দেখতে দেখতে দু বছর হয়ে গেল। অথচ মনে হচ্ছে এই সেদিন আমাদের ঘর আলো করে তোমার আগমন। ওটিতে দাঁড়িয়ে উত্তেজনা কাঁপছি আর এসির ঠান্ডাতেও ঘামছি।
সকালে ঘুম থেকে উঠা, নাস্তাটা কোনরকমে গলধকরণ করে কাজের উদ্দেশ্যে পড়ি মরি ছুট, যানযটের সুবিশাল যন্ত্রণা পেরিয়ে কর্মস্থলে যথারীতি দেরিতে পৌঁছানো,.............অবশেষে রাতে ঘুম। তারপর আবার, আবার সেই সকালে ঘুম থেকে উঠা, যেন এক পূনপৌনিক সংখ্যার মত একই গৎবাঁধা রুটিনের জীবন। এর মধ্যেও কোন কিছু বুঝে উঠার আগে, না চাইতেই, হুট করে কিছু মুহূর্ত এসেছে জীবনে অসাধারণ হয়ে। মাঝে মাঝে স্মৃতির এলবাম উল্টিয়ে সেগুলো নাড়া
[justify]আমার থিসিস সুপারভাইসর মানুষটা বেশ ভালো। আমাকে তেমন কোন তাড়া দেননা, রাগারাগি এখন পর্যন্ত করেননি (তবে শীগ্রই একটা ডলা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে )। যেখানে মাস্টার্সে অন্যান্য স্টুডেন্টরা একটাও কনফারেন্সে যেতে পারেনা আমাকে দুই দুইটা কনফারেন্সে অ্যাটেন্ড করার অনুমতি দিয়ে দিলেন উনি, সব খরচও উনিই দিবেন। আমি উনার এই মহানুভবতা জানি আরেক সিনিয়র বুয়েটিয়ানের কাছে থেকেই যিনি উনার প্রাক্তন ছাত্র। এটা জানা
১.
প্রথম কবে কোনদিন বোহেমিয়ান র্যাপসডি শুনেছি মনে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পরে সম্ভবত। প্রথম শোনার পরের অনুভূতিটা মনে নেই। সেটা ছিল অনেকগুলো অনুভূতির মিশ্রণ। বিস্ময়, অবিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আরো নানারকম আবেগ মাথার ভেতর পেটের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিলো। তারপর আবার শুনলাম, তারপর আবার। শুনতেই থাকি। দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ। বাসায় বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন যেই আসে তাকেই বলি, একটা গান শুনবে। শুনতে না চাইলেও শোনাই। গান শুরু হওয়ার পর ব্যাপক কৌতূহল নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। যেই অনুভূতিগুলোর ছাপ দেখতে চাই, তা পাই না। হতাশ হই। অনেকে গানটা শুনে হাসে, অনেকে বলে ভালো। আমি আর শোনাই না। সেটা ছিল উপরের পাটিতে উচু হয়ে থাকা দাতের ফ্রেডি মারকারীর সাথে আমার প্রথম পরিচয়।
আজ বড় ছেলেটা ঢাকা ছেড়ে গেল। হ্যাঁ মনটাতো খারাপ বটেই। ছেলেটা আমেরিকার অ্যামহার্স্ট লিবারাল আর্টস কলেজে পড়ে। এবছর ফাইনাল ইয়ার।
অ্যামহার্স্টে যাবার আগে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই,বি,এ, তে ভর্তি হয়েছিল। মাস কয়েক ক্লাশও করেছে।
ইদানীং একজন গুরুত্বপূর্ণ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার হিসেবে দুদ্দাড় বেড়াবার পোস্ট দেই না। বেড়াই না এইটা বলা ঠিক না, ঐটা টুকটাক হয়েই যায়। ঈদের ছুটিতে অবশ্য দূরে যাবার কথা ছিল, সৈয়দপুর, দিনাজপুর দিয়ে একটা মিনি ট্যুর... বাতিল করতে হলো। ফ্লু-তে না ভুগলে আরেকটু ভালো ঈদ কাটানো যেত, কিন্তু কপালে নাই আরকি। হয়না হয়না করেও আজকে ব্যাপক টো-টো করে ফেললাম।
টার্ম ফাইনালের ছুটিতে 'প্রিজন ব্রেক' খতম দেবার পর হঠাৎ করেই মনে হল-এই যা, ছুটিতে তো কোন ইংরাজি ফিল্মই দেখা হইলো না। দু-দশটে ফিল্ম না দেখলে ছুটি অন্তে বন্ধুমহলে মুখ দেখানো দায় হয়ে যাবে। বন্ধুরা যখন জিজ্ঞেস করবে, এই ছুটিতে কী কী করলি- তখন "শুয়েবসেসঙ্গমবিরহে কাটিয়েছি" এমন উত্তর দিলে ধোলাই খাবার প্রবল সম্ভাবনা আছে। এদিকে, খুচরা-খাচরা ফিল্ম দেখতে ইচ্ছা করে না। ব্যবসা যখন করবোই, তখন পাইকারী ব্যবসাই করি-
আমিন সাহেব অনেক দিন পর বাজারে যাবেন ঠিক করলেন। কেবিনেটের ড্রয়ার খুলে একটা বান্ডিল সাফারি কোটের পকেটে পুরতে পুরতে একটু থমকে দাঁড়ান। ছাত্রাবস্থায় বিনা পয়সায় বাজার করার কথা মনে পড়ায় তার মুখের এক কোণায় একটু হাসি ফুটে উঠে, এখন নিজের একটা স্ট্যাটাস আছে, এইসব ছোটখাট মাস্তানি এখন আর তার সাথে যায় না।