স্থির বর্ষণে মিশ্র রং ছড়িয়ে শুয়ে আছে টুকরো টুকরো আলো, ভোরের জানালা গলে অবসন্ন বাতাসেরা ঢুকে পড়ে, যেন সেদিনের প্রথম কুজন, সাথে তার জল বাঁধা মেঘ । মনে পড়ে সাত বর্ণের ঝালর উড়িয়ে পরিনত শুয়োপোকারা উড়েছিল কোন নদীতীরে, জল ছুঁয়েছিল মেঘের নুপুর পথ-নদী-স্রোত শালিখের ডানা । কৃষ্ণচূড়ার পথ করে নেয়া বিকেলে ঝরেছিল আসন্ন বর্ষার টুপটাপ অশ্রুকণা, সেও কবেকার কথা ~ সেই নদী বয়ে গেছে সবুজ উঠোন ঘেসে যেন তার সুগভীর বুকে রোদের মোহনা এঁকে । সেখানে শহর শেষে পদ্মগন্ধ ভাসে দৃশ্যত আনমনা বাতাসে । যতটানা স্বপ্নের আসা যাওয়া তারো অধিক আয়োজনে আত্মিক যাতায়াতে সমাজ বিবর্জিত কয়েকজনের বেহিসেবী উচ্ছলতায় মধ্যাকাশে মাঝরাত ছিল তারায় পরিপূর্ন ।
চমক হাসান। যার নেই কোন তুলনা! বুয়েট থেকে পাশ বের হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। তার সাথে প্রথম পরিচয় হয় আমার গত ফেবরুয়ারীতে। ভিন্নধর্মী এক গণিত প্রকাশনা উৎসবে "পাইয়ের মান" নিয়ে পুঁথি পড়ছিলো সে। গণিতের মতোন কঠিন একটি বিষয় এতো মজা করে বলা আর তাছাড়া পুঁথির নাম অনেক শুনেছিলাম...জীবনে প্রথম সেদিনই শোনা ভিন্নধর্মী এই পুঁথি পাঠ! অসাধারণ কন্ঠ এই ছেলেটির...
সেদিন সকালে গুলশান ১ এর KFC-র পাশের গলিতে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে নিখুঁত মেয়েটার পাশ কাটালাম।
বেলা এগারোটায় অপুকে ফোন দিলাম। বলে আমরা আপনার বাসার আশেপাশেই আছি, আসছি। আমরা বলাতে বুঝলাম সিলেট থেকে আরো কেও এসেছে। কে হতে পারে ভাবতেই প্রথমেই উজানগাঁর নাম মনে এলো। আমি বিছানা ছেড়ে নামতে নামতেই নীচ থেকে দারোয়ানের ফোন, সিলেট থেকে দুজন লোক এসেছে, আমাদের বাসায় আসতে চায়, কথাবার্তা সন্দেহজনক বলে আমার কাছে জানতে চাইছে উপরে পাঠাবে কীনা।
[প্রথমেই বলে নেই এটা একটা ফাউল লেখা। ফাজলামী করে লেখা। কেউ এটাতে যুক্তি খুজতে যাবেন না।]
কাচ ভাঙার ঝন ঝন শব্দ আর চাকার মাটি কামড়ে ধরার আপ্রাণ চেষ্টার চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেলো রাশেদের। সবাই চেচামেচি করছে। বাসের হেল্পার চিৎকার করে বলল, “চু*র পুত”।
ইশকুলে পাটিগণিত করতে যাঁদের পায়ের ঘাম মাথায় ফেলতে হত না, তাঁদের জন্য একটা ছোট্ট অঙ্ক:
গোপালগঞ্জের হাটে বছিরুদ্দি শেখ ঝুড়ি ভরে জামরুল বেচতে আসে ফি-সোমবার। একটা জামরুল তিন টাকা দরে হলে তার ঠিক-ঠিক হয়। কিন্তু সবার আয়ের পাঁচ পারসেন্ট ভাগ আবার দিতে হয় ওই হাটের ব্যবসায়ী-সমিতির মাতব্বর নেপো’কে। আর নিজের পেট চালাতেও তো হবে? সেজন্য সে বিক্রিতে ১০% হারে লাভ রাখতে চায়। তাহলে, কুড়িখানা জামরুল’ওয়ালা একটা ঝুড়ি যদি রামবাবু কেনেন, তাহলে তাঁর কেনা দর কত পড়েছে?
[বয়স ট্যাগ করতে গিয়েও করছি না কারণ পাঠকের পড়বার ব্যাপারে লেখক হিসেবে নাক গলাতে ইচ্ছা করছে না। বরং সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেয়া যায় যে, হৃদরোগ থাকলে বা অসুস্থ হলে এটা পড়া থেকে বিরত থাকতে পারেন, সৎকার সংক্রান্ত বর্ণনা আছে।]
মাঝবয়সী তুলকু একমনে নিজের কাজ করে যাচ্ছিল। তেঞ্চো ঘন্টাখানেক আগে নিচ থেকে আরেকটা দলকে উঠতে দেখেছে, তারা পৌঁছে যাবে আর কিছুক্ষণের মাঝেই। খানিক দূরে উবু হয়ে বসে একমনে তার কাজ দেখছিল প্রায় দেড়শ মাইল দূরের সিচুয়ানের গ্রাম থেকে আসা তরুণ আর তার বছর দশেকের ছেলেটা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশে ভারতীয় (কলকাতা + মুম্বাই) চলচ্চিত্র প্রদর্ষনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে এই বিষয়ে খবর বেরিয়েছে।সিনেমা শিল্পের খুবি effective এবং ব্যাপক একটি ধারা বলেই আমরা জানি। সিনেমা, নাটক এর মাধ্যমে যেভাবে সাধারন মানুষকে সম্পৃক্ত করা যায় তা আর্ট এর আর কোন ধারার সাহায্যেই সম্ভব নয়।তাইত "পথের পাচালি"এর অপূর মৃত্যু, দূর্গার সাথে আমদের কেও কাদায়, "অন্তর্জলি যাত্রা" র মৃতপ্রায় বুড়োর সাথে
[justify]
মার্কিনদেশে শিশুপালন করতে গেলে এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সবাইকেই যেতে হয়। এটা এক বিশাল দেশ। এই মাথা থেকে ওই মাথা পর্যন্ত সারা দেশে মুড়িয়ে রেখেছে এরা চমৎকার সব রাস্তা দিয়ে। বিমানযাত্রার খরচ বাঁচাতে এই রাস্তাগুলো দিয়ে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেন বহু বহু পরিবার। সমস্যা হচ্ছে বাচ্চাগুলোকে নিয়ে। হাজার মাইলটা যে আসলে কি জিনিস সেটা বোঝানো বড় দায়। ধরা যাক হিউস্টনে যাচ্ছি, শহর থেকে রওনা দিলাম শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায়, হাইওয়েতে ওঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম পাঁচটা চল্লিশ...
দশ বারো দিন আগে পরে আমাদের গ্রামের বাড়িটায় কোত্থেকে দুটো কুকুর এসে হাজির হল। রোগাভোগা শুকনো মলিন মুখ। একজনের আগুনেরঙা বড় বড় ঝোলানো লোম আরেকজন খয়েরি কালোয় মেশানো নেহাত দিশি চেহারা। আমাদের বাড়িটায় লোকজন নেই, সারাবছর খালিই পড়ে থাকে। তাই ওরা হাজির হল পাশের বাসায়। সেটা বড়মামার বাসা। সেখানে লম্বা টানা মাটির বারান্দায় তিন বেলা তিরিশ চল্লিশজনের পাত পড়ে। এরকম সম্পন্ন গেরস্থের বাসায় দুটো কুকু