হারিয়ে ফেলার বেদনা আমাদের সবার আছে, একেক রকম চেহারায়। কিন্তু আছেই! কতকিছুই হারিয়ে ফেলি আমরা। ছোট্টবেলার প্রিয় খেলনা, ভালোলাগার বই থেকে শুরু করে প্রিয়তম বন্ধুটি পর্যন্ত এই হারানোর তালিকায় থাকে।
[justify]
আমি একটা ভাষাই মোটামুটি জানি। সেটা যে কোন ভাষা - আর বিশদে না বললেও চলে। বহু বছর ধরে চেষ্টা করেও ইংরেজি ভালো মতো আর শিখে ওঠা হয় নি। এর অন্যতম প্রধান একটা কারণ মনে হয় আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা। স্কুলে খন্দকার স্যার পিলে চমকানো সব বাগধারা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে দিতেন। যেমন - চোরের মন পুলিশ পুলিশ। ভেবেচিন্তে বন্ধু জুনায়েদ লিখলো - থিফ'স মাইন্ড পোলিস পোলিস। অবধারিতভাবে গাঁট্টা নেমে এলো মাথার উপর। মাত্র চার ফুট দশ ইঞ্চি হাইটের খন্দকার স্যার মাথার ছয় ইঞ্চি উপর থেকে এমন দুর্দমনীয় গাঁট্টা কীভাবে মারতেন সেটা আজও ভেবে বার করতে পারিনি। অনেক মারপিটের পরে শিখলাম – দ্য পেশেন্ট হ্যাড ডাইড বিফোর দ্য ডক্টর কেইম। এই বিদ্যা প্রয়োগ করার মতো পরিস্থিতি আজও তৈরি হয় নি। আমার চেনা-জানা সব্বাই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েই ফিরে এসেছেন, আশা রাখি ভবিষ্যতেও আসবেন।
চিত্ত যেথা ভয়শূন্য। খুব লোভ হল কথাটা পরে। ভেবে ঠিক বের করতে পারলাম না জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে কোন দিনটা নির্ভয়ে কাটিয়েছি। নাহ, আসলেই পারলাম না। মাতৃগর্ভের টান ছেড়ে ভূগর্ভের টানে যখন ঘুম ভাঙল তখন হয়ত খুব অচেনা লেগেছিল পূবের আলোটা, নিজের অস্তিত্ব নিয়ে নিজেই হয়ত দ্বিধায় পরে গিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই ভয় হচ্ছিল এই ভেবে যে এখানে আমার কাজ কি, এত বড় ধরণীতে আমার সৃষ্টির রহস্যটাই বা কি। কিন্তু আমি ঠিকই বুঝে নিল
মানুষের ভীড়ে বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র্য অনেক আগেই হুমকীর সম্মুখীন। সুন্দরবন তার সৌন্দর্য হারিয়েছে মানুষেরই কল্যাণে!!
প্রায় আদিম যুগের কথা। ঠেঙ্গামারা গ্রামের লোকজন তখন মাত্র মোটা ধুতির উপর পিরান পরতে শিখেছে। তার আগে পুরুষকুলের সবাই উদলা গায়ে থাকতো। শীতকালে সেটা কষ্টকর হলেও গরমে আরাম ছিল। শীতকালে বয়স্কদের শিয়রে একটা করে 'আইল্লা' দেয়া হতো। 'আইল্লা' হলো জ্বলন্ত কয়লাপূর্ন পোড়ামাটির ভান্ড, যাকে মোবাইল ফায়ারপ্লেসও বলা যায়। এর সুবিধা হলো যেখানে খুশী সেখানে নিয়ে যাওয়া যায়। এমনকি সাবধানে কাঁথার ভেতরে ঢুকিয়ে নেয়া যায় শীতক
[justify]মাঝে মাঝে রাস্তায় বেগ চেপে ধরলে মাথার হুস পায়ে এসে ঠেকে। দিগবিদিগ ছুটোছুটি করে যখন অবশেষে কাংখিত জায়গায় পেীঁছোতে পারি, তখন শুরু হয় অপেক্ষার পালা। সেই সময় প্রতিটি সেকেন্ডকে মনে হয় এক একটি দিন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন আমার সিরিয়ালটা আসে ততক্ষনে চেপে রাখার আর যাতাযাতির পরিনতিতে তলপেটে তীব্র ব্যাথা সম্পন্ন কোঁতাকুতি শুরু হয়। শরীরের অন্তর্নিহিত কসরতে একসময় ঘর্মাক্ত হই। তারপর নেমে আসে জ
আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি ‘নেশাগ্রস্ত’ নন?
কিছু টেস্ট করে দেখে নিতে পারেন:
১। স্মোকারদের যেমন একটু পরপর সিগারেটের তৃষ্ণা তৈরী হয়, আপনারও কি একটু পরপর ফেসবুক তৃষ্ণা তৈরী হয়, লগ-ইন করার জন্য অস্থির অস্থির লাগে?
২। ফেসবুকে লগ-ইন করে উপরের বামদিকে লাল রঙ এবং কিছু সংখ্যা (নটিফিকেশন) না দেখলে কি আপনার মনে রাজ্যের হতাশা ভিড় করে? আর লালের মধ্যে বড় বড় সংখ্যা দেখলেই কি আনন্দে মন ভরে উঠে?
ক্লাস এইটের ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট পেয়ে একদম বোকা হয়ে গেলাম। অঙ্কে পেয়েছি চৌত্রিশ। রেজাল্ট কার্ড হাতে পেয়ে মনে হল, 'এই অমূল্য রতন লইয়া আমি কি করিব ?' সবাই এমন ভাব করতে লাগলো যেন পৃথিবীতে এই প্রথম অঙ্কে কেউ এই নাম্বার পেয়েছে। এক বান্ধবী আত্মহত্যা করার দারুন একটা আইডিয়া দিয়ে দিল। বলল, "বেশি করে বেগুন খা। বেগুনের পাতলা চোকাগুলো পেটের নালিগুলোর গায়ে আটকে যায় মাঝে মাঝে। সেই থেকে ঘা হয়ে পে
আব্রাহাম লিঙ্কনের গণতন্ত্র নিয়ে সব থেকে জনপ্রিয় বাক্য হচ্ছে- “Democracy is the government of the people, by the people, for the people”| গণতন্ত্র নিয়ে ধারণা থাকুক আর নাই থাকুক কিন্তু লিঙ্কনের এই বাক্য জীবদ্দশায় শোনেনি এমন মানুষ কম আছে,মোদ্দা কথায় এখন পর্যন্ত গনতন্ত্র পৃথিবীতে সব থেকে সার্থক ও জনপ্রিয় শাসন ব্যাবস্থা| সাদা বাংলায় জনগনের সরকার| জনগণ তার গণতান্ত্রিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে তাকে ক্ষমতায় পাঠায় দেশ ও দশের দেখাশোনা করার জন্য, কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ক্ষমতায় যাওয়ার পরেই, জনপ্রতিনিধিদের তখন জন কম,ক্ষমতা বেশি প্রিয় হয়ে যায়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে আইন দিয়ে নিজের আসন প্রতিষ্ঠা করতেই ব্যাস্ত হয়ে পরেন তারা|জনগনের দুর্ভোগ শুরু হয় সেখান থেকেই|
(১)
বাটনে চাপ দিতেই মোবাইলের ওপাশ থেকে নারী-কণ্ঠের রিনিঝিনি বেজে ওঠলো- দাদা কেমন আছেন ?
জী ভালো। আপনি কেমন আছেন ?
জী আমিও ভালো। তো দাদা, আপনাকে রিং করেছি একটা প্রয়োজনে !
বলেন ?