফেলতে চাই। এই শুনে উনারা ও আমাকে যাকে বলে এক্কেবারে ক্যোঁৎ করে ধরে ফেললেন, বললেন যা হয় আগে একটা ড্রাফট জমা দা