এই বিষয়টি নিয়ে আমার বরাবরই খুব আগ্রহ ছিল। ব্যক্তিগতভাবে আমার মাথায় সারাক্ষণই এ নিয়ে যুদ্ধ চলতে থাকে, বেশ স্ট্রাগল করি, হয়তো তাই। সেদিন ড্যানিয়েল গিলবার্ট উপস্থাপিত পিবিএস ডকুমেন্টারি 'দিস ইমোশনাল লাইফ'-এ এ নিয়ে খুব ভাল একটা আলোচনা দেখলাম। তখনই ইচ্ছা করছিল এ নিয়ে লেখতে, কিন্তু নানা কারণেই লেখা হয়নি।
আমার টিউশনি জীবনের শুরুর দিকে একটা ক্লাস সিক্সের ছেলেকে গুলশান-২ এ গিয়ে পড়াতাম। সেইরকম অভিজাত এক পরিবার! দারোয়ান, কেয়ারটেকার সহ আরো কয়েকজনের কাছে জবাবদিহিতা এবং কয়েক জায়গায় সাক্ষরদান ছাড়াও গার্জিয়ান ফোনে কনফার্ম করার পরেই কেবলমাত্র বাসায় প্রবেশের অনুমতি মিলতো। যাই হোক, সবই সয়ে নিয়েছিলাম কারণ মাস শেষের প্রাপ্তিটা বেশ খুশি করার মতোই ছিলো। আর তাছাড়া আমার টিউশনির বাজারটাতেও তখন বেশ মন্দা যাচ্ছিল। তো, টিউশনির শুরুতে বলা হয়েছিলো যে, সপ্তাহে চারদিন(সাধারণত তিনদিনের বেশি পড়ানো হয় না। কিন্তু ঐ যে বললাম, বাজারে মন্দা চলছিলো।) সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত পড়াতে হবে। কিন্তু সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্যজনক ভাবেই হোক, টিউশনির প্রথমদিন থেকেই আমার মহাব্যস্ত স্টুডেন্টের শিডিউল পাওয়াটা ‘লাম্বার ওয়ান ছাখিব কান’ এর শিডিউল পাওয়ার চেয়েও কঠিন কাজ হয়ে দেখা দিলো।
[justify]আজকের বিষণ্ণ সকালটা ঠিক যেন দেশের শীতকালের কুয়াশাভরা সকাল কিংবা ধূসর বিবর্ণ বিকালের মত, যখন ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ও ঠিক বুঝা যেতোনা যে সময়টা সকাল না বিকেল। এখানে শীতকাল নেই, সারাবছরই গরম আর বৃষ্টি। এখানে আসার পর তাই শীতের দিনের জন্য মনটা কেমন যেনো আইঢাই করে। তবে শীতের দিনে যে খুব ভালো থাকি তা ও না। সবসময়ই শীত আসলে আমার গলায় কিছু একটা গরম কাপড় পেঁচানো থাকতো। সেই কোন ছোটবেলা
কোথাও কোন সাড়া নেই। নিরুদ্বেগ, নিঃসঙ্গতাপূর্ণ রহস্যময় এক শূন্যতা একটা মেঘের মত চারদিক ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোন আলোড়ন নেই। শান বাঁধানো উঠোনের মত শান্ত সবকিছু।
নিজের ছাত্রজীবন এখনো শেষ না হলেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাকেও ছাত্র আর গুরুর দ্বৈতভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠার আগে বাড়ি থেকেই টাকা নিতাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পরপরই নিজেকে বড় বড় মনে হতে লাগলো। ফলে বাবার কাছে টাকা চাইতে গিয়ে মনের বাধাটা এলো দু’ভাবে। একদিকে স্বাবলম্বী হওয়ার তথা নিজের পায়ে(কেউ কি অন্যের পায়ে হাঁটে নাকি!) দাঁড়ানোর উত্তুঙ্গ বাসনা আর অন্যদিকে মধ্যবিত্ত বাবার কষ্ট
[justify]-আদর আলী-ই-ই-ই।
-ইয়েস স্যার।
-এদিকে আসো। দেখি তুমার জামাকাপড় ঠিক আছে কিনা। ইউনিফর্ম পইরা আইছো তো?
-জ্বি স্যার।
-জুতায় ময়লা ক্যান? হালচাষ করছো নাকি ক্লাসে আসনের আগে? প্যারেডে যাওয়া বাদ দিয়া?
-না, স্যার। প্যারেডে লেফট-রাইট করার সময় ধূলো উড়ে ময়লা হয়ে গেছে বোধহয়।
_ও, আচ্ছা। কিন্তু প্যারেডে পা না নাড়াইয়া লাত্থি দেওনের লাহান ঝাকাইলে তো ধূলা উড়বোই। অন্য কারও পায়ে তো তুমার লাহান ময়লা দেহি না। তা শরীল কীরম আছে? রাইতে ভালা ঘুম হইছে?
-জ্বি স্যার, হয়েছে।
-আর লেহাপড়া? নাকি জুতমতো ঘুমাইতে গিয়া ভুইলা গেছো?
-না, স্যার। পড়াশুনাও করেছি।
-হুম, তা দেহি কী পড়লা। যাও বই নিয়া আইসা শুরু করো কাইল যেইহানে শ্যাষ হইছিলো ঐহান থাইকা।
‘বই’ নামক জিনিশটিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়? বিজ্ঞজনের বক্তব্য আর সমস্ত অভিধান এক পাশে সরিয়ে রাখি। এখন নাকি ডিজিটাল যুগ। তাই ‘বই’কে ব্যাখ্যা করতে গেলেও এর মাঝে ‘ডিজিটালত্বে’র ছোঁয়া ত অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আমার ধারণা, বইয়ের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। প্রতিটি মানুষই বইকে তার নিজের মতো করে অনুভব করে। কারো কারো কাছে কিছু বই সাক্ষাৎ যমের মতো, যাদেরকে পরীক্ষার আগে দেখলেই শরীরের তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী হয়; কারো কারো কাছে কিছু বই আবার বউয়ের মতো যাদেরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়!
অনেক, অনেক ছোটবেলার কথা । ১৯৯৪ সাল । তখন আমি বগুড়া জিলা স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র । বাসা ছিল কানছগাড়ী নামের একটা জায়গায় । ঠিক দুষ্টের শিরোমণি লঙ্কার রাজা না হলেও একেবারে কম ছিলাম না । আশেপাশের বেশ কয়েক বাসার সমবয়সী পিচ্চিদের নিয়ে মোটামুটি একটা বড় গ্রুপ ছিল যাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এলাকার বড় মানুষদের ভাল লাগার কোন কারন ছিল না ।
[justify]
'গলায় আমার নেই যে কোন রেওয়াজ করার স্বভাব, এই অভাব আমার থাকবে চিরদিন..' ♪♫