কোন কোন রাতে ঘুম ভেঙে যায়; কোন কোন রাতে ঘুম ভাঙে - কোন কোন রাতে কেউ কেউ আর ঘুমোয়না, নিশুতি রাতের মত জেগে থাকে আপন ঘোরের এক প্রজাপতি মুহূর্তে - সেখানে ভিড় করে আসে তার সোনারঙ দিন শেষে অবলা ঘুমের কথা অথবা কোন এক ঘুম ভাঙা ঘুমের কথা যেখানে সে দেখেছিলো তীব্র মায়ের হাত পৃথিবীর সব ওজন নিয়েও নরম শিমুল তুলোর মত ছুঁয়ে আছে তার এ জীবন।
স্মৃতিগুলো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু ঘটনা আংশিক ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে গেছে। কিছুতেই সেই অংশগুলো আর মনে করতে পারি না এখন। ভাবলাম স্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের ব্যাড সেক্টরে পড়ে যাওয়ার আগেই কয়েকটা ঘটনাকে ডিজিটাল ডায়েরীতে টুকে রাখি ডিজিটাল বাংলাদেশের অ্যানালগ নাগরিক এই আমি! এটা তারই উদ্যোগ...
[justify]ছোটবেলায় আমাদের বন্ধু প্রবাসী বাংলাদেশীদের সন্তানদের কাছ থেকে তাদের বাবাদের গল্প চোখ গোল গোল করে শুনতাম। ওরা গল্পগুলো ওদের বাবাদের কাছ থেকে শুনে আমাদের কাছে সম্প্রচার করতো। আমরা প্লেনের গল্প শুনতাম, গাড়ির গল্প শুনতাম, আরও কতো কি। ওরা এমনভাবে বলতো যে যেনো ওরাই ঘুরে এসেছে। তখনকার দিনে প্রবাসী মানেই বিরাট কিছু একটা মনে করতাম। মাঝে মাঝে ওদের বাবারা বিদেশ থেকে ছুটিতে আসলে আমাদের কপালে বিদেশী চ
নিজের স্কুল কলেজের দৌড়ঝাঁপ পেরিয়েছি বহদিন হল, তবু এখনও তৃষ্ণার্ত কাকের মত ছুটির দিনগুলোর জন্যে ক্যালেন্ডারের দিকে তাকানো ফুরলো না। ব্যস্ত নাগরিক হুড়োহুড়ির মাঝে ছুটির দিনগুলো বেশির ভাগ দিনই ঘুম ডে হয়ে যায়। পুজোর লম্বা ছুটি পেয়ে তাই বেশ আহ্লাদ হল। কিন্তু আয়েশ করে পায়েস খাবার দিন আর নেই। দুপুরবেলায় কাজ সেরে ল্যাপিটা নিয়ে বসতেই টিং টং বেল। গিয়ে দেখি আমাদের নতুন পড়শি দেখা করতে এসেছেন।
পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত করা হয়ে ওঠেনি স্টিভের। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে গ্রাজুয়েট হতে পারেন নি। এই গল্পটা অবশ্য সবার জানা। আমি আরেকবার বলছি। স্টিভের গল্প বারবার বলা যায়।
[justify]
১
এই লেখা সভ্যতা নিয়ে। সভ্যতার অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় দরকারী খুব দরকারী চারটি উপাদান আছে। এগুলো ছাড়া সভ্যতা অচল, সভ্যতা সভ্যতা নয় অসভ্যতা।– শিশ্ন যোনী সঙ্গম ধর্ষণ।
ঘর ঝাড়ু– দিতে কিংবা কেটলিতে করে চা এনে সবাইকে খাওয়াতে এখন আর জাতে ধরে না। তক্তা কাটা কিংবা হাতুড়ি পেটানোতো এখন এনজয়ই করি। কিন্তু মাথায় ঠাঠা ফেলল গ্রুপের নতুন নাটকের সুভেনির প্রকাশনা। নতুন নাটক উপলক্ষ্যে সুভেনির প্রকাশ হবে জেনে খুশিই হয়েছিলাম; ভেবেছিলাম সুভেনিরে একটা মারাত্মক লেখা লিখে দেখিয়ে দেবো অভিনয় কিংবা বাংলা উচ্চারণ না জানলেও লেখায় আমি এইসব গোঁয়ার গোবিন্দের নাগালের কতটা বাইরে। কিন্তু সুভেনি
[justify]তখন আমার বয়স কত ই বা হবে, স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে প্রবেশ করেছি সবে। মনে হল হঠাৎ করে কেউ যেন আমাকে পুকুর থেকে এনে সাগরে ছুড়ে দিয়েছে। ছুড়ে দিয়েছে বলা ভুল হবে, কারণ মাবাবার অবাধ্য হয়ে সেবারই প্রথম নিজের পছন্দের কলেজে এডমিশন নিয়েছিলাম। ওনারা চাইছিলো আমি বাসার কাছেই আইডিয়াল কলেজে পড়ি, সাথে একটু আকটু ধর্মীয় ভাবাপন্ন হই। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দার মত একগুঁয়ে হয়ে বললাম হলিক্রসেই এডমিশন নিবো। তখ
দুর্গতিনাশিনির পুনরাগমন আমার বন্ধু-মহলের একাংশে আনন্দের বন্যা বইয়ে দেয়। কুয়াশায় আচ্ছন্ন সকালের ফাঁক দিয়ে এসে পড়া নাযুক সূর্যরশ্মির মত মনের ওপরে প্লাস্টারে বাম হাত মোড়া ছোট ছেলেটির ছায়া এসে পড়ে। রায়েরবাজার আখড়ার প্যান্ডেলে পারিবারিক নিকট-বন্ধুদের হাসিমুখ, ধুপের গন্ধ আর নেশা ধরানো ঢাকের শব্দের ভেতর বাতাসা-মুরলী চিবোতে চিবোতে সেই ছেলেটি হেঁটে বেড়ায়। হলুদ লাল আর সোনালী রঙের ভেতর থেকে তিনটি চোখের অপলক